আপনি বেশ কয়েক বছর বাংলাদেশে বায়ুদূষণ নিয়ে গবেষণাভিত্তিক কাজ করছেন। বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশ হিসেবে পরিচিত। তবে দক্ষিণ এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশেও বায়ুদূষণের মাত্রা খুব বেশি। তবু আপনি কেন বিশেষভাবে বাংলাদেশের বায়ুদূষণ নিয়ে আগ্রহী হলেন?
মার্টিন ম্যাটসন: আমি বাংলাদেশে গবেষণা করছি প্রায় ১২ বছর। প্রথমে গবেষণা সহকারী হিসেবে এসেছিলাম, পরে পিএইচডি শিক্ষার্থী হিসেবে, আর এখন একজন সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছি। শুরুতে আমার গবেষণাগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজের দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়ে ছিল, বায়ুদূষণ নিয়ে নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি এখানে অনেক বন্ধুত্ব করেছি, দেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। ২০২১ সালে পিএইচডি শেষ করার পর ভাবলাম, আমার গবেষণার মাধ্যমে বিশ্বের কোন বড় সমস্যাগুলোর সমাধানে অবদান রাখা যায়। তখনই বুঝলাম, বায়ুদূষণ এমন একটি গুরুতর সমস্যা, যেখানে আমি কাজ করতে পারি। আর যেহেতু বাংলাদেশে এটি একটি বড় সমস্যা, তাই এখান থেকেই কাজ শুরু করা স্বাভাবিক ছিল।
কয়েক বছর আগে আপনি ঢাকার মিরপুর এলাকায় বায়ুদূষণ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। সেখানে আপনি দেখেছেন, ঘরের ভেতরের বাতাস বাইরের মতোই দূষিত। এটি একটি নতুন ধরনের তথ্য। বিষয়টি একটু ব্যাখ্যা করবেন?
মার্টিন ম্যাটসন: হ্যাঁ, আমরা মিরপুরের পাঁচ শতাধিক পরিবারকে বাতাস মাপার যন্ত্র দিয়েছিলাম এবং বাইরে দুটি মনিটর বসিয়েছিলাম। পরে দেখা গেল, ঘরের ভেতরের বাতাস বাইরের মতো প্রায় সমানই দূষিত। অন্য গবেষণায়ও একই ধরনের ফলাফল এসেছে। তাই বিষয়টি এখন বেশ প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু মানুষ এখনো মনে করে, বায়ুদূষণ কেবল বাইরের সমস্যা। কারণ, বাইরে ধোঁয়া বা কুয়াশা দেখা যায়, কিন্তু ঘরের ভেতরের বাতাসে দূষণ চোখে পড়ে না। উপরন্তু প্রায় সব সরকারি মনিটরই বাইরে স্থাপন করা হয়, তাই সংবাদমাধ্যমও বায়ুদূষণকে বাইরের সমস্যা হিসেবেই উপস্থাপন করে।
বায়ুদূষণ এমন একটি সমস্যা, যা সবাইকে প্রভাবিত করে—ধনী বা গরিব, গ্রামীণ বা শহুরে, তরুণ বা বৃদ্ধ—সবাই শ্বাস নেন, আর সবাই এর ক্ষতি ভোগ করেন।
বায়ুদূষণ আমাদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে কম উৎপাদনশীল করে তুলছে। তাই এটি সম্ভবত সমাজ হিসেবে আমাদেরও কম উৎপাদনশীল করে তুলছে।
বাংলাদেশে বায়ুদূষণ নিয়ে নানা ভুল ধারণা প্রচলিত। আপনি এ বিষয়ে লিখেছেনও। সেসব ভুল ধারণার কিছু উদাহরণ দেবেন?
মার্টিন ম্যাটসন: সবচেয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা হলো, বায়ুদূষণ কেবল ঘরের বাইরের সমস্যা। আসলে তা নয়। আরেকটি ভুল ধারণা হলো, বায়ুদূষণ কেবল শহরের সমস্যা। শহরে দূষণ কিছুটা বেশি হলেও গ্রামে এর মাত্রা অনেক বেশি। এটি এমন একটি সমস্যা, যা সবাইকে প্রভাবিত করে—ধনী বা গরিব, গ্রামীণ বা শহুরে, তরুণ বা বৃদ্ধ—সবাই শ্বাস নেন, আর সবাই এর ক্ষতি ভোগ করেন। আরেকটি ভুল ধারণা হলো, গাছ লাগালে বা ঘরে গাছ রাখলে বায়ুদূষণ কমে। গাছ নিঃসন্দেহে অনেকভাবে উপকারী, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তারা বাতাসের দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে না।
আরও একটি ভুল ধারণা হলো, বায়ুদূষণ নিয়ে উদ্বেগ মানেই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ। জলবায়ু পরিবর্তন নিঃসন্দেহে একটি বৈশ্বিক সমস্যা, কিন্তু আমি বায়ুদূষণ নিয়ে এত চিন্তিত মূলত এর স্বাস্থ্যগত ক্ষতির কারণে। অনুমান করা হয়, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৬০ হাজার মানুষ কেবল বায়ুদূষণের কারণে মারা যায়। অর্থাৎ প্রতিবছর যেন ৫০টি রানা প্লাজা ধসের মতো বিপর্যয় ঘটছে! আমি আশা করি, বিষয়টিতে মনোযোগ আনলে এবং কিছু বাস্তবসম্মত সমাধান দিলে অন্তত কিছু মৃত্যু রোধ করা যাবে এবং মানুষের স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষমতা উন্নত হবে।
আপনি পরিবেশ অধিদপ্তর বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে আপনার গবেষণার ফলাফল নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা কী বলেছে?
মার্টিন ম্যাটসন: পরিবেশ অধিদপ্তর এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সমস্যাটি সম্পর্কে খুব সচেতন এবং আমার গবেষণার ফলাফলের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, তারা এ বছর শুল্ক বিভাগকে অনুরোধ করেছে যেন এয়ার পিউরিফায়ারের ওপর কর ও শুল্ক কমানো হয়। তাদের একটি দক্ষ দল আছে, যারা বায়ুর মান উন্নয়নে কাজ করছে। তবে এটি খুব জটিল একটি সমস্যা, রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়। আমি আশা করি, আমার গবেষণা তাদের কার্যকর পদক্ষেপ বেছে নিতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশে বায়ুদূষণের উৎস নিয়ে নানা আলোচনা হয়। কিন্তু আমরা কি প্রকৃতপক্ষে জানি, কোন উৎস কতটা দূষণের জন্য দায়ী?
মার্টিন ম্যাটসন: দুঃখজনকভাবে উত্তর হলো—না, এখনো সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি, কোন উৎস থেকে কতটা দূষণ আসে। আমরা জানি, যানবাহন, ইটভাটা, বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, বিভিন্ন শিল্পকারখানা, রান্নায় কঠিন জ্বালানি ব্যবহার, বর্জ্য পোড়ানো, সড়কের ধুলা, নির্মাণকাজ—সবই বড় উৎস। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ বলা হয়েছে, কোনো একমত সিদ্ধান্ত নেই। যেমন ঢাকার বায়ুদূষণের কতটা ইটভাটা থেকে আসে, কেউ বলছে অর্ধেকের বেশি, কেউ বলছে মাত্র এক-দশমাংশ। আমি পরিবেশবিজ্ঞানীদের মধ্যে এ বিষয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।
ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া, শিল্পকারখানা, সীমান্তবর্তী দূষণ—সবই বড় উৎস। কিন্তু সরকারি উদ্যোগ খুব সীমিত। এখন শহরে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহারের কথা উঠেছে। মূল সমস্যাগুলোর সমাধান না করে এমন ব্যয়বহুল যন্ত্রের ব্যবহার কতটা যৌক্তিক?
মার্টিন ম্যাটসন: আমি মনে করি এয়ার পিউরিফায়ার ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার একটি ভালো উপায়। আমরা গবেষণায় দেখেছি, ১৭ হাজার টাকার মতো মূল্যের একটি যন্ত্র ঘরের বাতাসের দূষণ ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে, যদি জানালা-দরজা বন্ধ থাকে। তাই শীতের রাতে, যখন জানালা বন্ধ থাকে এবং দূষণও বেশি থাকে, তখন এটি কার্যকর সমাধান হতে পারে। আমি মনে করি, স্কুল, হাসপাতাল ও অন্যান্য জনসমাগমস্থলেও এটি থাকা উচিত। তবে যাদের ঘর টিনশেড বা জানালা পুরোপুরি বন্ধ করা যায় না, তাদের ক্ষেত্রে এয়ার পিউরিফায়ার ততটা কার্যকর নয়।
আমি মনে করি না যে দূষণের উৎস কমানো ও এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহারের মধ্যে কোনো বিরোধ আছে। দুটোই দরকার। যেমন আমরা পানির ফিল্টার ব্যবহার করি, তেমনি বাতাসের জন্যও ফিল্টার ব্যবহার করা উচিত। ঢাকায় প্রায় প্রতিটি মধ্যবিত্ত পরিবারে পানির ফিল্টার আছে, কিন্তু প্রায় কারও ঘরে এয়ার পিউরিফায়ার নেই।
এয়ার পিউরিফায়ার চালাতে বিদ্যুৎ লাগে। এটি কি আর্থিকভাবে টেকসই?
মার্টিন ম্যাটসন: এয়ার পিউরিফায়ার আসলে একটি ফ্যানের মতো, যা বাতাসকে ফিল্টারের মধ্য দিয়ে চালায়। এটি সিলিং ফ্যান বা একটি সাধারণ বাতির সমান বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। তাই যেখানে মানুষ গরমে ফ্যান চালায়, সেখানে দূষণের সময় এয়ার পিউরিফায়ার চালানো সম্ভব। এয়ার পিউরিফায়ারকে যেন এয়ার কন্ডিশনারের সঙ্গে গুলিয়ে না ফেলা হয়—এসি অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে, কিন্তু বাতাস পরিশোধন করে না।
বায়ুদূষণ রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। নানা জটিল বিষয় জড়িত। সরকারও এখনো তেমন কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। এই পরিস্থিতিতে আপনার মতে কী করা উচিত?
মার্টিন ম্যাটসন: সরকার কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে এবং আমি জানি, বর্তমান উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। অগ্রগতি হয়তো ধীর, কিন্তু আমি আশাবাদী, আসন্ন শীত মৌসুমে কিছু উন্নতি দেখা যাবে। আমি মনে করি, সরকার ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারে, যেগুলোর কিছু তারা ইতিমধ্যেই করছে বা পরিকল্পনায় রেখেছে: এক. কয়লা ও ডিজেলের মতো সবচেয়ে দূষণকারী জ্বালানির ওপর কর ও শুল্ক বাড়ানো। এতে রাজস্বও বাড়বে এবং মানুষ এসব জ্বালানি থেকে সরে আসবে; দুই. গ্রামে এলপি গ্যাসে ভর্তুকি দেওয়া, যাতে মানুষ কাঠের মতো কঠিন জ্বালানি কম ব্যবহার করেন। এতে ঘরের ভেতরের দূষণও কমবে; তিন. বর্জ্য পোড়ানো ধরা পড়লে কঠোর জরিমানা করা, বিশেষ করে বড় শহরের ভেতরে বা আশপাশে; চার. পরিবেশ আইন প্রয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়া সবচেয়ে ক্ষতিকর উৎসগুলোর ওপর, যেমন শহরের বাতাসের গতিপথের ওপরের দিকের ইটভাটাগুলো। আমি বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে সহায়তা করছি; পাঁচ. পুরোনো ও দূষণকারী বাস ও ট্রাক ধীরে ধীরে বাদ দেওয়া। সরকার ইতিমধ্যে এটি নিয়ে কাজ করছে এবং ছয়. শীতকালে যখন দূষণ সবচেয়ে বেশি, তখন প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ ও হাসপাতালের কক্ষে বাধ্যতামূলকভাবে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশের মতো অর্থনীতিতে বায়ুদূষণ তুলনামূলকভাবে একটি নতুন সমস্যা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও এটি একটি জরুরি স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন। আমাদের স্বাস্থ্যপরিকাঠামো এই সমস্যার মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত বলে আপনি মনে করেন? এই প্রসঙ্গে নগর স্বাস্থ্যসেবায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?
মার্টিন ম্যাটসন: বায়ুদূষণ যে স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো সৃষ্টি করে, যেমন হৃদ্রোগ, শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত অসুস্থতা ইত্যাদি—এ সমস্যাগুলো ইতিমধ্যে বিদ্যমান। অবশ্যই স্বাস্থ্যপরিকাঠামো আরও কার্যকর হলে ভালো হতো, কিন্তু আমি মনে করি না যে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বিশেষভাবে বায়ুদূষণের কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলোর জন্য আলাদা প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন আছে। তবে আমার মতে, সব হাসপাতালের মধ্যে এয়ার পিউরিফায়ার থাকা উচিত, যাতে হাসপাতালে থাকা রোগীরা, যাঁরা সাধারণত বিশেষভাবে সংবেদনশীল, বায়ুদূষণের সঙ্গে কম পরিমাণে সংস্পর্শে আসে।
আরও বেশি কার্যকর হবে যদি সরকার এবং মিডিয়া জনগণকে বায়ুদূষণ থেকে নিজেদের রক্ষা করার উপায় সম্পর্কে ভালো পরামর্শ দেয়। উদাহরণস্বরূপ, আমি মনে করি, যে যেসব পরিবার অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করে এবং যেখানে দরজা ও জানালা বন্ধ রাখা যায়, তাদের জন্য সাধারণ পরামর্শ হওয়া উচিত—একটি এয়ার পিউরিফায়ার কেনা এবং উচ্চ বায়ুদূষণের দিনগুলোতে দরজা-জানালা বন্ধ রেখে এটি চালানো। সেই ধরনের দিনে বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করাও ভালো পরামর্শ।
বাংলাদেশে দ্রুত নগরায়ণ হচ্ছে। নতুন নতুন শহর গড়ে উঠছে আবার পুরোনো শহরগুলোতে চাপ বাড়ছে জনসংখ্যার। নগরায়ণের ক্ষেত্রে বায়ুদূষণের মতো সমস্যাগুলোর জন্য শহরগুলো কতটা তৈরি। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আপনি কীভাবে এ সমস্যার সমাধান খোঁজেন?
মার্টিন ম্যাটসন: সাধারণভাবে বলতে গেলে, আমি বায়ুদূষণের অর্থনৈতিক প্রভাব (স্বাস্থ্যগত প্রভাবের বাইরে) মূল্যায়ন করা দুই ধরনের গবেষণা দেখেছি। প্রথম ধরনের গবেষণা ব্যক্তিগত উৎপাদনশীলতার ওপর প্রভাব দেখে। এ ধরনের গবেষণাগুলো সাধারণত দেখায় যে কম বায়ুদূষণের সময় কর্মীরা বেশি উৎপাদনশীল হন। এটি প্রমাণিত হয়েছে উভয় ধরনের শ্রমে—হাতের শ্রম যেমন ফল তোলার শ্রমিক বা পোশাক কারখানার শ্রমিক এবং মেধাশ্রম যেমন কল সেন্টারের কর্মী বা দাবার খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে বায়ুদূষণ আমাদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে কম উৎপাদনশীল করে তুলছে। তাই এটি সম্ভবত সমাজ হিসেবে আমাদেরও কম উৎপাদনশীল করে তুলছে।
দ্বিতীয় ধরনের গবেষণা আঞ্চলিক জিডিপিতে বায়ুদূষণের প্রভাবের ওপর মনোযোগ দেয় এবং দেখায় যে বায়ুদূষণের সঙ্গে জিডিপির হ্রাসের সম্পর্ক রয়েছে। এই ফলাফলগুলো প্রথম ধরনের গবেষণার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, তবে এই গবেষণাগুলো বায়ুদূষণের সঠিক প্রভাব নির্ধারণ করা এবং অন্যান্য ভেরিয়েবল থেকে আলাদা করা তুলনামূলকভাবে কঠিন। তবে এই দুই ধরনের গবেষণা সাধারণত সংক্ষিপ্ত মেয়াদি প্রভাব বিবেচনা করে—এক দিন থেকে সর্বোচ্চ সম্ভবত এক বছর পর্যন্ত। আমি মনে করি না আমরা জানি যে বাংলাদেশের বা অন্যান্য উচ্চ দূষিত দেশের মানুষেরা যে দশকের বায়ুদূষণে অভ্যস্ত, তার প্রভাব কতটা বড়।
সমাজের কোন গ্রুপ সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়, এই প্রশ্নে সবচেয়ে সহজ উত্তর হলো, সব গ্রুপই প্রভাবিত হয়। সবাই শ্বাস নেয় এবং আমরা সবাই দূষিত বাতাস শ্বাস নেওয়ার সময় প্রভাবিত হই। বিভিন্ন সামাজিক-অর্থনৈতিক গ্রুপের মধ্যে হয়তো কিছু পার্থক্য আছে, তবে আমি মনে করি, এই পার্থক্যগুলো মোট প্রভাবের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ছোট।
সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মার্টিন ম্যাটসন: আপনাকেও ধন্যবাদ।