সাংবিধানিক নিশ্চয়তা না থাকা পার্বত্য চুক্তির দুর্বলতা

ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা

ড. আনন্দ বিকাশ চাকমা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস, সমাজ, রাজনীতি, জাতিগোষ্ঠী ও অর্থনীতি বিষয়ে তাঁর প্রবন্ধ বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি জার্নাল, পাকিস্তান হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি জার্নাল, বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতিসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর পিএইচডি অভিসন্দর্ভের বিষয় ‘সরকারি নীতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম, ১৮৬০–২০০০’। তাঁর সাম্প্রতিক গ্রন্থ ‘কার্পাস মহল থেকে শান্তি চুক্তি: পার্বত্য চট্টগ্রামের রাষ্ট্রীয় নীতির ইতিহাস’।  পার্বত্য চুক্তির দুই যুগপূর্তির প্রেক্ষাপটে এর সফলতা ও দুর্বলতা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: ২৪ বছর আগে ঠিক কোন প্রেক্ষাপটে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি, যা শান্তি চুক্তি নামে অধিক পরিচিত, স্বাক্ষরিত হয়েছিল?

আনন্দ বিকাশ চাকমা: বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা বহু বছরের পুরোনো। এ সমস্যার মূলে ছিল পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বঞ্চনাবোধ। রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। ষাটের দশকে পাকিস্তান সরকার একতরফাভাবে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অবস্থাকে নড়বড়ে করে দেয়।

শাসনতন্ত্র থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় এলাকার মর্যাদা বাতিল করে দেয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও এই অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। এই ক্ষোভ ও বঞ্চনা থেকে শান্তিবাহিনীর জন্ম।

স্বাধীনতার পর আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) গঠিত হয়। তবে উল্লেখ করা দরকার, এ দলের প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ১৯৭৫ সালে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষার পূর্বাভাস পেয়ে বাকশালে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতার পালাবদল ঘটে। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে জনসংহতি সমিতি স্বায়ত্তশাসন আদায়ের লক্ষ্যে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করে। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে চলে সংঘাত। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ তথা ক্ষমতাকাঠামোতে পাহাড়িদের অংশীদারত্ব নিশ্চিত করার আকাঙ্ক্ষায় ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: এ চুক্তি কি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক জীবনে প্রভাব ফেলতে পেরেছিল?

আনন্দ বিকাশ চাকমা: চুক্তির প্রভাব নিশ্চয় আছে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলি। আমার গ্রামের বাড়ি রাঙামাটি সদর উপজেলার কুকিপাড়া গ্রামে। গ্রামটি ছিল বিদ্যুৎবিহীন, আমি ম্যাট্রিক পর্যন্ত পড়ালেখা করেছি কেরোসিনের আলোয়।

আমাদের মৌজায় কোনো হাটবাজারও নেই। উৎপাদিত ফসল বিক্রি বা নিত্যপ্রয়োজনীয় তেল, লবণ প্রভৃতি কেনাকাটার জন্য নৌকা বেয়ে আসতে হতো বাজারে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর ২০০৩ বা ২০০৪ সাল থেকে ইউএনডিপির আর্থিক অনুদানে পাড়ার প্রতিটি বাড়িতে সোলার বা সৌরবিদ্যুৎ আসে। এটি ছিল অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা। চুক্তির পর এনজিওগুলো বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে। এতে পাড়াবাসীর ক্ষুদ্রঋণ পাওয়া সহজ হয়, শিক্ষিত বেকারেরা এনজিওতে চাকরি পায়। এটি শুধু একটি পাড়ার চিত্র। পার্বত্য চট্টগ্রামে এভাবে পাড়ায় পাড়ায় পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: মোটাদাগে এ চুক্তি নিয়ে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে কতটা মিল বা গরমিল আছে?

আনন্দ বিকাশ চাকমা: হ্যাঁ, চুক্তির আগে সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা ছিল। প্রথমত, পাহাড়ে এবার সংঘাত বন্ধ হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, ভারত থেকে শরণার্থীরা স্বদেশে ফিরে আসবে, তাদের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুরা ফেলে যাওয়া পৈতৃক ভিটা, জায়গাজমি ফিরে পাবে, হাটে–বাজারে নির্ভয়ে চলাফেরা করা যাবে, লেখাপড়া শিখে চাকরি পেতে সহজ হবে। দ্বিতীয়ত, নিরাপত্তা বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো ফিরে যাবে। তৃতীয়ত, শান্তিবাহিনী বিলুপ্ত হবে এবং শান্তিবাহিনী সন্দেহে আর কোনো নিরীহ পাহাড়ি হেনস্তার শিকার হবে না, উৎপাদিত ফসল বাজারে বেচাবিক্রি বাড়বে এবং বেশি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য ক্যাম্প থেকে আর পূর্বানুমতি নিতে হবে না বা অহেতুক জবাবদিহি করতে হবে না...ইত্যাদি। বলতে দ্বিধা নেই যে চুক্তির পরে পাহাড়ি তরুণদের শহরে এসে পড়াশোনা করা সহজতর হয়েছে। প্রয়োজনমতো বাজারে আসা ও কেনাকাটা করা যায়, কোনো পূর্বানুমতি নিতে বা জবাবদিহি করতে হয় না। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ অবাধ হয়েছে। আগে যেখানে টর্চ লাইট ব্যবহার করা যেত না, এখন সেখানে হাতে হাতে মোবাইল ফোন…।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: তার মানে, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ ছিল?

আনন্দ বিকাশ চাকমা: অবশ্যই। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের একটি বড় রাজনৈতিক অর্জন। তখনকার আওয়ামী লীগ সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ চুক্তি স্বাক্ষরে অনেক দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। সেনাবাহিনীও ব্যাপারটিকে সদর্থকভাবে গ্রহণ করে। ফলে জনসংহতি সমিতির অস্ত্র জমা দান প্রক্রিয়া সহজ হয়েছে। ভারতে মানবেতর জীবনযাপন করতে থাকা পাহাড়ি শরণার্থীরা স্বদেশে ফিরে আসতে পেরেছে। শান্তিবাহিনীর অনেক সদস্য যোগ্যতা অনুসারে পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছে। এসব নিশ্চয়ই চুক্তির প্রত্যক্ষ ফল। কিন্তু অপ্রাপ্তি যে নেই, তা নয়।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: তাহলে প্রত্যাশার সঙ্গে গরমিলটা কোথায়?

আনন্দ বিকাশ চাকমা: পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে এখনো নির্বাচন না হওয়ায় সেগুলো প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্বমূলক হয়ে ওঠেনি। স্থানীয় পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলা পরিষদের ক্ষমতার বিষয়টিও ঝুলে আছে। ভূমি সমস্যার সুরাহা হয়নি।

উপজাতি-আদিবাসী-ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিচিতি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো সময় পাহাড়িদের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে, যেমন লংগদু ঘটনা। চুক্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও উচ্চতর সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ নিয়ে জেএসএস ও সরকারের মধ্যে মতের অমিল দেখা গেছে। এ রকম কিছু গরমিল তো আছেই।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: আপনি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কিছু গরমিলের কথা তুলে ধরলেন, তার মানে কি চুক্তির মধ্যেই দুর্বলতা নিহিত ছিল?

আনন্দ বিকাশ চাকমা: হ্যাঁ, চুক্তির মধ্যে কিছু দুর্বলতা আছে। ভাষা ও কাঠামোগত দুর্বলতা যেমন আছে, তেমনি নীতিগত দুর্বলতাও আছে । প্রধান দুর্বলতা এ চুক্তির কোনো সাংবিধানিক গ্যারান্টি নেই। এর যে ছোট্ট প্রস্তাবনা আছে, সেখানে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রয়োজন কেন হলো, সেই পটভূমি উল্লেখ করা হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষমতাকাঠামোতে পাহাড়িদের অংশীদারত্ব নিশ্চিত করতে যে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল, চুক্তিতে সে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। আবার চুক্তিমতে, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রম সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানের জন্য আঞ্চলিক পরিষদ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে, যার চেয়ারম্যানের পদমর্যাদা হবে প্রতিমন্ত্রীর সমতুল্য। অন্যদিকে প্রায় সমজাতীয় কাজ করার জন্য একটি পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে এবং গঠিত হয়েছে। তাহলে এখানে দ্বৈত শাসনের প্রচলন হলো না?

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: আপনি বলছেন, পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে নির্বাচন না হওয়ায় জবাবদিহির অভাব দৃশ্যমান। এত বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও নির্বাচন না হওয়ার কারণ কী?

আনন্দ বিকাশ চাকমা: তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচন ঝুলে আছে স্থায়ী বাসিন্দার ভিত্তিতে ভোটার তালিকা না হওয়ায়। নির্বাচন কমিশন এ তালিকা তৈরির ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিয়েছে এমন শোনা যায়নি। চুক্তি অনুযায়ী ‘অ-উপজাতীয় স্থায়ী বাসিন্দা’ নির্ণয় করা জমি-জমার বৈধতার ওপর নির্ভরশীল। অন্যদিকে জমি-জমার বৈধতা বা অবৈধতার বিষয়টি নিষ্পত্তি করার দায়িত্ব ভূমি কমিশনের। এ কাজটি যেহেতু হয়নি, স্থায়ী ভোটার তালিকা প্রণয়নও হয়নি। এ কারণে সরকার মনোনীত ব্যক্তিদের দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠন করে সেগুলো পরিচালনা করছে। কারণ, কাজটা তো চালিয়ে নিতে হবে।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: চুক্তির মধ্যে ভূমি কমিশন গঠন করার কথা ছিল। সেটা গঠিত হয়েছে, কিন্তু এ কমিশন ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না কেন?

আনন্দ বিকাশ চাকমা: ১৯৯৯ সালে প্রথম ভূমি কমিশন গঠিত হয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ারুল হককে চেয়ারম্যান করে। কার্যভার গ্রহণের আগে তাঁর মৃত্যু ঘটে। এরপর আরও চারজন চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন। কিন্তু ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কাজ এগোয়নি। ২০১৬ সালে আইন সংশোধন করা হয়েছে, গেজেট হয়েছে।

কিন্তু তার আলোকে বিধিমালা জারি হয়নি, জনবল নিয়োগ হয়নি। ফলে বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন গ্রহণ করেও সালিসি কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। বর্তমান ভূমি কমিশনকে সভা করতে গিয়ে অবরোধের সম্মুখীনও হতে দেখা গেছে।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া কতটা এগিয়েছে? শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্স কি ভূমিকা রেখেছে?

আনন্দ বিকাশ চাকমা: টাস্কফোর্সের প্রধান কাজ ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উপজাতীয় উদ্বাস্তুদের তালিকা করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। চুক্তির পর ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের ২০ দফা প্যাকেজ চুক্তির আওতায় বৈধ দলিলপত্র আছে এবং বেদখল হয়নি এমন জমিজমা ফেরত দেওয়া হয়েছে। জমির মালিক ও ভূমিহীন ক্যাটাগরিতে টাকা, চাল ও ঢেউটিন ইত্যাদি দেওয়া হয়েছে। তাদের রেশনের আওতায় আনা হয়েছে। শরণার্থীদের সন্তানদের বৈদেশিক শিক্ষাসনদ গৃহীত হয়েছে, এদের অনেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও হয়েছেন। যারা চাকরি ফেলে চলে গিয়েছিল, তারা চাকরি ফেরত পেয়েছেন। কিন্তু শরণার্থীরা বেদখলে থাকা জমিতে ফিরতে পারেনি, বা ফেরত পায়নি। ভূমি সমস্যার সঙ্গে শরণার্থী পুনর্বাসন ব্যাপারটির নিবিড় সম্পর্ক আছে। ভূমি সমস্যার নিষ্পত্তি না হলে শরণার্থীদের পুনর্বাসনও পূর্ণতা পাবে না।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: একদিকে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গঠন ও ভূমি কমিশন আইন সংশোধন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা যেমন আশার সঞ্চার করছে, অন্যদিকে চুক্তি স্বাক্ষরকারী দুপক্ষের মধ্যে সন্দেহ, অবিশ্বাস এবং আঞ্চলিক দলগুলোর আন্তদলীয় দ্বন্দ্ব–সংঘাত প্রভৃতি হতাশার সৃষ্টি করছে। এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী?

আনন্দ বিকাশ চাকমা: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের ২৪ বছর পূর্ণ হলো। এখনো সরকার ও জনসংহতি সমিতি চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতে আমার মনে হয়, চুক্তি বাস্তবায়ন খতিয়ে দেখতে একটি যৌথ পর্যবেক্ষক দল গঠন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে এ ধরনের চুক্তি বাস্তবায়নে অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নেওয়া যায়। তখন কোন কোন বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে, কোন বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে, সেটা উঠে আসবে। চুক্তি বাস্তবায়নে গাফিলতি বা বিচ্যুতি ঘটলে সেটা জানা যাবে। এ ব্যাপারে সরকার ও জেএসএস উভয়কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

আনন্দ বিকাশ চাকমা: আপনাকেও ধন্যবাদ।