১ জানুয়ারি ২০২৫ দৈনিক প্রথম আলোতে ফরহাদ মজহারের লেখা ‘ভারী দরজা খোলার চাবি’ শিরোনামে কলামটি পড়ে কিছু বিষয়ে ভাবনার উদ্রেক হলো। উল্লেখ্য, যখন কারও ভাবনা আর দশজনকে ভাবাতে পারে, সেই না প্রকৃত ভাবুক, চিন্তাশীল লেখক। বর্ষীয়ান এই বিদগ্ধজনের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ভূমিকা ও তাঁকে ঘিরে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র গঠনের দিকনির্দেশনা হতে পারে দীর্ঘকালের কর্মপরিকল্পনা; কিন্তু অভ্যুত্থান–উত্তর বিদ্যমান সমাজবাস্তবতায় তা আমার বোধের বেদনা, তার কিয়দংশ বাস্তবসম্মত মনে হয় না, তা হতে পারে দার্শনিক মনের ভবিষ্যৎ সমাজ গঠনের কল্পনা। আবার তাকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্ববিরোধিতাপূর্ণ বিবেচনা করা যায়। তাই তাঁর সঙ্গে ভিন্নমতের বিষয়ে আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। জ্ঞান বিনির্মাণে ও মুক্তবুদ্ধিচর্চায় ভিন্নমত বা মতপার্থক্য একটি স্বতঃসিদ্ধ বিষয়। আমার ধারণা হয়, তিনি জুলাই–আগস্টে ওই সরকার পতনের আন্দোলনকে গণ–অভ্যুত্থানের জায়গা থেকে হয়তো বিপ্লব বিবেচনা করতে চাইছেন। সে ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক কালে তারুণ্যের ভাবনার সঙ্গে তাঁর চিন্তার কিছুটা সাযুজ্য অনুভব করা যায়। একজন জাগরণের মন্ত্রক ও চিন্তাবিদ হিসেবে তিনি তেমন ভাবনা ভাবতেই পারেন, জাতিকে বিপ্লবের পথে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। সেটা দোষের নয়। অনেকের মনে তেমন ভাবনা ক্রিয়া করলেও এবং বিপ্লবের ফসল ঘরে তোলার পথে হাঁটার আগ্রহ থাকলেও দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে একটি মৌলিক সামাজিক পরিবর্তন না ঘটা পর্যন্ত এবং মানুষ তাকে ধারণ ও লালন করতে অভ্যস্ত ও সক্ষম না হওয়া পর্যন্ত সেটা অভ্যুত্থান, বিপ্লব নয়।
বিপ্লবের পথে আমরা অগ্রসর হতে পারি, কিন্তু আমার ধারণা, সে জায়গায় উপনীত হতে হলে আমাদের অনেক কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করতে হবে। বিপ্লব বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। বিপ্লবের চেতনা বিপ্লবীদের ভেতরে জাগ্রত হতে হয়। সেটা তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠের মধ্যে ছিল কি, সে কাজে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়েছে কি? তা আজকের ভাবনার বিষয়। হতে পারে তিনি হয়তো জাতির জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনায়নে খুব বেশি আশাবাদী হয়ে পড়েছেন।
ধারণা হয়, কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কালে মানুষ সরকার পতনের বিষয়ে ঘুণাক্ষরে কিছুই অনুভব করতে পারেনি। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও সে বিষয়ে অনিশ্চিত অন্ধকারে ছিল। আর দ্রুততার সঙ্গে ও বিস্ময়করভাবে সরকার পতনের পর ওই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী স্বপ্নচারী ছাত্র-জনতা রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পরিবর্তন ও রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয় সামনে নিয়ে এল। সেটা আনতে গিয়ে সময়সাপেক্ষ বিষয় হলেও তাঁদের মধ্যেও হয়তো পরিবেশের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিপ্লবের পক্ষে আশাবাদের জায়গা তৈরি হয়ে থাকতে পারে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ জনগণ তার ওপর আশায় বুক বাঁধল এবং সে ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে উঠল। শিক্ষার্থীদের প্রেরণায় সাধারণ মানুষের মনে প্রত্যাশা তৈরি হলো যে বন্দোবস্তের মাধ্যমে একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল ও তার শীর্ষ নেতারা ক্ষমতার মসনদে বসতে পারলে স্বৈরাচারী হয়, সংস্কারের মাধ্যমে তেমন ব্যবস্থার অবসান ঘটানো সম্ভব হলে সমাজ এগিয়ে যাবে। আর সভ্যতা বিনির্মাণে এভাবেই আমাদের ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। জনমতের ভিত্তিতে সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশমালা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের মধ্যস্থতায় ঐকমত্য তৈরি হবে, আর ওই ঐকমত্যের ভিত্তিতেই ইংল্যান্ডের (১২১৫) রাজা চার্লস ও জনতার মধ্যে স্বাক্ষরিত মেগনাকার্টার মতো রাজনৈতিক দল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনতার মধ্যে ঐতিহাসিক একটি চুক্তি সম্পাদিত হবে।
ওই চুক্তির ভিত্তিতে যত দূর সম্ভব আইনের মাধ্যমে সংস্কার করা হবে, বাকি যা থাকে পরবর্তীকালে নির্বাচিত সরকার করবে। কেবল ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনই গণতন্ত্র নয়, যাতে করে মানুষ যথার্থ গণতন্ত্রের স্বাদ পেতে পারে, সে কাজে গণসচেতনতা ও জনগণের কার্যকরী অংশগ্রহণ অনিবার্য।
তবে ফরহাদ মজহার ২০২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানকে ঘিরে যে প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছেন, তা আশা করা যেতে পারে, তবে এই মুহূর্তে তাঁকে কতটা সম্ভব করে তোলা যাবে, তা নিয়ে মানুষের মনে সংশয় রয়েছে। তাঁর ওই চিন্তা মনে হয় ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়ার স্বপ্ন। আমার ধারণা, সে স্বপ্ন পূরণে আমাদের অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে।
নিবন্ধটিতে তিনি জনগণকে গণশক্তি হিসেবে গঠন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। অর্থাৎ জনগণের ক্ষমতায়নকে তিনি মুখ্য বিবেচনা করেছেন। তার সমর্থনে তিনি গণসার্বভৌমত্বের কথা ও জনগণের সামষ্টিক রাজনৈতিক শক্তির বিকাশে রাষ্ট্রকে ভূমিকা পালন করতে হবে মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু কীভাবে জনগণের ক্ষমতায়ন করা সম্ভব? জনমতের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা বা একটি নির্বাচিত সরকার কীভাবে প্রশাসনের সব ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে, সেটা তাঁর প্রত্যাশা হলেও গণতন্ত্রের ভগ্নদশায় কীভাবে তাকে সম্ভব করে তোলা যাবে, সেটাই আজ আমাদের বিবেচ্য বিষয়।
ছেলেবেলা থেকেই শুনে বা জেনে এসেছি জনগণের ক্ষমতায়নের পথের কাঁটা বা বাধা ঔপনিবেশিক আমলে ব্রিটিশ শাসন–শোষণে সহায়তাকারী এলিট বা অভিজাত শ্রেণির কথা। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে গড়ে ওঠা জমিদারশ্রেণি সে কাজটি করেছিল। তেমন উদ্দেশ্য থেকে ব্রিটিশরা আমলাতন্ত্র গড়ে তুলেছিল। ব্রিটিশ গেল, পাকিস্তান গেল, আজ স্বাধীন দেশেও জনগণের অধিকার হরণ ও ক্ষমতায়নের পথকে অবরুদ্ধ করে রাখার ধারাবাহিকতার নির্জলা সত্য কথাটি তিনি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। আর তা চিন্তক সমাজের মনের একটি সুপ্রতিষ্ঠিত ধারণাও বটে। এসব ক্ষেত্রে তাঁর অভিমতের সঙ্গে কোনো ভিন্নমত নেই, থাকার কথা নয়। কিন্তু আমি বিস্মিত হলাম তাঁর নিবন্ধে ‘তাই গঠনের কথা না-বলা তারা কেবলই ফাঁপা সংস্কারের কথা বলে বেড়াচ্ছে’ এমন উচ্চারণ দেখে। জনগণের ক্ষমতায়নের পথে বাধা অপসারণের লক্ষ্যে ২০২৪-এ তারুণ্যের ভাবনায় যখন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যথার্থ গণতন্ত্রচর্চার মানসে সামাজিক কাঠামোর পরিবর্তন আনয়নের জন্যই রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কারের তাগিদ অনুভূত হয়, তখন তাঁর মতো গুণীজনের মুখে ফাঁপা সংস্কারের বাণী আমার মনে হয় সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত ও সংশয়গ্রস্ত করতে পারে। তা সাধারণ মানুষের চিন্তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। তিনি যে গঠনের কথা বলেছেন, আমার মনে হয় সেই গঠন করার লক্ষ্যেই রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি জোরালো হয়েছে। দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোতে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারা এবং জনকল্যাণে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অর্জনের উদ্দেশ্যেই ছাত্র-জনতাসহ সাধারণ মানুষ রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজন আছে বলে মনে করে।
আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান নানা অসংগতি ও বাধা দূর করে জনমতের ভিত্তিতে একটি কাঙ্ক্ষিত নিয়মনীতি প্রতিষ্ঠা করাই সংস্কারের উদ্দেশ্য। সেটার মাধ্যমে আমরা রাষ্ট্র গঠন বা মেরামতের কাজে অগ্রসর হতে পারি। অতএব রাষ্ট্র সংস্কার ও রাষ্ট্র গঠন পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়; বরং তারা পরস্পরের পরিপূরক। তিনি কেন তাদের মধ্যে বিভাজন দেখতে পেলেন, তাদের পরস্পরকে সাংঘর্ষিক বিবেচনা করলেন, তা আমার বোধগম্য নয়। ধারণা হয়, সচেতন বিবেকবান মানুষ আরও হতাশ ও সংশয়গ্রস্ত হতে পারে তাঁর নিবন্ধে নিম্নরূপ অভিমতের কারণে, ‘কলোনিয়াল শাসকদের মতো ওপর থেকে লিখে দেওয়া ‘পুনর্লিখন করা’ কিংবা তথাকথিত গণবিচ্ছিন্ন কমিশন বানিয়ে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ‘সংবিধান’ নয়, গণ-অভ্যুত্থানের অভিপ্রায় ছিল নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে জনগণই পরস্পরের সঙ্গে নৈতিক সাংস্কৃতিক, আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক নির্ধারণ ও নির্ণয় করবে এবং নতুন চিন্তা, আদর্শ ও অভিপ্রায়ের আলোকে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের গঠন করার ‘গঠনতন্ত্র’ প্রণয়ন করবে। আগে রাষ্ট্র গঠন করতে হবে, তারপর নতুন গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে সরকার।
আমার মনে প্রশ্ন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মনে কি আদৌ তেমন অভিপ্রায় ছিল? না, এটা তাঁর কল্পনাপ্রসূত মনের অভিব্যক্তি। তিনি যে গঠনের কথা বলেছেন, নানা ক্ষেত্রে মানুষ পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বেন বলে আশাবাদী হয়েছেন, নিজেই নিজের কর্তা হয়ে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করবেন মর্মে উচ্চাশা পোষণ করেছেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ওগুলো অভ্যুত্থানের পেছনে তাঁর ওই অপটিমস্টিক দার্শনিক চিন্তা কতটা বাস্তবসম্মত, তা মনে হয় সচেতন বিবেকবানদের ভাবনার বিষয়। তিনি গণ-অভ্যুত্থানকে নিয়ে হয়তো অনাগত ভবিষ্যতের বা দীর্ঘকালের ভাবনা ভাবছেন। দীর্ঘকালে সেটা সম্ভব হতে পারে; কিন্তু স্বল্প সময়ে বা একালে এত দ্রুত সেটা নয়।
আরও খোলাসা করে বলা যায়, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে কোথাও কি বিপ্লবের পরিবেশ ও প্রস্তুতি ছিল? পরিবেশ ও পরিস্থিতি ছিল না বলেই আমরা বিপ্লবী সরকার গঠন করতে পারিনি। সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে এবং সরকারকে সংবিধানের আওতায় শপথ গ্রহণ করতে হয়েছে। এতকাল পরে তা নিয়ে ওভাবে কথা বললে সমাজে নতুন বিতর্ক জন্ম নিতে পারে, সাংবিধানিক সংকটের প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে অভ্যুত্থানকে বিপ্লবের মর্যাদাদানের ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি হলে তাঁর অভিমত আলোর মুখ দেখতেও পারে এবং সে মোতাবেক গঠনের কাজটি সম্ভব হতেও পারে। তবে আমার ধারণা, তা হয়তো সহজসাধ্য হবে না। সে কারণেই এইক্ষণে গঠনের লক্ষ্যে তাঁর জনগণের নিজের কর্তা হয়ে ওঠার এবং সংবিধান প্রণয়নের ভাবনা—আমার মনে হয় ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়ার স্বপ্ন। আর সেটা হয়তো দুঃস্বপ্ন বা দিবাস্বপ্ন।
তিনি ওই নিবন্ধে আরও লিখেছেন, ‘এমন একটি সরকার কায়েম করা হয়েছে, যা সংবিধানে নেই এবং ওই সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে সেটা বদলানো বা তথাকথিত সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, যা এক স্ববিরোধিতা।’ ধারণা হয়, তাঁর তেমন অভিমতও স্ববিরোধিতাপূর্ণ। তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করছেন, তার পতনের লক্ষ্যে গণ-অভ্যুত্থানকে সমর্থন করছেন। আবার গণ-অভ্যুত্থান–পরবর্তী সরকার সংবিধানসম্মত নয় মর্মে প্রশ্ন তুলেছেন, তা কি স্ববিরোধী হয় না? গণ-অভ্যুত্থানের পর সরকার কীভাবে গঠিত হবে, তা তো সংবিধানে লেখা থাকে না। সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোসহ জনগণের ঐকমত্যই মুখ্য। অভ্যুত্থানের এতকাল পরে তাঁর ওই অভিমত কি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অনুভূতিকে আহত করে না?
যাহোক, রাষ্ট্র সংস্কারের কাজটি হতে পারে আমাদের জাতীয় জীবনের অগ্রগতির সিঁড়ি, সে পথে আমরা চলতে শুরু করলে সময়ের অগ্রগতিতে আমরা একসময় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারি। একজন লেখক ও দার্শনিকের মতামত সব সময় সময়োপযোগী হবে বা সর্বজনের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে—এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। তবে এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষ তাঁর ওই রূপ অভিমতে যে দ্বিধান্বিত হতে পারে, তা মনে হয় সুনিশ্চিত। তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলি ও পাণ্ডিত্য অসামান্য। আমাকে ভাববার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।
ড. মো. মোস্তাফিজার রহমান অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, নওঁগা সরকারি কলেজ।