যাঁরা চাকরির পেছনে ছোটাছুটি করছেন, তাঁরা জানেন যে চাকরির বাজারের কেমন হালচাল। বেসরকারি চাকরিগুলোয় নির্দিষ্ট নিয়ম না থাকায় নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতার কবলে পড়তে হয় অনেক চাকরিপ্রত্যাশীকে।

প্রায় বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে একই পোস্টের জন্য উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর পাস চাওয়া হয়েছে। বেতনের ঘরে আলোচনাসাপেক্ষ কথা লেখা থাকে। মৌখিক পরীক্ষায় উপস্থিত হওয়ার পর জানা যায়, আপনি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের ধরন সামঞ্জস্য করে যত টাকা বেতন চেয়ে থাকেন না কেন, কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন কাঠামোতেই আপনাকে সীমাবদ্ধ রাখবে।

স্নাতকোত্তর পাস শিক্ষার্থীদের যদি ওই পনেরো থেকে ষোলো হাজারের বেতনে কাজ করতে হয়, তাহলে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর অতিরিক্ত ছয় বছর উচ্চশিক্ষা অর্জন করে লাভ হলো কী? যদি কাজের ধরন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ বেতনকাঠামো নির্ধারণ করে থাকেন, তবে একই পোস্টের জন্য উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতকোত্তর পাস চাওয়াটা কি অমূলক নয়?

প্রতিষ্ঠান, পোস্ট, কাজের ধরন, বেতনকাঠামোর বিপরীতে শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়, তাহলে চাকরিপ্রত্যাশীদের আবেদনের সময় সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়। অপর দিকে, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী যদি মানসম্মত বেতনকাঠামো নির্ধারণ করে দেওয়া হতো, তাহলে চাকরিপ্রত্যাশীদের বেতনসংক্রান্ত হতাশা অনেকাংশে দূর হয়ে যেত।

সরকারি চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে গ্রেড অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা, বেতনকাঠামো সুনির্দিষ্ট। বেসরকারি চাকরিতে যদি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান নিজের ও চাকরিপ্রত্যাশীদের কথা বিবেচনা করে সুনির্দিষ্ট কাঠামো নির্ধারণ করে থাকেন, তবে বেকার সমাজ অনেকাংশে উপকৃত হতো। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞগণ ও সংলগ্ন নীতিনির্ধারকদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

মো: হালিমুর রশিদ
মিরপুর-১, ঢাকা।