
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের জন্ম ১৯৪১ সালের ৪ জুলাই, গোপালগঞ্জে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল ও ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর তিনি ব্যাংকিং পেশায় যোগ দেন। সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকার পর তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হন। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি বেসরকারি পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন। ২০১০ সালে শেয়ারবাজারের পতনের কারণ অনুসন্ধানে তাঁর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির রিপোর্ট ব্যাপক আলোচিত হয়।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: সোহরাব হাসান ও সুজয় মহাজন
প্রথম আলো সম্প্রতি শেয়ারবাজারে অর্থ লুটের কেলেঙ্কারির আরেকটি খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনাকে কীভাবে দেখছেন আপনি?
ইব্রাহিম খালেদ এল আর গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা গর্হিত অপরাধ। কারণ, এটির সঙ্গে সরাসরি নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্টতার বিষয়টি জড়িত। একইভাবে ব্যাংকিং আইনেও বলা আছে, ব্যাংকের কোনো পরিচালক তাঁর নিজের পরিচালনাধীন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন না। আমি মনে করি, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দুর্বল তদারকির কারণেই এটি ঘটতে পেরেছে। বিএসইসি যদি সঠিকভাবে তদারকি করতে না পারে, তাহলে কখনো বাজার পরিচালনার ক্ষেত্রে গন্ডগোল হবে, কখনো মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনায় গন্ডগোল হবে। কখনো অন্য জায়গায় গন্ডগোল দেখা দেবে।
প্রথম আলো ২০১০ সালের এত বড় কেলেঙ্কারির পর আবারও এ রকম একটি ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারল?
ইব্রাহিম খালেদ একটি কারণ হলো নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুর্বলতা। ২০১০ সালের কেলেঙ্কারির পর আমরা তদন্ত প্রতিবেদনে বাজার তদারকিতে বিএসইসির নিজস্ব সার্ভেল্যান্স ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করেছিলাম। যতটা জেনেছি, বিএসইসি এ ধরনের একটি ব্যবস্থা চালু করেছে। কিন্তু সেটি এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করছে না। তার পরও অন্তত একটি সার্ভেল্যান্স বিভাগ, কিছু লোকবল ও একটি সফটওয়্যার তো হয়েছে। এটি একটি দিক, কিন্তু স্টক এক্সচেঞ্জ ছাড়া বাজারের অন্যদের কর্মকাণ্ড তদারকির জন্য ওই সার্ভেল্যান্সে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকা দরকার। সেটি বিএসইসি এখন পর্যন্ত করে উঠতে পারেনি।
প্রথম আলো এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার বলে মনে করেন?
ইব্রাহিম খালেদ ২০১০ সালে কেলেঙ্কারির পর আমরা যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছিলাম, সেখানে যাঁদের অভিযুক্ত করা হয়েছিল, তাঁদের কাউকে শাস্তি দিল না বিএসইসি। শুধু পদ্ধতিগত কিছু পরিবর্তন করেছে। শাস্তি দিতে না পারার এই ব্যর্থতা পুরোপুরি বিএসইসির। বিএসইসিতে হয়তো এখনো অপরাধীদের যথেষ্ট প্রভাব রয়ে গেছে। এ কারণে পুরোনো এবং নতুন অপরাধী কারও শাস্তি হচ্ছে না।
প্রথম আলো নিয়ন্ত্রক সংস্থার নাকি সরকারের ওপর প্রভাবের কারণে অপরাধীরা শাস্তির বাইরে থেকে যায়?
ইব্রাহিম খালেদ শুধু শেয়ারবাজার নয়, বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে মাফিয়া চক্রের প্রভাব খুব বেশি। সরকারের ওপরও এদের প্রভাব অনেক। অতীতে আমরা হাওয়া ভবন দেখেছি, এখন হাওয়া ভবন নেই, কিন্তু কাজগুলো ঠিকই হচ্ছে। এখানে একটা উদাহরণ দিতে পারি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির পর আমরা যখন তদন্তের কাজ করছিলাম, তখন একদিন শেয়ারবাজারে একজন প্রভাবশালী আমাদের কাছে এলেন। পুরো তদন্ত কমিটির সামনে তিনি বললেন, ‘স্যার, আমাদের ঘাঁটায়েন না। কিছু করতে পারবেন না।’ আমি তখন তাঁকে বললাম, আমরা ঘাঁটানোর কে, তদন্তে যা বেরিয়ে আসবে, তাই আমরা তুলে ধরব। ঘাঁটাবে তো সরকার। তখন তিনি বললেন, ‘স্যার, ওটা ঠিক আছে। আপনারা ঘাঁটায়েন না।’ তখন তিনি আরও বললেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আমরা সামনে থাকি আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে অন্যরা সামনে আসবে, আমরা পেছনে থাকব।
প্রথম আলো তাহলে কি শেয়ারবাজার বা ব্যাংক কোনো খাতেই অপরাধীদের শাস্তি না হওয়ার পেছনে এই মাফিয়া চক্রের দৌরাত্ম্য রয়েছে?
ইব্রাহিম খালেদ আমি মনে করি, যেহেতু সরকারের ওপর এই মাফিয়া চক্রের প্রভাব খুব বেশি, তাই তারা বিচার না হওয়ার জন্য কাজ করে থাকে। শেয়ারবাজারে ১৯৯৬ সালের কেলেঙ্কারির শাস্তি তো দূরের কথা, বিচারই হলো না, ২০১০ সালেও একই অবস্থা। তাই এসব দেখে মনে হয়, সরকারের ওপর তাদের প্রভাব খুব বেশি। আর্থিক খাতেও এর কালো ছায়া পড়েছে।
প্রথম আলো আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, কেলেঙ্কারির ঘটনার প্রতিকারে আমাদের বিচারিক ব্যবস্থার দুর্বলতা কতটা দায়ী?
ইব্রাহিম খালেদ আমরা দেখলাম, আর্থিক খাতের অনেক মামলা উচ্চ আদালতে দিনের পর দিন ঝুলে থাকে। কারণ, সেখানে
মামলাগুলোকে ক্রমানুসারে সাজানো হয়। মামলাগুলো দীর্ঘসূত্রতায় পড়ে। তাই আমরা শেয়ারবাজারের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আলাদা আদালত করার সুপারিশ করেছিলাম। শুনলাম, সম্প্রতি শেয়ারবাজারের মামলা পরিচালনার জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল গঠন বা অন্য যা-ই গঠন করা হোক না কেন, আসলে সবকিছু নির্ভর করে সরকারের সদিচ্ছার ওপর। কদিন আগে সংবাদপত্রের খবরে পড়লাম, এক বিচারক অল্প কিছুদিনে ৫০ হাজারের বেশি মামলা নিষ্পত্তি করেছেন। এই উদাহরণও কিন্তু আছে। তার মানে তাঁর একধরনের দায়বদ্ধতা থেকে তিনি সেটা করেছেন, অন্যরা হয়তো করছেন না।
প্রথম আলো ব্যাংকিং খাত ও শেয়ারবাজারে যেসব অনিয়ম ঘটেছে, সেগুলোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি কি ভূমিকা রেখেছে?
ইব্রাহিম খালেদ এ ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাই বড় বিষয়। শুধু একটি প্রতিষ্ঠান হলেই সে কাজ করতে পারে না। ওই প্রতিষ্ঠানকে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়াতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক দিন ধরে কাজ করতে করতে এখন একটি পর্যায়ে এসেছে। এটি যদি খুব খারাপও চলে, তার পরও অনেক অনিয়ম বেরিয়ে আসবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও বিএসইসির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণটি হয়নি। আমরা তদন্তের কাজ করতে গিয়ে দেখলাম বিএসইসির তেমন কোনো অর্গানোগ্রাম নেই, আবার লোকবলেরও যথেষ্ট ঘাটতি। আমি মনে করি, বিএসইসিকে এখন পর্যন্ত সেই অর্থে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং এটির মধ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাও সম্ভব হয়নি। ব্যবস্থাপনায় একটি কথা বলা হয়, একটি প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও সুশাসন নির্ভর করে ওই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যবস্থাপকদের ওপর। তাঁরা যেভাবে আচরণ করবেন, প্রতিষ্ঠানও সে রকম আচরণ করবে।
বিএসইসির আগের কমিশনের মধ্যে অদক্ষতার পাশাপাশি দুর্নীতিও আমরা দেখতে পেয়েছি। আর বর্তমান কমিশন সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয়, একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনা করতে গেলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যে সাহসের প্রয়োজন, সেটি তাদের নেই। মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ও ফারুক আহমেদ সিদ্দিকীর পর ওই মাপের যোগ্য নেতৃত্ব বিএসইসিতে আর দেখা যায়নি। এরপর যাঁরা এসেছেন, তাঁরা হয়তো কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো, কিন্তু দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার মতো সাহস তাঁদের নেই। সে জন্য বিএসইসির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও সুশাসনের বিষয়টি বেশ সময়সাপেক্ষ বলে আমার মনে হয়।
প্রথম আলো তার মানে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা নির্ভর করে তার শীর্ষ নির্বাহীদের ওপর?
ইব্রাহিম খালেদ এটি আমার কথা নয়, ব্যবস্থাপনার কথা। আমি ব্যবস্থাপনার ছাত্র ছিলাম। সেখানে আমাদের শেখানো হতো ব্যবস্থাপনাবিষয়ক বিষয়গুলো। বলা হতো, প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা যদি দুর্নীতিপরায়ণ বা অযোগ্য হন, তাহলে প্রতিষ্ঠানও সে রকম হবে।
প্রথম আলো বর্তমান আওয়ামী লীগের আমলে আর্থিক খাতে অনেক বড় বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। এর কারণ কী?
ইব্রাহিম খালেদ বিচ্ছিন্নভাবে দেখলে এমনটা হয়তো বলা যেতে পারে। কিন্তু পুরো দৃশ্যপটটা দেখলে দেখা যাবে, পরিস্থিতি ভিন্ন। ব্যাংকে খেলাপি ঋণ সব সময়ই ছিল। লুটপাটটা শুরু হলো ১৯৭৭ সােল, জিয়াউর রহমানের আমল থেকে। যদিও ওই সময় খেলাপি ঋণের বিষয়ে সুস্পষ্ট আইনি কোনো ব্যাখ্যা ছিল না। দেখা গেল, ’৮০-৮১ সালে গিয়ে খেলাপি ঋণ একটা ভয়ংকর রূপ নিল। এরপর এইচ এম এরশাদ এসে একধাপ এগিয়ে গেলেন। সে সময় যেসব ব্যাংকার লুটপাটকারীদের একটু বাধা দিতেন, তাঁদের চাকরি থেকে বের করে দিলেন তিনি। কাউকে কাউকে জেলে পাঠালেন। সৎ ব্যাংকারদের জেলে পাঠিয়ে এরশাদ একটি বার্তা দিলেন, তা হলো যদি কেউ সততা দেখান, তাহলে তার পরিণতিও এ রকম হবে। এরপর নব্বইয়ের দশকে এসে ব্যাংক খাতে কিছু সংস্কার করা হলো। ২০০০ সাল থেকে অবস্থা একটু ভালো ছিল। এরপর ২০০১ সালের পর হাওয়া ভবন করে ব্যাংক খাতের অবস্থা আবার খারাপ করা হলো। পরবর্তী সময়ে ফখরুদ্দীন সাহেব এসে ঋণ ‘অবলোপনের’ ব্যবস্থা করলেন। এর ফলে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কিছুটা কমে গেল। ২০১০ সালের পর এসে আবারও অনিয়ম বেড়ে গেল। বলা যায়, এ সময় অর্থমন্ত্রীর শিথিলতার কারণে ব্যাংক খাতে অনিয়ম বেড়ে গেল।
প্রথম আলো বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংকিং খাতে যেসব অনিয়ম ঘটেছে, সেগুলোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কি যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে?
ইব্রাহিম খালেদ সরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের খুব বেশি কিছু করার ছিল বলে মনে হয় না। কারণ, ব্যাংক কোম্পানি আইনে সরকারি ব্যাংকের কোনো পরিচালক বা চেয়ারম্যান কোনো অনিয়ম করলে তাঁকে অপসারণের ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের নেই। বেসরকারি ব্যাংকের কোনো চেয়ারম্যান, পরিচালক অনিয়ম করলে তাঁকে বাংলাদেশ ব্যাংক অপসারণ করতে পারে। কিন্তু সরকারি ব্যাংকের বেলায় সেই ক্ষমতা তাঁদের নেই। আমি মনে করি, এক দেশে দুই ধরনের আইন চলতে পারে না।
প্রথম আলো আর্থিক খাতে আওয়ামী লীগের সরকারের ’৯৬-এর শাসনামল ও বর্তমান আমলকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ইব্রাহিম খালেদ ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগকে খুব পরিচিত মনে হতো আর এখনকার আওয়ামী লীগকে অপরিচিত মনে হয়। কারণ, ’৯৬ সালের আর্থিক খাতের অনিয়ম রোধে সে সময়কার অর্থমন্ত্রীকে বলে অনেক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়েছিল। আর এখনকার বেশির ভাগ অনিয়মের জন্য দায়ী অর্থমন্ত্রীর শিথিলতা। কারণ, তিনি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা তো নিলেনই না, বরং তাঁর নানা কথাবার্তার মাধ্যমে দুর্নীতিবাজেরা উৎসাহিত হয়েছে। ’৯৬ সালের সঙ্গে এবারকার আওয়ামী লীগের তুলনা করলে আরেক বড় ব্যর্থতা যেটি মনে হয় সেটি হলো, সঠিক লোককে সঠিক জায়গায় বসাতে না পারা।
প্রথম আলো আপনি কি মনে করেন আর্থিক খাতে যেসব অনিয়ম ঘটেছে, সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়ার পেছনে অন্য কোনো বিষয় কাজ করেছে?
ইব্রাহিম খালেদ বাংলাদেশ ব্যাংক স্বাধীন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীনভাবে হয়তো কাজ করতে পারছে না। হল-মার্ক বা বেসিক ব্যাংকের বেলায় বাংলাদেশ ব্যাংক যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেটি হয়তো যথেষ্ট ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে শুরুর দিকে যখন এসব অনিয়ম ধরা পড়ে তখনই উচিত ছিল সেখানে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের টিম বসিয়ে দেওয়া। আমি হলে সেটিই করতাম।
প্রথম আলো অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন যখন রাজনীতিকে প্রভাবিত করে তখন তা থেকে মুক্তির উপায় কী?
ইব্রাহিম খালেদ পরিবর্তনের জন্য দরকার শক্তিশালী সামাজিক আন্দোলন। সেটি হবে কি না, তা অন্য আলোচনা। তবে এই মুহূর্তে
যেটি করা যেতে পারে তা হলো পদ্ধতিগত কিছু পরিবর্তন। বেসরকারি ব্যাংকের মতো সরকারি ব্যাংকের বেলায়ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। একইভাবে দক্ষ লোকদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের সার্চ কমিটির মাধ্যমে সরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের কথা ভাবা যেতে পারে।
প্রথম আলো আপনাকে ধন্যবাদ।
ইব্রাহিম খালেদ ধন্যবাদ।