বিশেষ সাক্ষাৎকার: আসিফ সালেহ্

যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বেশি, সেখানে দারিদ্র্য বেশি

আসিফ সালেহ্‌ ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক। স্বাধীনতার পর থেকে ব্র্যাক দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য, কৃষি খাতে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তাদের সব কাজেই জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সে কারণে প্রতিটি কর্মসূচি প্রণয়নের সময় বিষয়টি মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে হচ্ছে। ব্র্যাকের কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক শেখ সাবিহা আলম

প্রথম আলো:

স্বাধীনতার পর থেকে ব্র্যাককে আমরা দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে কাজ করতে দেখেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় আপনারা যুক্ত হলেন কোন প্রেক্ষাপটে?

আসিফ সালেহ্‌: ব্র্যাক থেকে আমরা ২০২১-২৫ মেয়াদি কর্মকৌশল তৈরির কাজ করছিলাম। সত্তর–আশির দশকে ব্র্যাক মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে কাজ করেছে। একটা সময় আমরা ৬৪ হাজার স্কুল চালিয়েছি। স্বাস্থ্য, কৃষি, দারিদ্র্য বিমোচনেও কাজ করেছে ব্র্যাক।

ভেবে দেখলাম, এ মুহূর্তে জাতীয় পর্যায়ে কোনো কর্মসূচির দরকার নেই। আমরা দুই কোটি অতিদরিদ্র মানুষের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করলাম। এসব মানুষ স্বাধীনতার পর থেকে দেশের যে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে, সেই ট্রেনটা ধরতে পারেনি।

দেখা গেল, যেসব অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বেশি, সেখানে দারিদ্র্যও বেশি। আমাদের একটা আলট্রা পুওর গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রাম আছে। ওই কর্মসূচিতে দেখা গেছে, হয়তো এক টুকরা জমি বা ছোট একটা মাছের খামার দিয়ে কেউ দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টা করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির কারণে তিনি এগোতে পারেননি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আসলে সর্বব্যাপী।

প্রথম আলো:

মাঠ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের কী কী বিপদের খবর পাচ্ছেন?

আসিফ সালেহ্‌: যে কাজই করি না কেন, তাকে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের লেন্স দিয়ে দেখতে হচ্ছে। একটা উদাহরণ দিই।

আমরা প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও জীবিকাকেন্দ্রিক কাজ করি। জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি খাত। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার অঞ্চলে স্বাস্থ্য কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। আগে হয়তো আমরা শুধু মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতাম। এখন দেখা যাচ্ছে, অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে মাতৃস্বাস্থ্য তো খারাপ হচ্ছেই, সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস যুক্ত হয়েছে।

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত মৃত্যু সবচেয়ে বেশি খুলনা অঞ্চলে। দেশের ৩৫টি জেলা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে আছে। বছর দশেকের মধ্যে দেশের বড় একটা অংশের মানুষ সুপেয় পানির সংকটে ভুগবে। মাঠের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা মোটাদাগে আমাদের কাজকে চারটা ভাগে ভাগ করেছি।

প্রথম আলো:

আপনাদের কাজের জায়গাগুলো কী কী?

আসিফ সালেহ্‌: পানির সংকটটাই বড় চ্যালেঞ্জ। সুন্দরবন বা আমাদের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততার সংকট, বরেন্দ্র অঞ্চলে খরা আছে, পার্বত্য চট্টগ্রামেও পানির তীব্র সংকট। এসব অঞ্চলে মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছে না, চাষাবাদের পানি নেই। প্রথমে আমরা এর সমাধান খুঁজে বের করতে চেয়েছি।

আমরা দেখেছি, বাংলাদেশে গড় বৃষ্টি হয়তো কমেনি। কিন্তু বৃষ্টি যখন শুরু হওয়ার কথা, এর দৈর্ঘ্য যেমন হওয়ার কথা—তেমনটা হচ্ছে না। দু–তিন দিনে হয়তো মাসখানেকের সমান বৃষ্টি হচ্ছে। এই পানি জমিয়ে রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং করা যায়।

সাতক্ষীরার একটি উপজেলায় আমরা এই মডেল দাঁড় করানোর চেষ্টা করছি। জমানো পানি দিয়ে একটা বাড়ি কীভাবে চলতে পারে, কমিউনিটি কীভাবে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিতে পারে বা পানি উদ্যোক্তারা কীভাবে কাজ করতে পারে—এসবই আমরা দেখার চেষ্টা করছি।

প্রথম আলো:

পানি উদ্যোক্তা বলতে কী বোঝাচ্ছেন?

আসিফ সালেহ্‌: পানি উদ্যোক্তাদের কাজ হবে, লবণাক্ত পানি ছোট শোধনাগারে পরিশোধন করে সামর্থ্যবান মানুষের কাছে বিক্রি করা। আমরা চাইছি আমাদের মডেলটা ছড়িয়ে যাক।

অর্থ এখানে বড় বিষয়। শুধু একটা উপজেলায় পানিবিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে ৫০ লাখ ডলার লেগে যাচ্ছে। আমি শুধু সাতক্ষীরার কথা বললাম।

বরেন্দ্র অঞ্চলে আমাদের অন্য উদ্যোগ নিতে হয়েছে। ওই এলাকায় সাঁওতাল দুই ভাই সেচের পানি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার পরপরই আমাদের দল বরেন্দ্র অঞ্চলে গিয়ে দেখে, পানি নিয়ে সেখানে বিশাল চক্র গড়ে উঠেছে। সেই পরিস্থিতি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আরও খারাপ হয়েছে।

আমরা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওই এলাকায় পুকুর খনন করা যায়। এর বাইরে রাজস্থানসহ মরু অঞ্চলে পানিসংকট মোকাবিলায় যেসব সফল উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেগুলোও আনার চেষ্টা করছি। এ এলাকার জন্য আমরা বড় বরাদ্দ রেখেছি। আবার শুধু সমস্যা সমাধান করলেই চলবে না। প্রান্তিক মানুষের জন্য অভিগম্যতাও নিশ্চিত করতে হবে।

প্রথম আলো:

চারটি খাতে কাজের কথা বলছিলেন...

আসিফ সালেহ্‌: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শস্য ক্যালেন্ডার বদলে গেছে। যে ফসল যে সময়ে ঘরে ওঠার কথা, সেটা উঠছে না। অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা—এমন নানা কিছু ঘটছে। লবণাক্ততার সমস্যা আছে।

কৃষিতে আমাদের কাজ অনেক। পানির কাজ করতে হবে। বিদ্যমান কৃষিকাজে পরিবর্তন আনতে হবে। দক্ষিণাঞ্চলের জন্য আমাদের লবণাক্ততা–সহিষ্ণু শস্য, ফল ও ফসল খুঁজতে হবে। সাতক্ষীরার আশাশুনিতে আমরা সূর্যমুখীর চাষ করেছি। সূর্যমুখী বিক্রি করে কৃষকেরা ভালো আয় করতে পারেন।

তৃতীয় দিক হচ্ছে, ঝুঁকি কমানো। যেহেতু আবহাওয়ার ঠিকঠিকানা নেই, আমাদের এমনভাবে কাজ করতে হবে, যেন প্রান্তিক মানুষের ঝুঁকি নেওয়ার সক্ষমতা বাড়ে। যেমন আমরা যেসব ঘর তৈরি করছি, সেগুলো যেন জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা সামলাতে পারে। এ জন্য খুব বেশি খরচ লাগে না। ঘরের নকশাটা একটু পরিবর্তন করলেই চলে।

আমরা আরেকটা জিনিস করেছি, সেটা হলো শস্যবিমা। সুনামগঞ্জে আকস্মিক বন্যায় ফসল হারানোর ঘটনা প্রায় নিয়মিত। এই অঞ্চলের মানুষের জন্য অল্প খরচে শস্যবিমাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এবার আলুচাষিদের কথা মাথায় রেখে শস্যবিমা করেছিলাম। অসময়ে বৃষ্টিতে তাঁদের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। কৃষকেরা এবার তাঁদের বিমার প্রিমিয়াম পেয়েছেন। হয়তো এই অর্থ দিয়ে তাঁদের ক্ষয়ক্ষতি পুরো পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু নতুন করে বীজ কেনা, ফসল উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।

আরেকটি কাজ হচ্ছে, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ঠিকঠাক পেতে আমরা এমআইটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। ওরা স্যাটেলাইট ইমেজ দিয়ে সাতক্ষীরার জন্য মডেলিং তৈরি করেছে। এর ভিত্তিতে আমরা অন্তত ছয় মাস থেকে এক বছর আগে দুর্যোগের খবর পাব।

প্রথম আলো:

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন, ভবিষ্যতে হবেন। তাঁদের জন্য অভিযোজনের প্রক্রিয়াটা কেমন হবে। উপকূলীয় অঞ্চল তলিয়ে যাওয়ার কথা শুনছি আমরা...

আসিফ সালেহ্‌: আমরা জেনেছি, ২০৪৭ সালের মধ্যে ১৭ শতাংশ পানির নিচে চলে যাবে। বিষয়টা এমন নয়, ২০৪৭ সালে হঠাৎ একদিন ঘুম ভেঙে দেখব, আমাদের ১৭ শতাংশ জমি চলে গেছে।

নীরব বাস্তুচ্যুতি চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। ঢাকার বস্তিগুলোতে আমরা একটা জরিপ করেছিলাম। তাতে দেখেছি, বাস্তুচ্যুত ৬৩ শতাংশ মানুষ ১০ জেলা থেকে এসেছে।

এসব জেলায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বেশি। সেই জায়গা থেকে আমরা ক্লাইমেট ফ্রেন্ডলি (জলবায়ু পরিবর্তন–সহিষ্ণু) শহর তৈরি করতে পারি।

প্রথম আলো:

ঢাকাকে পরিবর্তনের সুযোগ আছে?

আসিফ সালেহ্‌: সবাই ঢাকায় আসবে, এমনটা নয়। সাতক্ষীরার লোকজন খুলনায়, ভোলার লোকজন হয়তো বরিশালে যাবে। খুলনার মোংলায় ক্লাইমেট মাইগ্রেন্ট ফ্রেন্ডলি শহর তৈরির ব্যাপারে আমরা ওই অঞ্চলের মানুষ ও মেয়রদের সঙ্গে কাজ করছি। ২০২৪ সালে হয়তো এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে। একই সঙ্গে সাতক্ষীরা, রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও হাওর অঞ্চলে কাজ চলছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পানির সংকট আছে, অর্থনৈতিকভাবেও এ অঞ্চল অনেক পিছিয়ে আছে। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকায় এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাপনপদ্ধতি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। পশ্চিমারা শিখছে, আমাদেরও অনুসরণ করা উচিত।

প্রথম আলো:

জলবায়ু পরিবর্তনকে এখনো আমরা, বিশেষ করে শহুরে লোকজন দূরের বলে মনে করি। আপনারা সাধারণ মানুষের সহযোগিতা কেমন পাচ্ছেন?

আসিফ সালেহ্‌: একটা সময় জলবায়ু পরিবর্তনকে জটিল বৈজ্ঞানিক বিষয় বলে মনে করা হতো। আমাদের মানুষ তো জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা করেই বেঁচে আছেন। তাঁদের ফল ও ফসল নষ্ট হচ্ছে, তাঁরা পর্যাপ্ত মাছ পাচ্ছেন না। তাঁদের নিজেদের জীবন, তাঁদের মহামূল্যবান সম্পদ গবাদিপশুর জীবন যাচ্ছে।

তরুণেরা পরিবর্তনে বিশ্বাসী। আমরা সহযোগিতাও পাচ্ছি। আমরা দুর্যোগসহিষ্ণু বাড়ি করে দিয়েছি দক্ষিণাঞ্চলে। দোতলা বাড়ি করতে ছয় লাখ টাকা করে খরচ পড়েছে। দুর্যোগকালে এসব বাড়ির একতলায় গবাদিপশু থাকতে পারবে। আশপাশের কয়েকটি পরিবারও আশ্রয় নিতে পারবে। আমরা এসব বাড়ির নাম দিয়েছি, ‘আমার ঘর, আমার শেল্টার’।

প্রথম আলো:

জলবায়ু পরিবর্তনে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় কতটা?

আসিফ সালেহ্: আমাদের একসঙ্গে অনেক কাজ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে ব্যাপক বোঝাপড়া প্রয়োজন। একটা সময় বৈশ্বিক উত্তরের দেশগুলো বলত, তাপমাত্রা যেন দেড় ডিগ্রির বেশি না বাড়ে। সেটাই আমাদেরও লক্ষ্য। তাদের বোঝানো কঠিন হয়ে যাচ্ছিল, এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আগে অভিযোজনটা করতে হবে।

উন্নত দেশগুলো বলল, তোমাদের পরিকল্পনা কোথায়? কিসে আমরা অর্থ দেব? তখন দেশগুলো পরিকল্পনা করল। তিন–চার বছরে পরিকল্পনা প্রস্তুত হয়েছে। দেশে ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্ল্যান ও মুজিব প্রসপারিটি প্ল্যান আছে। এখন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রকল্প বানাতে হবে। সেই দিকে তেমন অগ্রগতি নেই।

লস অ্যান্ড ড্যামেজের (ক্ষয়ক্ষতি) ব্যাপারে কথা হয়েছে। কিন্তু সেটা বিপর্যয়কেন্দ্রিক ক্ষতিপূরণ, পরিমাণও কম। ৭০-৮০ কোটি ডলার বরাদ্দ আছে। পাকিস্তানে এক বন্যাতেই ৪০ বিলিয়ন ডলার গেছে। সুনামগঞ্জে এক বন্যায় এক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।

প্রথম আলো:

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কি একসুরে কথা বলছে না?

আসিফ সালেহ্: সমন্বয়ের কাজটা সেভাবে শুরু হয়নি। সরকারের মধ্যেই সেভাবে হয়েছে কি না, দেখতে হবে। কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, পরিবেশ, আবহাওয়া—সবার মধ্যেই সমন্বয় দরকার। আমাদের এখন ‘ওয়ান গভর্নমেন্ট অ্যাপ্রোচ’ নিতে হবে। একই বিষয়ে সবাই আলাদা প্রকল্প নিলে তো সমস্যা।

প্রথম আলো:

সম্প্রতি কপ-২৮ শেষ হলো। আপনারাসহ বাংলাদেশ থেকে অনেকে অংশ নিয়েছেন। সেখান থেকে আমরা কী পেলাম?

আসিফ সালেহ্: কপের আসল বিষয় হলো দর-কষাকষি নিয়ে আলোচনা। আবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বোঝাপড়া কপের আগেই হয়ে যায়। সে জায়গায় আমাদের সরকারের আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। তবে এ জায়গায় সাবের হোসেন চৌধুরীকে ধন্যবাদ দিতেই হবে। তিনি খুবই সক্রিয় ছিলেন।

দুটি বিষয়ে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। লস অ্যান্ড ড্যামেজের ক্ষেত্রে যে প্রতিশ্রুতি ছিল, সেগুলো বাস্তবায়নের কথা এসেছে এবং জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে দেশগুলো একমত হয়েছে।

অভিযোজনে অর্থায়নের ব্যাপারে তেমন শক্ত কোনো উদ্যোগ নেই। অভিযোজনে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা ছিল। সেটা দেওয়া হয়নি। উন্নত দেশগুলো মাত্র ৩ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। অনেক ঋণকেও তহবিল হিসেবে দেখানো হয়েছে। বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি কত, কত ছাড় করা হয়েছে এবং কী হিসেবে, দেশে সেগুলোর সদ্ব্যবহার হচ্ছে কি না—দেখা দরকার। তবে অভিযোজন নিয়ে এবার অনেক আলোচনা হয়েছে। সেদিক থেকে আশা করা যায়, এরপর হয়তো কিছু হবে।

প্রথম আলো:

আপনাকে ধন্যবাদ।

আসিফ সালেহ্: আপনাকেও ধন্যবাদ।