কর্তৃপক্ষ বলছে যে, যারা ২০-২১ সেশনের ১ম বর্ষে নির্ধারিত সিজিপিএ ওঠাতে পারেননি, তারা পরের বর্ষে যেতে পারবে না।
সমস্যা তৈরি হয়েছে, ২১-২২ সেশনের ফরম পূরণের নোটিশ দেওয়ায়। এতে দেখা যায় ৩ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত ১ম বর্ষ অর্থাৎ ২১-২২ সেশনের ফরম পূরণ। কিন্তু এখন ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থীদের সকল বিভাগের রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়নি। রেজাল্ট প্রকাশের পর ও শিক্ষার্থীরা ফলাফল পুনঃ নিরীক্ষার আবেদন করতে পারেন। প্রায় রেজাল্ট প্রকাশের পরবর্তী ১ মাস পর্যন্ত চলে আবেদন। আবেদন ফি দিতে হয় প্রতি বিষয় ৮০০ টাকা করে। তারপর খাতা পুনঃ নিরীক্ষা করা হয়। এতে অনেকের রেজাল্টই পরিবর্তন হয়। যা বিগত বছরে দেখা গেছে।
দেখা যায়, রেজাল্ট প্রকাশের পর হাজারের উপরে শিক্ষার্থী নির্ধারিত সিজিপিএ উঠাতে পারেনি। তাদের ননপ্রমোটেড করা হয়। কিন্তু তারা দীর্ঘ ৮ মাস ২য় বর্ষের ক্লাস ও বিভিন্ন পরীক্ষা দিয়েছে। এখন হঠাৎ তারা রেজাল্ট পেয়ে জানতে পারেন, তারা আসলে ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীই নন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যারা পাস করতে পারেনি তারা যে, অনার্স ২য় বর্ষে দীর্ঘ ৮ মাস ক্লাস করল, ২টা ইনকোর্স পরীক্ষা দিল। এগুলো কি কাজে লাগছে এবং এগুলো কেন করানো হলো। এ দিকে যে ১ম বর্ষের সব কোর্স পরীক্ষা দিতে হবে। এই সময়ে কি আসলেই পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব? তারা কি পারবে আগামী ৫ বছরে অনার্স শেষ করতে?
শিক্ষার্থীদের ফলাফল পুনঃ নিরীক্ষার আবেদন প্রতি বিষয় ৮০০ টাকা দিয়ে করলেও কোনো কাজেই আসছে না। পুনঃ নিরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের আগেই তাদের ফেল ধরে ফরম পূরণের নোটিশ দিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিছু ডিপার্টমেন্টের রেজাল্ট প্রকাশ এখনও বাকি।
যে অবস্থা তৈরি হচ্ছে আগামী দিনগুলোতে ৭ কলেজ খুঁজলে শুধু ঝরে পড়া, হতাশ এবং হাজার হাজার ব্যর্থতার গল্প শুনতে পাওয়া যাবে।
নন প্রমোটেড শিক্ষার্থীদের দাবি একটিই।
১. সিজিপিএ শিথিল করে ন্যূনতম ২ বিষয় বা ৩ বিষয় পর্যন্ত ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রমোশন দেওয়া হোক এবং উক্ত বিষয় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে মান উন্নয়ন দিতে দেওয়া। এতে শিক্ষার্থীদের ১টা বছর বাঁচবে। এটাই সুন্দর জিপিএ তুলতে পারবে।
ইতিমধ্যে আমরা জানি সবারই করোনা মহামারির জন্য ২ বছর সময় নষ্ট হয়ে গেছে।
দুঃখের বিষয় হচ্ছে ২০-২১ সেশনই করোনার জন্য এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি। তারা ইতিহাসের প্রথম পরীক্ষা ছাড়া পাশ করা ব্যাচ। যা আমরা অটোপাস নামে চিনি।
তাই এই ব্যাচকে যদি এখন সুযোগ দেওয়া না হয় তাহলে তাদের শিক্ষার কোনো মূল্যই থাকবে না। দেখা যাবে অনার্স-মাস্টার্স শেষ হতে হতে অনেকের সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাবে।
যেহেতু তারা প্রথম বর্ষ, তাই তারা কোনো সুযোগ পাননি তাই তাদের একটা সুযোগ প্রশাসনের দেওয়া উচিত।
পূর্ববর্তী সকল ব্যাচকেই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
মানিক মিয়া
ঢাকা কলেজ