তাঁরা বললেন, সামনে আরও ঝামেলা হবে

২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এবং দফায় দফায় হামলার শিকার হয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন নুরুল হক। পরে ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন। এরপরও কয়েক দফা হামলার শিকার হন। সর্বশেষ গত রবি ও সোমবার পরপর দুটি মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিক্ষোভ করতে গিয়ে আটক হয়ে আবার ছাড়াও পান। এই প্রেক্ষাপটে প্রথম আলোকে দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে এবারের পরিস্থিতি, নতুন রাজনৈতিক দল করার চিন্তা–পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়। টেলিফোনে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান খান।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক

প্রশ্ন :

ডিবি অফিসে ডেকে নিয়ে আপনাদের কী বলা হলো?

নুরুল হক: তাঁরা বললেন, এটা টেস্ট কেস, সামনে আরও ঝামেলা হবে। ছাড় দেওয়া হবে না।

প্রশ্ন :

আপনাকে লিখিত কিছু দিতে হলো?

নুরুল হক: লিখিত একটা মুচলেকা নেওয়া হলো। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি পরবর্তী সময়ে যেন আমাদের দ্বারা না ঘটে, এমন কিছু। আমি সই দিলাম। কারণ, ভেবেছিলাম যে আমি সই না দিলে অন্য ছয়জনকে মুক্তি দেয় বা না দেয়। তারা সাতজনের কাছ থেকেই মুচলেকা নিয়েছে।

প্রশ্ন :

লেখাটা হাতের লেখা, নাকি টাইপ করা?

নুরুল হক: সাদা কাগজে হাতে লেখা ছিল। হয়তো দুই পাতা ছিল। যেখানে সই দিয়েছি, তার ওপরে অনেক খালি জায়গা ছিল। পরে তারা আবার কী লিখেটিখে তা জানি না।

প্রশ্ন :

এবারের পরিস্থিতির শুরু কী দিয়ে?

নুরুল হক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের একজন শীর্ষ নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় গোয়েন্দা সংস্থা মিথ্যা মামলাটি (ধর্ষণের সহযোগী) করেছে। এর উদ্দেশ্য হলো আমাদের রাজনৈতিকভাবে থামিয়ে দেওয়া। দেশের যুবসমাজকে নিয়ে যে নতুন ধারার রাজনীতি শুরু করতে যাচ্ছি, সেটা বাধাগ্রস্ত করা। প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে রাজু ভাস্কর্যে আসি। এখানে বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আমরা শেষ করেছিলাম। রাজু ভাস্কর্য থেকে আমরা মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে আসছিলাম। তখন পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ বলেছিল, ‘ভাই মিছিল আপনারা করতে পারবেন না।’ আমার সঙ্গে এক-দেড় শ লোক ছিল। আমি বলেছি যে আমরা মিছিল করব না। শুধু শাহবাগ পর্যন্ত যাব। কারণ, ছাত্রলীগের কর্মীরা হকিস্টিক নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল। সে জন্য সবার নিরাপত্তার জন্য আমি ভেবেছি যে মৎস্য ভবনের দিক থেকে বিদায় করে দেব সবাইকে। পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও বাইরের লোকজনের হাতে লাঠিসোঁটা, রড, হকিস্টিক দেখলাম। হঠাৎ তারা আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। আমরা আক্রমণের টার্গেট ছিলাম। আমাকে বাঁচাতে দুজন মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। একপর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। চিকিৎসার পরে ডিবি অফিসে আমাকে একটা কথাই বলা হয়েছে, এসব বাদ না দিলে আরও ভয়াবহ পরিণতি হবে। কয়েকজনেই এ কথা বলেছে। তাদের অবশ্য আমি চিনি না। তাদের একটাই কথা, এ ধরনের আন্দোলন করলে পরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।

প্রশ্ন :

রাত সোয়া একটায় ডিবি অফিসের গেটে সাংবাদিকদের আপনি কী বলেছিলেন?

নুরুল হক: বলেছি, কেন আমরা সাতজন ডিবিতে, তার সদুত্তর তো পুলিশ দিতে পারেনি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজের গেট থেকে আমাদের তুলে নেওয়া হয়েছিল। তখনো ভয়ভীতি দেখানো হয়েছিল। যদি তাদের কথা না শোনা হয়, তাহলে তারা ভবিষ্যতে এ রকম আবার ধরতে পারে।

প্রশ্ন :

এর আগে আপনার ওপরে কতবার হামলা হলো?

নুরুল হক: এবার নিয়ে ১১ বার। আগের চারটি মামলা চলমান। উপাচার্যের বাসায় ভাঙচুর, ডাকসু নির্বাচনে রোকেয়া হলের প্রভোস্টকে লাঞ্ছনা এবং ব্যালট বাক্স ছিনতাই, একটি চুরি এবং জগন্নাথ হলের ছাত্রলীগের এক কর্মীর করা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মামলা। কোনো মামলায় চার্জশিট হয়নি। আমার অবশ্য অন্তত ১২ জন সহকর্মী বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। সেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে হামলা এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময়ের। দুই বা তিনটি করে মামলা নিয়ে তারা আদালতে হাজিরা দিয়ে বেড়াচ্ছে।

প্রশ্ন :

আপনার স্বপ্নের নতুন দল, এ পর্যন্ত কতটা সংগঠিত হয়েছে?

নুরুল হক: আমরা চেষ্টা করছি। অনেকেই চাইছেন এখানে একটা পরিবর্তন আসুক। কারণ, তাঁরা দেখছেন, দুই প্রধান দল জনসমর্থনহীন হয়ে পড়েছে। আমরা ছাত্র তরুণ-যুবা, পেশাজীবী ও চিকিৎসক, তাঁদের জন্য আলাদা অধিকার পরিষদ গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করে এনেছি। নামসর্বস্ব কোনো রাজনৈতিক দল করতে চাই না। আগে পোক্ত ভিত্তি তৈরি করে যাত্রা শুরু করব। অক্টোবরে একটা নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করার পরিকল্পনা ছিল, যা পরে প্রস্তাবিত রাজনৈতিক দলের স্রোতোধারায় মিশে যাবে। বিভিন্ন সংস্থা বা সংগঠনের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।

প্রশ্ন :

এ বিষয়ে কি কিছু বলবেন?

নুরুল হক: কৌশলগত কারণে এ বিষয়ে এখন বলার সময় নয়। তবে এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যাঁরা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখেন বা যাঁদের একটা প্রভাব আছে এবং যাঁরা বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম সহযোগী, তাঁদের মোটামুটি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আমাদের আলাপ–আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

প্রশ্ন :

কেন মানুষ ভাববে, নতুন দলে—আপনাদের সঙ্গে আসবে?

নুরুল হক: বাম ও ডানপন্থার বাইরে একটা মধ্যপন্থা উন্নয়নের চেষ্টা করছি। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে এখন বঞ্চিত। যিনি ধর্মকর্ম করবেন, তাঁর ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই। একজন সাংবাদিক লিখবেন, তাঁর সেই স্বাধীনতা নেই। এমনকি চিকিৎসা করানোর অধিকার নেই। তাই আমরা স্লোগান ঠিক করেছি, ‘জনগণের অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার’। নাগরিক অধিকার, পরমতসহিষ্ণুতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিষয়গুলোতে আমরা জোর দেব। বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সংস্কারের বিষয় রয়েছে।

প্রশ্ন :

করোনা পরিস্থিতি পরোক্ষে সামগ্রিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কি একটা অনিশ্চয়তা তৈরি করছে না?

নুরুল হক: আমি চাই বা না চাই, এটা অনস্বীকার্য যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বাইরের একটা হস্তক্ষেপ থাকে। অবশ্য যাঁরা এ হস্তক্ষেপ করতেন, তাঁদের দেশগুলোও করোনার সমস্যায় ভারাক্রান্ত। নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচন। মনে রাখতে হবে, ভারতের নিজের দেশে লেজেগোবরে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তার ওপরে বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে। করোনার আঘাতের আগেই বাংলাদেশের জনগণের বিরোধিতার কারণে মি. মোদি বাংলাদেশে আসতে পারেননি। যদিও সরকার করোনার দোহাই দিয়েছে।

প্রশ্ন :

দুই বড় দলের অজনপ্রিয়তার যে কারণ বলছেন, সে কারণে বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির উত্থানের আশঙ্কা দেখেন?

নুরুল হক: উগ্রপন্থার উত্থানের আশঙ্কা করি না। তবে রাজনৈতিক ইসলাম আগের থেকে অনেক বাড়ছে। হেফাজতের কথাই ধরুন। দলীয় স্বার্থে এ সরকার হেফাজতের প্রতি তাদের আগের বৈরী নীতি উল্টে দিয়ে তাদের বরণ করল। হেফাজতের ভেতরের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে তারা তাদের শক্তি বাড়াল। এভাবে দেশে পলিটিক্যাল ইসলামাইজেশন এক ধাপ এগিয়ে গেছে। ক্ষমতায় টিকতেই তারা এটা করল। তারা পশ্চিমা বিশ্বকে দেখাচ্ছে যে ইসলামি শক্তি নিয়ন্ত্রণে তারাই সক্ষম। অথচ হেফাজত এখন আর আওয়ামী লীগের কবজায় নেই, বরং সরকারের জন্য তারা ইতিমধ্যে বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ক্ষতিটা হলো বাংলাদেশের।

আওয়ামী লীগের ওই তোষণনীতি জাতীয় রাজনীতিতে তাদের কার্যত একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করে দিয়েছে। এর ফলে ইসলামি রাজনীতির প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতে দিন দিন আরও বাড়বে। সামনের দিনগুলোতে যারাই বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসবে, তাদের এ শক্তির সঙ্গে আপস করতে হবে।

দুর্বল নেতৃত্বের কারণে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, জনগণ থেকে তারা ক্রমাগত দূরে সরছে। দুই বড় দলের প্রতি মানুষ আর আস্থা রাখতে পারছে না। সে কারণেই তারা একটি তৃতীয় শক্তির অগ্রগতি দেখতে চাইছে। আমি মনে করি, ইসলামপন্থীদের সঙ্গে মিশ্রণে হোক বা না হোক, দেশে একটি তৃতীয় শক্তির উত্থান আসন্ন।

প্রশ্ন :

আপনাদের কৌশল কী হবে? তাদের সঙ্গে হাত মেলাবেন?

নুরুল হক: আমরা তো ঘোষণাপত্র ঠিক করিনি। তাই কাদের সঙ্গে জোট করব, সে বিষয়ে বলার সময় আসেনি। তবে ৯০ ভাগ মুসলিমের দেশে তাদের ভাবাবেগকে তো একটা অগ্রাধিকার দিতে হবে। ৯০ ভাগ মানুষের মতামতকে উপেক্ষা করে তো রাজনীতি করা সম্ভব নয়। আবার একই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ও আবেগের কথাও ভাবতে হবে। সে জন্যই আমরা পাশ্চাত্যের মতোই অধিকারের ধারণাকে প্রাধান্য দিতে চাই। মানুষ ধর্মকর্ম, মতামত, ব্যবসা—যার যেমন খুশি করবে।

প্রশ্ন :

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার কীভাবে দেখেন?

নুরুল হক: বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতন্ত্রের অধিকার বা জায়গাগুলো সংকুচিত করছে, শুধু ভিন্নমত দমন করতেই তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে আরও কঠোর করেছিল। বিরোধী দল ছাড়াও সাংবাদিকদের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে তারা এ আইনের অপপ্রয়োগ করছে। বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগে তাদের অযাচিত ও অন্যায্য প্রভাব স্পষ্ট। স্বাধীন চিন্তা দলনের এ আইন বাতিল চাই। আমরা এ দাবিতে আন্দোলনে আছি এবং ভবিষ্যতে এ আন্দোলন আরও বেগবান করব।

প্রশ্ন :

ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ?

নুরুল হক: ডাকসু নির্বাচন তারা করেছিল গণতন্ত্রের জন্য নয়, নেতৃত্ব তৈরির তাড়নায় নয়। তারা ডিসেম্বরের (২০১৮) বিতর্কিত নির্বাচন করেছিল। সে কারণে তারা মানুষের নজর সরাতে একটা কৌশলগত প্রয়োজন থেকে ডাকসু নির্বাচন দিয়েছিল। যখন তারা নিজেদের ছাত্রসংগঠনের অবস্থা বুঝল, তখন তারা ভীত হলো। তারা ভাবল, সারা দেশে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিলে দুর্নীতিগ্রস্ত ও অদক্ষ নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এটাও ঠিক যে দীর্ঘদিন অগণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে থাকার কারণে ছাত্ররা রাজনৈতিক বিষয়ে এখন আগের মতো যুক্ত হতে চায় না।

প্রশ্ন :

আপনাদের বক্তব্য অনেক সময় আক্রমণাত্মক হয়, হিংসাশ্রয়ী রাজনীতিতে ঝুঁকছেন না তো?

নুরুল হক: ২০১৮ থেকে আমরা, একদল তরুণ জীবনের এই রূঢ় বাস্তবতা (আন্দোলন) খুব কাছ থেকে দেখেছি। নানা ধরনের নির্যাতন–নিপীড়নের মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। ঢাকার বাইরে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের নেতা-কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। অনেকের মা–বাবাকে ভয় দেখাচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থা ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনগুলোকে হামলার নির্দেশ দিচ্ছে। তারা তো শ্রদ্ধার জায়গায় থাকছে না। তাই বলেছি, তারা অকারণে হামলা করলে আমরা সাধ্যমতো মোকাবিলা করব। অবশ্যই সর্বোচ্চ উপায়ে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থায় থাকার চেষ্টা করব।

ভাই, মানুষের তো সহ্য করারও একটা সীমা আছে। তারা তাদের গুন্ডা বাহিনী ছাত্রলীগ দিয়ে হামলা করাচ্ছে। ডাকসুর ভিপি হওয়ার আগে তিনবার, পরে আটবার হামলার শিকার হলাম। আর কত মার খাব। কত হামলার শিকার হব? তাই বলেছি, আত্মরক্ষার জন্য মোকাবিলা করব। সেটা যদি পুলিশও আসে, পুলিশের সঙ্গে মোকাবিলা করা হবে। কারণ, পুলিশ আর কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকায় নেই। তারা ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনের ভূমিকায় আছে। সে কারণেই বলেছি, রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে তো আমাদের বিরোধ নেই। তারা কেন অতি উৎসাহী হয়ে হামলা করবে। গত সোমবারও তারা সেটা করেছে। হয়তো আমাদের একটা বার্তা দিতে এটা করেছে।

প্রশ্ন :

আপনার সঙ্গে থাকা নিবেদিত সহকর্মীর সংখ্যা কত হবে?

নুরুল হক: সংখ্যা বলতে পারব না। তবে যাঁরা আমার সঙ্গে রাজনীতি করেন, অনুসারী, তাঁরা আমার মতোই এমন তেজোদ্দীপ্ত। তাঁরা তাঁদের কাজে-কর্মে প্রতিনিয়ত প্রমাণ দিচ্ছেন। আমরা যে সাতজন মুচলেকা দিলাম, তার মধ্যে নবম শ্রেণির এক কিশোরও আছে। ডিবি তারও মুচলেকা নিয়েছে।

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

নুরুল হক: ধন্যবাদ।