অতীতের ভুল শুধরেই বামপন্থীরা এগিয়ে যাবে

মানিক সরকার
মানিক সরকার
মানিক সরকার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৯৮ সাল থেকে টানা চারবার এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন। একই সঙ্গে ভারতের মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টি—সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর সদস্য তিনি। অত্যন্ত সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত মানিক সরকার বেতনের পুরো অর্থই পার্টির তহবিলে জমা করেন; পার্টি তাঁর চলার জন্য মাসে পাঁচ হাজার টাকা ভাতা দেয়। বিগত বিধানসভা নির্বাচনের আগে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী ব্যাংকে তাঁর সঞ্চয়ের পরিমাণ ৯ হাজার ৭২০ টাকা। ২৪ অক্টোবর দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে তাঁর সঙ্গে কথা হয়, ত্রিপুরার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে।


প্রথম আলো
:আর কয়েক মাস পরই (ফেব্রুয়ারি ২০১৮) ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। আপনাদের প্রস্তুতি কেমন?

মানিক সরকার :নির্বাচনের জন্য সব দলই প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমাদের দলও নিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করলে প্রকাশ্য প্রচার শুরু হবে।

প্রথম আলো :আগে তো কংগ্রেস আপনাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। এখন তারা দুর্বল। কংগ্রেসের অনেকে বিজেপিতে চলে গেছেন। তাহলে বিজেপিই কি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে?

মানিক সরকার :চিত্রটি এখনো পরিষ্কার নয়। আরও একটু অপেক্ষা করতে হবে। তবে কংগ্রেস জাতীয় পর্যায়ের দল। সবচেয়ে বেশি সময় দিল্লিতে সরকার চালিয়েছে। যাঁরা কংগ্রেসে থাকাটা নিজেদের জন্য ভালো মনে করেননি, তাঁরা চলে গেছেন। এর অর্থ এই নয়, কংগ্রেস শেষ হয়ে গেছে। আমি মনে করি, আমরাই আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী। অর্থাৎ বামপন্থীদের আরও ভালো করতে হবে। আমরা ত্রিপুরাকে একটি আদর্শ রাজ্য হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এটাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু ভারতের ক্ষমতা-কাঠামোয় রাজ্য সরকারের হাতে তো সব ক্ষমতা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের কাজ করতে হয়।

প্রথম আলো :উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপি একের পর এক রাজ্য দখল করে নিচ্ছে। পরের টার্গেট কি ত্রিপুরা?

মানিক সরকার :কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর পুরো দেশই তারা দখল করতে চাইছে। জনগণের সমর্থন নিয়ে যদি বিজেপি কাজটি করত, আপত্তির কিছু ছিল না। যেকোনো রাজনৈতিক দলের এই আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে। কিন্তু যে পদ্ধতিতে তারা অগ্রসর হচ্ছে, সেটি সুস্থতার লক্ষণ নয়। মণিপুরের নির্বাচনে প্রধান দল হলো কংগ্রেস কিন্তু বিজেপি অন্য দল থেকে এমএলএ ভাগিয়ে সরকার গঠন করল। গোয়ায়ও একই ঘটনা ঘটেছে। বাজার থেকে লাউ-কুমড়া কেনার মতো এমএলএ কেনা অনৈতিক। কেন্দ্রে বর্তমানে যে সরকারটি আছে, তারা ৩১ শতাংশ মানুষের ভোট পেয়েছে। এর অর্থ ৬৯ শতাংশ মানুষ তাদের ভোট দেননি। বিজেপি ৩১ শতাংশ মানুষের ভোট পেয়েছে নানা অলীক প্রতিশ্রুতি দিয়ে। তারা বলেছিল, কৃষকদের কাছ থেকে দেড় গুণ দামে ফসল কেনা হবে। তারা বলেছিল, ছেলেমেয়েদের চাকরি খুঁজতে হবে না, চাকরিই তাদের খুঁজবে এবং প্রতিবছর দুই কোটি তরুণকে চাকরি দেওয়া হবে। এখন দেখা যাচ্ছে, কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কারখানায় উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। মানুষের হাতে টাকা নেই। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী ৯৪ লাখ কর্মজীবী মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তাদের আরেকটি প্রতিশ্রুতি ছিল, বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ১০০ দিনের মধ্যে ফেরত এনে প্রতিটি পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এখন তারা বলছে, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা যাবে না। সবকিছু ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে। মানুষের আন্দোলন বন্ধ করতেই বিজেপি বিভাজন তৈরি করছে। কে কী খাবে, কে কোন পোশাক পরবে, কে কী লিখবে—এসব নিয়ে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে। এটা হলো অনৈতিক কাজ।

প্রথম আলো :তাহলে কি বিজেপি সরকারের আমলে কোনো উন্নয়নকাজ হয়নি?

মানিক সরকার :যা হয়েছে, তা বড়লোকদের জন্য। বড় ব্যবসায়ীদের স্বার্থে করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ ও মধ্যবিত্তের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। সরকারের গণবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সারা দেশে কৃষক ও শ্রমিকেরা আন্দোলন গড়ে তুললেও সেসব খবর টিভি-পত্রিকায় আসছেও না। কেননা বড় বড় গণমাধ্যমও ধনীদের নিয়ন্ত্রণে। দেশে এখন একটা উথালপাতাল হচ্ছে। নভেম্বরে অধিবেশন চলাকালে লাখ লাখ শ্রমিক পার্লামেন্ট ভবনের সামনে ধরনা দেবে। তিন দিন ধরে এই কর্মসূচি চলবে। আন্দোলনের জন্য কৃষকেরা সংগঠিত হচ্ছেন, পৃথক মঞ্চ তৈরি করছেন। তাঁরা বলছেন, সরকার দেড় গুণ দামে পণ্য কেনার কথা বলেছিল, এখন তো বিক্রিই করা যাচ্ছে না। কৃষকদের আত্মহত্যার ঘটনা ৩৪-৩৫ শতাংশ বেড়েছে। গত তিন বছরে সাড়ে ১২ থেকে ১৩ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। শাসক দলের অবস্থা যে খুব ভালো, তা বলা যাবে না। মহারাষ্ট্রে কৃষকেরা গ্রামে কারফিউ জারি করে বলেছেন, পণ্য শহরে যাবে না। তাঁরা কিছু দাবি আদায় করেছেন। মধ্যপ্রদেশে গুলি করে ছয়জনকে মেরে ফেলা হয়েছে। সেখানে বিজেপি সরকার ক্ষমতায়। সব মিলিয়ে দেশের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।

প্রথম আলো :শিক্ষাঙ্গনের অবস্থা কী? বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর বিদেশি গণমাধ্যমেও আসছে।

মানিক সরকার :বিজেপি ক্ষমতায় এসে শিক্ষায় বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে। শিক্ষা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিচ্ছে। উচ্চশিক্ষায় বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। এর ফলে তো গরিব, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়তে পারবে না। অন্যদিকে ইতিহাস নতুন করে লেখা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসব মানতে না পেরে আন্দোলন করছে। জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে সরকার সমর্থকেরা হারছে। আর যারা সরকারের গণবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তারা জয়ী হচ্ছে। এসবের পরও শাসক দল কারও কথা শুনছে না।

প্রথম আলো :কিন্তু আন্তরাজ্য পরিষদের বৈঠকে আপনারা কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে কিছু বলছেন না?

মানিক সরকার :কীভাবে বলব? আন্তরাজ্য পরিষদের বৈঠকই তো হচ্ছে না। গত সাড়ে তিন বছরে মাত্র একবার মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক হয়েছে। সেখানেও তাঁদের সমর্থকেরা সরকারের নীতির পক্ষে কথা বলেছে। ভিন্নমতের কথা শুনছে না।

প্রথম আলো :সে ক্ষেত্রে অবিজেপি রাজ্যগুলো কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে না কেন?

মানিক সরকার :এখানে সমস্যা হচ্ছে, অবিজেপি রাজ্যগুলোর মধ্যে ব্যতিক্রম বাদে সবাই তো ধনীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত। তারা তো কেন্দ্রের জনবিরোধী কর্মসূচির বিরুদ্ধে যাবে না। এ কারণে বামরা বিকল্প কর্মসূচি নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করছে। বাম শক্তি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে আন্দোলন গড়ার চেষ্টা করছে। ছাত্র, যুবসহ শতাধিক পেশাজীবী সংগঠন নিয়ে মঞ্চ হচ্ছে। যার যার অবস্থান থেকে তারা আন্দোলন করছে। কিছু বেসরকারি সংস্থাও তাদের সঙ্গে আছে। সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষায় সবাই মিলে মঞ্চ তৈরি করছে।

প্রথম আলো :ত্রিপুরায় এবারের নির্বাচনী লড়াইটা কি বামদের সঙ্গে ডানদের হবে? বিজেপি বিভিন্ন রাজ্যে অন্য দলের লোকদের নানাভাবে প্রলুব্ধ করছে।

মানিক সরকার :আমি বলব বিজেপি ডানেরও ডানে। সিপিআইএম কাজ করে একটি কর্মসূচি ও আদর্শের ভিত্তিতে। অন্যান্য রাজ্যে যা-ই ঘটুক না কেন, ত্রিপুরায় এই দল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার লক্ষণ দেখছি না। আদিবাসীদের বড় অংশ আমাদের সঙ্গে আছে।

প্রথম আলো :পশ্চিমবঙ্গে বামদের অবস্থা এত শোচনীয় কেন, যেখানে তারা ৩৪ বছর শাসন করেছে?

মানিক সরকার :পশ্চিমবঙ্গে ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে। ক্ষমতাসীনেরা তো ভোট করতে দিচ্ছে না। দখল করে নিচ্ছে। নির্বাচনে মানুষের রায়ের প্রতিফলন ঘটছে না। এর বিরুদ্ধে সেখানে বামরাই আন্দোলন করছে।

প্রথম আলো : সারা ভারতে বামরা দুর্বল অবস্থায়। এর কারণ কি বিশ্বায়ন, নাকি নিজেদের দুর্বলতা?

মানিক সরকার lবামদের দুর্বলতা মানে লোকসভায় আমাদের আসন কম। লোকসভায় কার কত আসন আছে, তা দিয়ে দলের শক্তি বিচার করা যাবে না। হয়তো আমাদেরও ভুলত্রুটি আছে। সেসব নিয়ে পার্টি কংগ্রেসে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছে। অতীতের ভুলগুলো শুধরে নিয়েই আমরা সামনে এগোনোর চেষ্টা করছি। মূল সমস্যাটা হলো, আমরা কাজ করি শ্রেণির ভিত্তিতে। কিন্তু ধর্ম ও গোত্রের ভিত্তিতে মানুষকে আকৃষ্ট করা যত সহজ, শ্রেণির ভিত্তিতে তত সহজ নয়। আমরা ধর্মীয় বিভাজন সম্পর্কে সজাগ করছি। মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান করতে না পেরে বিজেপি ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ব্যাহত করতে চাইছে। কিন্তু সেটি বেশি দিন পারবে না।

প্রথম আলো :ধর্মভিত্তিক রাজনীতির যে বিপদ, সেটি কাটিয়ে উঠতে কংগ্রেস বা সমমনাদের সঙ্গে এক হয়ে আন্দোলনের সুযোগ আছে কি?

মানিক সরকার :মূল বিষয় হলো অর্থনীতি। অর্থনীতি ঠিক না হলে উপরিকাঠামোয় রংচং করলে খুব বেশি দূর এগোনো যাবে না। তবে কেউ ধর্মীয় বিষয়ে আন্দোলন করতে চাইলে সেখানেও আমরা কাজ করব। আমরা বলেছি, মানুষের মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধানের ওপরই জোর দিতে হবে।

প্রথম আলো :এই মুহূর্তে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে কীভাবে দেখছেন।

মানিক সরকার :বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক তো ভালোই। সর্বশেষ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ঢাকা সফরকালে অনেকগুলো চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। অনেক অস্পষ্ট বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে দুই দেশের স্বার্থই দেখতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য উত্তর-পূর্ব ভারতে নিতে ত্রিপুরা হবে গেটওয়ে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে একমতও হয়েছে। তবে তারা তিস্তার পানি সমস্যার সমাধান চাইছে। কংগ্রেস সরকার সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করেছে। বর্তমান সরকারও করছে। তিস্তার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। বাংলাদেশ যেমন আমাদের সুপ্রতিবেশী মনে করে, আমরাও বাংলাদেশকে সুপ্রতিবেশী মনে করি। ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।

প্রথম আলো :এই মুহূর্তে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বড় সংকটে আছে।

মানিক সরকার :বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিচ্ছে। সংকট মোকাবিলায় নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। ত্রাণ সহায়তায় ভারতও অংশ নিয়েছে। সুষমা স্বরাজ বলেছেন, ‘আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি, তারা যেখান থেকে উৎখাত হয়েছে, তাদের সেখানে ফেরত পাঠানোর।’

ভারতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আমরা আগেই বলেছি, তাদের জোর করে ফেরত পাঠানো যাবে না। আমরা এ-ও বলেছি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন ইয়াঙ্গুনে সমস্যাটি নিয়ে কথা বললেন না। আমরা জাতিসংঘকে বলেছি, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে থাকার অধিকার আছে। আমরা চাইছি তাদের সসম্মানে দেশে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

প্রথম আলো :ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করার ব্যাপারে আপনার একটি উদ্যোগী ভূমিকা ছিল। এটি বাড়ানো হবে কি না?

মানিক সরকার :আমার নয়, ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিতে বলেছি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং শেষ মুহূর্তে ফাইলে সই করে গিয়েছিলেন। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে যেকোনো উদ্যোগে সহায়তা থাকবে। একটি অভিযোগ ছিল, কালান্দি খাল বেয়ে আগরতলা থেকে ময়লা পানি বাংলাদেশে যায়। সেখানকার পরিবেশ ও ফসলের ক্ষতি হয়। এ ব্যাপারেও প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। আশা করি, সমস্যাটি থাকবে না।

প্রথম আলো :আপনাকে ধন্যবাদ।

মানিক সরকার :আপনাদেরও ধন্যবাদ।