মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে আইন প্রয়োগ করতে হবে

টাঙ্গাইলে কলায় ধাপে ধাপে অতিরিক্ত রাসায়নিক দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এতে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রথম আলো কথা বলেছে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রযুক্তি ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আজিজুল হকের সঙ্গে।

আজিজুল হক

প্রশ্ন :

টাঙ্গাইলের মধুপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফল চাষে ও পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

আজিজুল হক: ফলন বাড়ানো এবং ফল পাকানোর জন্য অনেক সময়ই বিভিন্ন রকমের কীটনাশক ও রাসায়নিক (কার্বাইড, ইলোপেন ইত্যাদি) ব্যবহার করা হয়। পরিমিত মাত্রায় এসব ব্যবহার খাদ্যের জন্য নিরাপদ হলেও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে ভয়ংকর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে মানবদেহের ওপর।

প্রশ্ন :

মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহারে কী কী প্রভাব পড়ে মানবদেহের ওপর?

আজিজুল হক: দীর্ঘদিন অতিরিক্ত মাত্রার কীটনাশক ও রাসায়নিকযুক্ত খাবার খেলে নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার (স্মৃতিশক্তি হ্রাস, হাত–পায়ের অসারতা, খিঁচুনি) হতে পারে। গবেষকেরা বলছেন, জন্মগত ত্রুটি, অটিজম, কিডনি বিকল, এমনকি ক্যানসারের ব্যাপকতার সঙ্গে খাদ্যে বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক ও কীটনাশকের অসতর্ক ব্যবহারের সম্পৃক্ততা আছে।

প্রশ্ন :

তাহলে কীটনাশক ও রাসায়নিক ব্যবহার কীভাবে করা উচিত?

আজিজুল হক: সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী, পরিমাণমতো ব্যবহার করা উচিত। পরিমাণমতো ব্যবহার করলে ফসল উৎপাদনে সহায়ক হবে। পাশাপাশি মানবদেহে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে না।

প্রশ্ন :

মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার কমানোর বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন?

আজিজুল হক: এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। চাষি ও ভোক্তাপর্যায়ে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম চালাতে হবে। ভোক্তা সচেতন না হলে কোনো কাজ হবে না। শুধু খামারিপর্যায়ে চাপ বা দোষ দিয়ে লাভ হবে না। এ–সংক্রান্ত আইন প্রয়োগ করতে হবে। এর বাইরেও বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটিকে (বিএফএসএ) আরও শক্তিশালী করতে হবে। এর কার্যক্রম জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।