জাহাঙ্গীরনগরে ভর্তি পরীক্ষা: ‘ভাগ-বাঁটোয়ারা’ শব্দের ব্যবহারে আপত্তি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি–পরীক্ষার্থীদের ভীড়
ছবি: প্রথম আলো

হিলারি ক্লিনটন তাঁর লিভিং হিস্ট্রিতে লিখেছিলেন, বিল ক্লিনটনের হাত দুটো তাঁর খুব পছন্দ, বিশেষ করে আঙুলগুলো। কারণ, ক্লিনটনের আঙুলগুলো ওপরের দিক থেকে নিচের দিকে ক্রমে সরু হয়ে এসেছে, যা দেখতে খুবই সুন্দর। একটু পরেই হিলারি লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মাইলের পর মাইল স্বাক্ষর আর হাজার হাজার হ্যান্ডশেক করার কারণে সেই হাতের সৌন্দর্য অনেক ম্লান হয়ে গেছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার প্রতি শিফটে একজন শিক্ষক যদি পূর্ণ নাম লিখে ৩০ বার স্বাক্ষর করেন, তাহলে ছয় শিফটে নাম লিখতে হয় মোট ১৮০ বার। তাহলে পাঁচ দিনে একজন শিক্ষক নিজের নাম লেখেন ৯০০ বার; সাত দিনে ১ হাজার ২৬০ বার। আমি দেশে থাকাকালে প্রতিবার ভর্তি পরীক্ষায় শুধু স্বাক্ষর করে দু–তিনটি কলম শেষ করতাম। সেই সঙ্গে যতবার স্বাক্ষর করতাম, মিসেস এবং মি. ক্লিনটনের কথা মনে পড়ত। মিসেস ক্লিনটনকে আমার জানাতে ইচ্ছা করত, ভর্তি পরীক্ষায় এক মাইল স্বাক্ষর করতে করতে আমার হাতখানির সৌন্দর্যও কতটা ম্লান হয়ে গেছে। আর কারখানার শ্রমিকের মতো দুই পায়ে সারা দিন দাঁড়িয়ে থাকা আর রুমে পায়চারি করার ফলে রাতে পা দুটো ফুলে যেত। আর ঢাকা থেকে যাতায়াতকারী শিক্ষকদের থাকত রাত ১১টায় বাসায় পৌঁছে আবার ভোর পাঁচটায় উঠে বাস ধরার তাড়া। এই সময়টাতে অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে অনেকেরই কর্মশক্তি কমে যায়। আমি সুদূর প্রবাসে বসে আমার সহকর্মীদের কষ্টটা অনুধাবন করতে পারছিলাম। সেই কষ্ট আরও বেড়ে গেল যখন দেখলাম পত্রিকার পাতায় বড় করে প্রতিবেদন হয়েছে ভর্তি পরীক্ষার টাকা ‘ভাগ-বাঁটোয়ারা’ করা হয়।

১২ অক্টোবর প্রথম আলো পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যার শিরোনাম ছিল ‘ভর্তি পরীক্ষার ফি ভাগ-বাঁটোয়ারা’। মূল খবরে বলা হয়, ‘ভর্তি পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থের মধ্যে প্রায় ৮ কোটি টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। যদিও এই অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা হওয়ার কথা। নিয়ম হলো, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ফরম বিক্রি করে যে টাকা আয় করবে, তার ৬০ শতাংশ পরীক্ষাসংক্রান্ত খাতে ব্যয় করতে পারবে। আর ৪০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে দিতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নিয়মটি মানা হয়নি।’ একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো বিশেষ কাজের পারিশ্রমিককে ‘ভাগ-বাঁটোয়ারা’ বলে আখ্যায়িত করাকে আমার কাছে বিভ্রান্তিকর, শ্রুতিকটু ও সাংবাদিকতার নৈতিকতার পরিপন্থী বলে মনে হয়েছে।

এই প্রতিবেদনের বেশির ভাগজুড়েই ছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে কয়েক মাস আগে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পুনরাবৃত্তি, তার সঙ্গে গত বছর ভর্তি পরীক্ষায় সাবেক উপাচার্যের আমলে ভর্তি পরীক্ষায় কে কত পারিশ্রমিক হিসেবে নিয়েছেন তার বর্ণনা। অথচ এর কয়েক দিন আগে একটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এই পরীক্ষায় শিক্ষকমণ্ডলী কত কর্মঘণ্টা পরিশ্রম করেছেন এবং তার বিপরীতে কত টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছেন, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট বর্ণনা নেই। স্বাভাবিকভাবেই একজন পাঠক মনে করবেন, হয়তো সত্যি সত্যি ভর্তি পরীক্ষার টাকা শিক্ষকেরা ভাগ–বাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন।

একজন ভর্তি পরীক্ষার্থীর প্রত্যাশা হলো একটি সুন্দর এবং গ্রহণযোগ্য, যুগোপযোগী পরীক্ষাপদ্ধতির মধ্য দিয়ে সমগ্র ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা। আর সে ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত যাবতীয় খরচ, যেমন পরীক্ষার প্রক্টরিং, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, পরীক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা–কর্মচারী এবং অন্যান্য পেশাজীবী শ্রেণি, যাঁরা তাঁদের স্বাভাবিক কর্মঘণ্টা এবং কাজের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন, প্রত্যেকের পারিশ্রমিক এ পরীক্ষার ফি থেকে প্রদান করা এ ক্ষেত্রে বৈধ।

আমাদের দেশে স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে এমন কোনো পরীক্ষা কি দেখাতে পারবেন, যেখানে পরীক্ষার প্রক্টরিংয়ের জন্য আলাদা পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না, উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না, পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য কোনো ফি দিতে হয় না? বাংলাদেশের এমন কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে কি, যেখানে শিক্ষক পরীক্ষা হলে প্রক্টরিংয়ের জন্য পারিশ্রমিক পান না? এমনকি একজন শিক্ষক তাঁর নিজের কোর্সের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন এবং পরীক্ষা কক্ষে প্রক্টরিংয়ের জন্য আলাদা পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। প্রতিটি পরীক্ষা কমিটিতে কাজ করার জন্য রয়েছে আলাদা আর্থিক প্রণোদনা। শুধু কি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন হয়? দেশে প্রতিবছর এত এত সরকারি চাকরির বিজ্ঞাপন এবং সেই চাকরির পরীক্ষা সম্পাদনের জন্য একটা ফি নির্ধারণ করা হয়। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আবেদনসংবলিত বিসিএস পরীক্ষায়ও একটা বড় অঙ্কের ফি নির্ধারণ করা হয়। এমনকি বিভিন্ন ব্যাংক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও চাকরির জন্য পরীক্ষার খরচ বাবদ একটা ফি দিতে হয়। আর এই ফি প্রদান করা হয় পরীক্ষা এবং নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য।

আমি যত দূর জানি, প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার ফি থেকে একটা অংশ বিভাগের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় হয়, কিছু অংশ জমা দেওয়া হয় ছাত্রকল্যাণ তহবিলে। একটা বড় অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। বিগত বছরগুলোতে গাড়ি কেনা থেকে শুরু করে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করা হয় এ টাকায়। আমাদের সমস্যা হলো, সমস্যাটা কোথায় আমরা সেদিকে মনোযোগ দিতে পারি না। রোগ নির্ণয় করতে ব্যর্থ হলে রোগ নিরাময় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ঠিক তেমনি সমস্যা ঠিকমতো চিহ্নিত করতে না পারলে তার সমাধান খুঁজে পাওয়াটাও মুশকিল। ভর্তি পরীক্ষার টাকা কোন খাতে ব্যয় হওয়া বাঞ্ছনীয়, সেটাই যদি মূল সমস্যা হয়, তবে আমি বলব বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা একজন ভর্তি পরীক্ষার্থীর দায় নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন রাষ্ট্রের দায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়।

একজন ভর্তি পরীক্ষার্থীর প্রত্যাশা হলো একটি সুন্দর এবং গ্রহণযোগ্য, যুগোপযোগী পরীক্ষাপদ্ধতির মধ্য দিয়ে সমগ্র ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা। আর সে ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত যাবতীয় খরচ, যেমন পরীক্ষার প্রক্টরিং, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, পরীক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা–কর্মচারী এবং অন্যান্য পেশাজীবী শ্রেণি, যাঁরা তাঁদের স্বাভাবিক কর্মঘণ্টা এবং কাজের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন, প্রত্যেকের পারিশ্রমিক এ পরীক্ষার ফি থেকে প্রদান করা এ ক্ষেত্রে বৈধ। বরং পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই, এ রকম অন্য যেকোনো খাতে এ টাকা ব্যয় করা অনৈতিক এবং এটা যদি নিয়ম হয়ে থাকে, সে নিয়ম সংশোধনযোগ্য। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে এখানে একজন শিক্ষকের পারিশ্রমিককে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এতে করে একদিকে যেমন জাতিকে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি ভর্তি পরীক্ষার বর্ধিত ফি নির্ধারণের মূল সমস্যা কোথায়, সেটাও অচিহ্নিত রয়ে যাচ্ছে।

কিছুদিন আগে ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টার একটি নীতিমালা করে। ‘নীতিমালার আওতায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া, গবেষণাগার (ল্যাবরেটরি) পরিচালনা, থিসিস সুপারভিশন ইত্যাদি কাজে গড়ে ১৩ কর্মঘণ্টা ব্যয় করতে হবে একজন শিক্ষককে। ৪০ ঘণ্টার অবশিষ্ট সময় প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, গবেষণা, বই বা প্রবন্ধ লেখা ও বিভাগের প্রশাসনিক কাজে ব্যয় করতে হবে’ (প্রথম আলো, ২২ আগস্ট ২০২২)। এ নীতিমালার কোথাও ভর্তি পরীক্ষার প্রক্টরিংকে শিক্ষকের স্বাভাবিক কর্মঘণ্টার আওতাভুক্ত বলা যায় না। সারা পৃথিবীতে কেউ স্বাভাবিক কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত কাজ করলে তার বিপরীতে তাঁকে প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তাহলে একজন শিক্ষক যদি তাঁর সপ্তাহের স্বাভাবিক কর্মঘণ্টার বেশি পরিশ্রম করেন, তবে তার বিপরীতে তাঁকে প্রণোদনা কেন প্রদান করা হবে না, সেটা আমার বোধগম্য নয়।

আরও পড়ুন

প্রশ্ন হচ্ছে এই পারিশ্রমিক কিংবা পরীক্ষার সম্মানী কত নির্ধারণ করা হবে? একজন শিক্ষকের সম্মানী কত নির্ধারিত হবে, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আর এই সম্মানী নির্ধারণ প্রক্রিয়া চায়ের আসরের মতো কোনো সাধারণ সভায় সম্পন্ন হয় না, বরং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এফসি কমিটি এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাস হয়ে সাধারণ শিক্ষকের কাছে আসে। এই পুরো প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন হতে কয়েক মাস সময় লাগে। অথচ একজন শিক্ষক যখন পরীক্ষার প্রক্টরিং করেন, তিনি তাঁর সম্মানী কত নির্ধারিত হবে সে বিষয়টি না জেনেই, কেবল পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করেন। যাঁরা ভর্তি কমিটিতে কাজ করেন, তাঁদের অনেকেই নিজের পরিবারের মানসিক চাহিদাকে উপেক্ষা করে বিভাগে রাতযাপন করেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন এবং তার গোপনীয়তা রক্ষা করেন। ভর্তি পরীক্ষার পুরো সময়টাতে একজন শিক্ষক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অমানুষিক পরিশ্রমকে আমলে না নিয়ে কেবল তাঁদের সম্মানীকে ‘ভাগ-বাঁটোয়ারা’ উল্লেখ করা একদিকে যেমন অনৈতিক, অন্যদিকে তেমনি বিভ্রান্তিকর এবং অশোভন।

সম্মান এবং ত্যাগের নিদর্শন হিসেবে শিক্ষককে উপস্থাপন করতে করতে আমরা এই পেশাকে এক অতিপ্রাকৃতিক এবং আপাদমস্তক অবাস্তব আদর্শিক পেশায় পরিণত করে ফেলেছি। আমরা মনে করি, শিক্ষকের জীবন মানে ত্যাগের জীবন। শিক্ষক ক্লাসরুমে শিক্ষা দেবেন আর বিকেলে ছাতা হাতে নিয়ে পার্কে হেঁটে শরীর ঠিক রাখবেন। রিকশা কিংবা বাসে করে বাজারের ব্যাগ হাতে বাজার করে আসবেন। তাঁরা হলেন জাতির আদর্শ। আমরা কি ভেবে দেখেছি শিক্ষকও মানুষ; গরমে তাঁর শরীরেও ঘাম ঝরে, শীতে কাঁপুনি ওঠে; তাঁর সন্তানেরও ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার অধিকার আছে; পায়ে হেঁটে, রিকশায় বা গণপরিবহনের পরিবর্তে নিজেদের গাড়িতে স্কুলে যাতায়াত করার অধিকার আছে। শিক্ষকেরও ইচ্ছা করে সুন্দর ও সুসজ্জিত অফিসকক্ষে ছাত্রকে একাডেমিক পরামর্শ দিতে। কিন্তু বাস্তবে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষকের অফিস সরঞ্জাম নেই; বেশির ভাগ জুনিয়র শিক্ষক সিনিয়র সহকর্মীদের ব্যবহৃত ফার্নিচার ব্যবহার করেন, একটি কম্পিউটার বরাদ্দ পেতে সময় লাগে কয়েক বছর। অনেক শিক্ষক আছেন, ভর্তি পরীক্ষার এই পারিশ্রমিক দিয়ে নিজের জন্য অফিস সরঞ্জাম কেনেন কিংবা একটা ল্যাপটপ কেনেন, কিংবা কেনেন গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় বই।

একদিকে জুনিয়র শিক্ষকদের ওপর একাডেমিক কোর্সের চাপ, অন্যদিকে অধ্যাপকদের ক্ষেত্রে একই পদমর্যাদার অন্য পেশাজীবীদের সঙ্গে আর্থিক বৈষম্য শিক্ষকতার পেশাকে মেধাবীদের কাছে ধীরে ধীরে অনাকর্ষণীয় করে তুলেছে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রতিবেদন শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে। আমি আশা করছি, সংবাদপত্রগুলো এ ধরনের সংবাদ করার আগে সব দিক বিবেচনা করে পেশাদারত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে; সেই সঙ্গে অন্য পেশার প্রতি সম্মান এবং সুবিচার করবে।

  • নাসরীন সুলতানা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অন্টারিও, কানাডার পিএইচডি শিক্ষার্থী। ইমেইল: [email protected]