ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠান

বর্তমান সরকারের বিগত শাসনামলে ২০১০ সালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। ওই আইনের অধীন সাতটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে৷ সেগুলো শুধু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী তথা আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলোর সংস্কৃতি, সাহিত্য, ইতিহাস, ঐতিহ্য ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করে থাকে। নামে যা হোক না কেন আইনটি অত্যন্ত যুগোপযোগী। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবহেলার কারণে এ আইনের অধীন এখনো কোনো প্রবিধান না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারছে না। ফলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আর্থিক দুর্ভোগে রয়েছেন৷ অধিকন্তু শূন্য পদে নিয়োগদান, পদোন্নতি সব স্তিমিত হয়ে রয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে আইনে উল্লেখ থাকলেও এখনো পরিচালক নিযুক্ত করা হয়নি। ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে লেজেগোবরে অবস্থায় ম্রিয়মাণভাবে গতানুগতিক কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যা আদিবাসী সংস্কৃতি উন্নয়নে কোনো কাজে আসছে না।
গত বৈসাবি উৎসবের সময় চট্টগ্রাম থেকে বাঙালি শিল্পী এনে কনসার্ট করার সময় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হট্টগোল দেখা দেয় এবং অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল। দর্শকদের দাবি ছিল অন্তত বিজু উৎসবের সময় পাহাড়ি প্রতিষ্ঠানটি শুধু বাঙালি গান পরিবেশন করবে কেন। এ ধরনের উদ্যোগ রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ কীভাবে গ্রহণ করে, তা কল্পনারও বাইরে। অথচ আদিবাসী সংস্কৃতির প্রসারে এ প্রতিষ্ঠান কাজ করার কথা। ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের অদক্ষতা, নেতিবাচক সিদ্ধান্তের কারণে এগুলো ঘটছে।
তাই, আশু রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে পরিচালক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। আদিবাসীবান্ধব সরকার হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিগগির এ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন, এ আশা-প্রত্যাশা আমাদের সবার।
অর্জুন কুমার চাকমা
সংস্কৃতিকর্মী, কালিন্দীপুর, রাঙামাটি।