বিশেষ সাক্ষাৎকার: মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম

জিআই নিবন্ধন নিয়ে সব পক্ষকে তৎপর হতে হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক। তিনি ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধাসম্পদের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। মেধাস্বত্ব নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে তাঁর একটি বইও প্রকাশিত হয়েছে। জিআই পণ্য নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক, আইনি নানা দিক, এর প্রসার এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পার্থ শঙ্কর সাহা

প্রথম আলো:

টাঙ্গাইল শাড়ি ভারতে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধন করার পর এ ধরনের পণ্য নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। আপনি জানেন, জামদানি শাড়ির বিষয়েও বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোনো আপত্তি জানায়নি। টাঙ্গাইল ও জামদানি শাড়ি নিয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে অনেকেরই অভিমত, ভারতের আদালতে এ নিয়ে মামলার সুযোগ আছে। কোন আইন বলে এটা করা যায়, কখন করতে হবে?

তৌহিদুল ইসলাম: ভারত উপাধা জামদানির জিআই নিবন্ধনের দরখাস্ত দিয়েছিল ২০০৮ সালে আর সার্টিফিকেট পায় ২০০৯ সালের ৫ মার্চ। আর আমরা তখনো জিআই আইনই করতে পারিনি। আমরা জিআই আইন প্রণয়ন করি ২০১৩ সালে এবং এ-সংক্রান্ত বিধিটি তৈরি করি ২০১৫ সালে। এরপর আমরা আমাদের প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে জামদানির জিআই নিবন্ধন করি ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর।

এখানে একটি বিষয় স্মরণ করা যেতে পারে, উপযুক্ত ঐতিহাসিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ইউনেসকো ২০১৩ সালে বাংলাদেশকে জামদানির হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করে। সে বিচারে জিআই পণ্য হিসেবে জামদানির নাম ব্যবহারের একমাত্র দাবিদার বাংলাদেশ। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারত উপাধা জামদানি নামে জিআই নিবন্ধন নিয়ে নেয়। সে সময় আমাদের দেশে জামদানির জিআই নিবন্ধন না থাকায় ‘ট্রিপস চুক্তি ১৯৯৪’ অনুযায়ী এই শাড়ির উৎপত্তিগত স্থান হিসেবে আমাদের দেশে প্রথম নিবন্ধন করার আবশ্যকতা ছিল। এ সম্পর্কে পর্যাপ্ত সচেতনতা না থাকায় আমরা ভারতীয় জিআই দপ্তরে উপাধা জামদানির নিবন্ধন চলাকালে এ বিষয়ে আমাদের অভিযোগও জানাতে পারিনি।

ট্রিপস চুক্তি ১৯৯৪ অনুযায়ী, ভারতীয় জিআই আইন ১৯৯৯-এর আওতায় আমরা এ অভিযোগ জানাতে পারতাম। যাহোক, এরপরও আমরা উপাধা জামদানির নিবন্ধন সনদ বাতিলের জন্য ভারতীয় জিআই রেজিস্ট্রারের কাছে এবং প্রয়োজনে আপিলে আদালতে যেতে পারতাম। এ ছাড়া বাংলাদেশ জামদানির স্বত্বাধিকারী বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের পক্ষে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার বিরোধ নিষ্পত্তি পর্ষদে যেতে পারত। অনুরূপভাবে বাংলাদেশে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই নিবন্ধন শেষে টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্বাধিকারী ভারতীয় টাঙ্গাইল শাড়ির নিবন্ধন সনদ বাতিলের জন্য ভারতীয় জিআই রেজিস্ট্রারের কাছে এবং প্রয়োজনে তিন মাসের মধ্যে আপিলে অ্যাপিলেট বোর্ডে যেতে পারে।

অ্যাপিলেট বোর্ড বাতিলের পর সম্ভবত এখন হাইকোর্ট আপিল শুনতে পারেন। এ ছাড়া বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার বিরোধ নিষ্পত্তি পর্ষদেও যাওয়া যেতে পারে। মনে রাখা দরকার, ভারতে টাঙ্গাইল শাড়ির নিবন্ধন আবেদন করা হয় ২০২০ সালে এবং তারা সনদ প্রদান করে ২০২৪ সালে। এই লম্বা সময়ে আমরা টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপত্তিস্থল হিসেবে এ বিষয়ে আমাদের অভিযোগ জানাতে পারিনি।

প্রথম আলো:

বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেরই কিছু সমনামী ও আন্তসীমান্ত পণ্য আছে। এসব বিষয়ে জটিলতা এড়াতে করণীয় কী?

তৌহিদুল ইসলাম: বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের জনগণের মধ্যে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, পেশাসহ নানা বিষয়ে মিল রয়েছে। এ ছাড়া দেশ বিভাগের কারণে কিছু সীমান্তবর্তী অঞ্চল দুই দেশের মধ্যে ভাগাভাগি হয়েছে। এসব সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বেশ কিছু একই রকম ও অভিন্ন হস্তশিল্প, কৃষি ও ভোগ্য পণ্য রয়েছে। আবার এক দেশের মানুষ আরেক দেশে বসতি গড়েছে এবং তাদের পুরোনো পেশা ধরে রেখেছে। ফলে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেরই কিছু সমনামী ও আন্তসীমান্ত পণ্য আছে এবং যে পণ্যগুলোর দুই দেশেই সুখ্যাতি রয়েছে।

সমনামী পণ্য যেমন দিনাজপুরের লিচু নিয়ে দুই দেশই জিআই দাবি করতে পারে। এটি হবে ‘হোমোনিমাস জিআই’। আর দুই দেশের আইনেই এটির জিআই নিবন্ধন দেওয়া সম্ভব। আবার যেমন আছে নকশিকাঁথা নামে আন্তসীমান্ত পণ্য। এটিকেও দুই দেশ আলাদা জিআই নিবন্ধন দিতে পারে। তবে দুই দেশেই আলাদা জিআই নিবন্ধন দিলে তৃতীয় দেশ এটিকে জেনেরিক হিসেবে নিবন্ধন না-ও দিতে পারে।

এরূপ জটিলতা এড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন যৌথ জিআই মালিকানার পদ্ধতি গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ জিআই মালিকানার পদ্ধতি বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক চুক্তি করতে পারে। এ ছাড়া দেশ দুটি লিসবন চুক্তিরও পক্ষ হতে পারে। আর যৌথ জিআই মালিকানার বিষয়ে আমাদের প্রচলিত আইনেও সংশোধনী আনতে হবে।

প্রথম আলো:

জিআই পণ্য নিয়ে যদি আন্তর্জাতিক স্তরে যেতে হয়, সে ক্ষেত্রে কী ধরনের সুরক্ষার ব্যবস্থা আছে বাংলাদেশের জন্য? সেগুলোতে যেতে বাংলাদেশ কতটুকু সক্ষম?

তৌহিদুল ইসলাম: জিআই পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে যেতে হলে বাংলাদেশকে আগে তার জিআই পণ্যগুলোকে যথাযথ আইনানুগভাবে নিবন্ধন দিতে হবে। জিআই নিবন্ধনের সময় পণ্য নির্দিষ্টকরণ, সম্প্রদায় নির্দিষ্টকরণ ও ভৌগোলিক অবস্থান নির্দিষ্টকরণ করতে হবে। দরখাস্তে পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পুরুষানুক্রমে পাওয়া পণ্যের ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা তুলে ধরতে হবে। যেকোনো পণ্য নিবন্ধনে তাড়াহুড়া এসব শর্ত পালনে ছিদ্রপথ তৈরি করতে পারে।

প্রথম আলো:

বাংলাদেশে জিআই আইন হয়েছে ২০১৩ সালে। জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দেওয়া ও নিবন্ধনের জন্য পৃথক একটি ইউনিট প্রতিষ্ঠার কথা বলা হলেও তা এখনো হয়নি। এ অবস্থাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

তৌহিদুল ইসলাম: ডিপিডিটি ( ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক) কয়েকটি ইউনিটের মাধ্যমে কাজ করে। তার মধ্যে জিআই একটি ইউনিট। আমার জানামতে, এখানে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়া বাকি সবাই নিজ দপ্তরের। আমার যদি ভুল না হয়, ইদানীং তাঁরা বিসিএস নন-ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। তাঁদের জন্য ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গড়ে তুলে সেখানে বা দেশের বাইরে তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পর্যায়ক্রমে তাঁদের উচ্চপর্যায়ে পদায়ন করা যেতে পারে।

প্রথম আলো:

জিআই আইন হওয়ার প্রথম ১০ বছরে ১১টি পণ্য নিবন্ধন হয়েছে। আর গত বছর ১০টি পণ্যের জিআই নিবন্ধন হয়েছে। এখন একের পর এক পণ্যের জিআই দ্রুততার সঙ্গে করা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, জিআই করতে গিয়ে নতুন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। আপনার অভিমত কী?

তৌহিদুল ইসলাম: পরিসংখ্যানটি আমাদের জিআই বিষয়ে অসচেতনতা এবং জিআই-এর বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব না বোঝার বিষয়টি নির্দেশ করে। আগেই বলেছি, যেকোনো পণ্য নিবন্ধনে তাড়াহুড়ো জিআই নিবন্ধনের শর্ত পালনে ছিদ্রপথ তৈরি করতে পারে এবং এর ফলে আমাদের দেশে ও বিদেশে আইনি জটিলতায় পরতে হতে পারে।

প্রথম আলো:

আমাদের জিআই পণ্যের নিবন্ধনের কাজটি করে ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্কস (ডিপিডিটি)। এ প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে আপনার মূল্যায়ন জানতে চাই।

তৌহিদুল ইসলাম: ডিপিডিটি একটি সরকারি দপ্তর। এই দপ্তরের কাজ স্বত্বাধিকারীর আবেদনের ভিত্তিতে মেধাস্বত্বগুলোর নিবন্ধন দেওয়া এবং এগুলোর সুরক্ষায় সহায়তা করা। মেধাস্বত্বগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিও এটির কাজের মধ্যে পড়ে। মেধাস্বত্ব সম্পর্কে দেশে জন অসচেতনতা এটির কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। তবে আমার জানামতে, এখানে দক্ষ জনবলেরও সংকট রয়েছে। এ ছাড়া এটিকে বিকেন্দ্রীকরণ করে এটির আরও শাখা-প্রশাখা তৈরি করা যেতে পারে।

প্রথম আলো:

যেসব পণ্যের জিআই নিবন্ধন হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দেখা গেছে, তাতে ব্যবসায় বাণিজ্যের তেমন কোনো লাভ হয়নি। একটি পণ্য জিআই হলে এর একটি স্বীকৃতি তো হয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে সরকারের করণীয় অনেক কিছুই আছে। সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এর লাভটা কোথায়?

তৌহিদুল ইসলাম: জিআই নিবন্ধনের মাধ্যমে জিআই পণ্যের ব্র্যান্ডিং হয়। নিবন্ধন পণ্যটি কারা তৈরি করেছেন, এটির উন্নত গুণগতমান আছে, এটি যথাযথভাবে তৈরি হয়েছে—এসব বিষয়ে ভোক্তাদের সচেতন করতে হয়। এই ব্র্যান্ডিং ভালোভাবে হলে এসব পণ্য কিনতে তাঁরা কিছু বেশি পয়সা খরচ করতেও দ্বিধা করেন না।

দেখা গেছে যে আমরা পণ্যটির নিবন্ধন করছি, কিন্তু পণ্যটি কারা বানাবেন সেটির নিবন্ধন করছি না। ফলে যে-কেউই তা বানাচ্ছে। এর ফলে পণ্যের গুণগতমান এবং যথাযথভাবে তৈরি হওয়ার বিষয়গুলো ঠিকঠাকভাবে প্রতিপালন হচ্ছে না। ভোক্তা অধিদপ্তর, খাদ্য অধিদপ্তর, বিএসটিআইসহ আরও অনেক দপ্তর যথাযথ তদারকি করলে জিআই নিবন্ধনের সুফল পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া ব্যবসায়ী সমিতিগুলো ও সরকারি দপ্তরগুলোকে সহায়তা করতে হবে।

প্রথম আলো:

বিভিন্ন পণ্যের পাশাপাশি প্রথাগত জ্ঞানের স্বত্ব নিয়েও এখন আলোচনা চলছে। যেমন লালনের গান, হাসন রাজার গান, বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর চাষপদ্ধতি, চিকিৎসাপদ্ধতি ইত্যাদি। এসব নিয়ে কী করা উচিত এবং আমরা কতটুকু করেছি?

তৌহিদুল ইসলাম: প্রথাগত জ্ঞান (ট্র্যাডিশনাল নলেজ) ও প্রথাগত সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি (ট্র্যাডিশনাল কালচারাল এক্সপ্রেশন) নিয়ে এখনো কোনো বহুপক্ষীয় চুক্তি হয়নি। তবে আলোচনা চলছে। ভারত যেমন প্রথাগত জ্ঞানের ভান্ডার গড়ে তুলেছে। এর ফলে তৃতীয় পক্ষগুলো প্রথাগত জ্ঞানের ওপর অবৈধ বা ভিত্তিহীন মেধাস্বত্বের অধিকার লাভ করে না। কেউ এগুলো ব্যবহার করে কোনো উদ্ভাবন করে মেধাস্বত্বের নিবন্ধন নিয়ে বাজারজাত করলে স্থানীয় জনগণকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করতে পারে বা নিবন্ধন বাতিল করানো যেতে পারে। প্রথাগত জ্ঞান ও প্রথাগত সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিগুলোকে নিজস্ব উপায়ে (সুই জেনেরিস) বা জিআই-এর মাধ্যমে সুরক্ষা দেওয়া যেতে পারে।

প্রথম আলো:

জিআই নিয়ে একটি আলাদা কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছেন কেউ কেউ। কারণ, জিআই তো শুধু একটি বিষয় নিয়ে নয়। এতে নানা গোষ্ঠীর নানা বিষয় জড়িত। এর বহুমাত্রিকতার নিরিখে এমন একটি কমিশন গঠনের গুরুত্ব কতটুকু আর সেটি কীভাবে গঠিত হতে পারে?

তৌহিদুল ইসলাম: আমাদের জিআই পণ্যের সংখ্যার নিরিখে এটির এখনই দরকার না-ও হতে পারে। তবে অনেক জিআই পণ্য যেহেতু বহু মানুষের রুটিরুজির জোগান দেয়, এটি অনেক সম্ভাবনাময়। আবার এটির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যেতে পারে। তাই এটি নিয়ে ভাবতে হবে। এ ছাড়া বর্তমান বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্য করে টিকে থাকতে হলে প্রতিযোগিতা করতে হবে এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারে মেধাস্বত্ব তথা জিআইকে কাজে লাগাতে হবে। এটি পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। এরূপ কমিশনে স্বত্বাধিকারী বা তাদের সংগঠন, ইতিহাসবিদ, মেধাস্বত্ববিষয়ক আইনজ্ঞ, জিআই ইউনিট, অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি রাখা যেতে পারে।

প্রথম আলো:

আমরা দেখছি, পণ্যের জিআই নিয়ে আমরা শুধু সরকারের ওপর ভরসা করছি। কিন্তু বিভিন্ন ব্যবসায়িক সমিতি বা বেসরকারি উদ্যোগের এখানে কি কোনো দায় নেই? বেসরকারি খাত কীভাবে অবদান রাখতে পারে?

তৌহিদুল ইসলাম: আগেই বলেছি, যাঁরা জিআই পণ্য তৈরি বা বাজারজাতের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বা ব্যবসায়ী সমিতির উচিত পণ্য নিবন্ধনে সরকারি দপ্তরগুলোকে সহায়তা করা। তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন পণ্যটি কবে বা কোথা থেকে এসেছে এবং কারা কারা এ পণ্যের সঙ্গে জড়িত। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে পণ্যের জিআই করতে খুব তৎপর হতে দেখা যায় না। ব্যবসায়িক গোষ্ঠী তৎপর হলে সরকারের কাজও ত্বরান্বিত হতে পারে।

প্রথম আলো:

সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

তৌহিদুল ইসলাম: আপনাকেও ধন্যবাদ।