টিকা নেওয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের একাধিক টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে। সরকারি স্তরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শিগগির টিকা আসছে। একাধিক টিকা এখন আলোচনায়। এসব টিকার উদ্যোগ, মান, কার্যকারিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পার্থ শঙ্কর সাহা

ফেরদৌসী কাদরী

প্রশ্ন :

যেকোনো টিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় বরাবরই সমন্বিত প্রচেষ্টা ছিল। সর্বশেষ ইবোলার টিকা তৈরিতেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পাশাপাশি বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর প্রচেষ্টা দেখা গেছে। করোনার টিকার ক্ষেত্রেও নানামুখী তৎপরতা চলেছে এবং চলছে। এসব উদ্যোগ নিয়ে আপনার অভিমত কী?

ফেরদৌসী কাদরী: আগের টিকাগুলোর মতো এবারও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, স্বল্পমূল্যে টিকা দেওয়ার বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্যাভি এবং সংক্রামক রোগের টিকা তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক সংস্থা সেপির পাশাপাশি অন্যান্য বহুজাতিক সংস্থার সহযোগিতা ও সমন্বয়ে কোভিড-১৯-এর বিভিন্ন ধরনের টিকা তৈরির প্রয়াস চলছে। এই মহামারি থেকে উত্তরণের জন্য এবং জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সবার জন্য নিরাপদ, কার্যকরী এবং সাশ্রয়ী টিকা জোগানের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। এ কারণেই বৈশ্বিক মহামারি শুরুর এক বছর শেষ না হতেই অনেকগুলো সম্ভাবনাময় টিকা আমাদের নাগালে চলে এসেছে।

প্রশ্ন :

ইতিমধ্যে এগিয়ে থাকা করোনার টিকাগুলো নিয়ে প্রতিদিন খবর আসছে। ৭০ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকারিতার দাবি করা হচ্ছে। প্রয়োগও শুরু হয়ে গেছে। এই খবরগুলোকে কীভাবে দেখছেন?

ফেরদৌসী কাদরী: এগুলো নিঃসন্দেহে সুখবর। তবে সম্ভাবনাময় কোভিড-১৯-এর টিকার কার্যক্ষমতা ও কার্যকারিতার মাধ্যমে টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কত দিন সুরক্ষা পাবেন, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক বিষয় এখনো আমাদের অজানা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরও বিশদ জানতে পারব।

প্রশ্ন :

যে টিকাগুলো এখন আমাদের কাছে আসছে, সেগুলোর কার্যকারিতা কেমন? অর্থাৎ, এখন যেসব টিকা আছে, সেগুলো কোনটি কত শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর বলে মনে হচ্ছে। একটি টিকা কত শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর হলে সেটাকে আমরা প্রয়োগের উপযোগী বলতে পারি।

ফেরদৌসী কাদরী: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কোভিড-১৯ টিকার অনুমোদনের শর্ত অনুযায়ী, টিকাগুলোকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ কার্যকরী হতে হয়। এখন যেসব টিকা আছে, সেগুলোর কার্যকারিতার অন্তর্বর্তীকালীন তথ্য থেকে দেখা যায়, ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশ, মডার্নার টিকার ৯৫ শতাংশ, রাশিয়ার স্পুতনিক-ভি টিকার ৯২ শতাংশ এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকার কার্যকারিতা ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ। তবে এসব টিকা কত দিন ধরে সুরক্ষা দেবে, তা এখনো আমাদের অজানা। এসব বিষয়ে তাদের গবেষণা এখনো চলছে।

প্রশ্ন :

প্রথাগত টিকাগুলোর মধ্যে নানা রকমের ধরন আছে। এর পাশাপাশি ভাইরাসের জিনের ডিএনএন ও আরএনএ ব্যবহার করেও টিকা তৈরি করা হয়। করোনার টিকাগুলোর প্রকৃতি কী।

ফেরদৌসী কাদরী: কোভিড-১৯-এর সামনের সারির টিকাগুলোর মধ্যে মেসেঞ্জার আরএনএ এবং ভাইরাল ভেক্টরভিত্তিক প্রযুক্তিগুলো এগিয়ে রয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, এসব প্রযুক্তি টিকার ক্ষেত্রে নতুন হলেও নিরাপদ আর কার্যকরী বলে প্রমাণিত। অন্যদিকে, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় অন্যান্য প্রযুক্তির টিকাও আছে। টিকার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির চেয়ে টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতাই সব সময় প্রাধান্য পায়। টিকা কোন প্রযুক্তির, সেটি খুব মুখ্য বিবেচ্য বিষয় নয়।

প্রশ্ন :

এগিয়ে থাকা একটি টিকার পরীক্ষাও (ট্রায়াল) বাংলাদেশে হয়নি। টিকার উপযোগিতার ক্ষেত্রে এটি কি কোনো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে? টিকার পরীক্ষা দেশে হলে বিশেষ কোনো সুবিধা হতো?

ফেরদৌসী কাদরী: এটা সত্যি, এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ টিকার কোনো ট্রায়াল বাংলাদেশে শুরু হয়নি। তবে টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে এটি কোনো সমস্যা নয়। কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব একেক জনগোষ্ঠীর ওপর একেক রকমের। একেক গোষ্ঠী টিকার প্রতি একেক ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে থাকে। এই বিবেচনায় দেশে কোভিড-১৯ টিকার পরীক্ষা করার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।

প্রশ্ন :

সফল টিকা কি বর্তমান এই মহামারির অবসান করতে পারবে?

ফেরদৌসী কাদরী: কার্যকর টিকা সংক্রমণ প্রতিরোধ করার মাধ্যমে অযাচিত মৃত্যু হ্রাস করে। তবে এই মহামারি থেকে উত্তরণের জন্য মাস্ক পরা, হাত ধোয়া আর শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার চর্চা অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতে হবে। মহামারির অবসান ঘটাতে হার্ড ইমিউনিটি এবং সুরক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। টিকা আর সাধারণ সংক্রমণ প্রতিরোধের মাধ্যমে এটি গড়ে উঠতে পারে।

প্রশ্ন :

করোনার গতিপ্রকৃতি নিয়ে এখনো বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে অনুসন্ধান চলছে। মিউটেশনের মাধ্যমে ভাইরাসটি নিয়মিত বদলে যেতে থাকে। এই ক্রমাগত পরিবর্তনশীল ভাইরাস থেকে নিরাপত্তা দিতে টিকাগুলো কেমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে?

ফেরদৌসী কাদরী: জিনবিষয়ক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের মিউটেশন হার বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসের মিউটেশনের হারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের কিছু দেশে কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন শনাক্ত করা স্ট্রেইনগুলো (ধরন) আগেরগুলোর তুলনায় বেশি সংক্রামক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিশদ গবেষণা চলছে। তবে এ পর্যন্ত চলা গবেষণা থেকে বলা যায়, বর্তমানে অনুমোদিত সব টিকা বা থেরাপিউটিক বর্তমানে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কার্যকরী হলে আমাদের দেশেও কার্যকর বলে বিবেচিত হবে। যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের কিছু দেশে শনাক্ত করা পরিবর্তিত ভাইরাসগুলোর ওপর অনুমোদিত টিকাগুলো কী প্রভাব ফেলবে, কোনো গবেষণার আগে সেটা বলা সম্ভব নয়।

প্রশ্ন :

মানুষের মধ্যে টিকার গ্রহণযোগ্যতা এবং টিকার সম্প্রসারণ নিয়ে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের সুনাম আছে। এবারে যে পরিস্থিতি, সেখানে এগিয়ে থাকা টিকাগুলো পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কতটা সুবিধা পাবে বলে আপনার মনে হয়?

ফেরদৌসী কাদরী: বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের টিকা সুবিধা নিশ্চিত করার আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্যাভি-কোভেক্স ফ্যাসিলিটিতে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে যোগ দিয়েছে। এতে করে যখন কোনো টিকা অনুমোদিত হবে, তখন অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও তা পাবে। অন্যদিকে, টিকা সংগ্রহে বাংলাদেশ টিকা উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিও করেছে। বাংলাদেশ কোভিড-১৯ টিকা আনার ক্ষেত্রে সফলতা পাবে বলে আমি আশাবাদী।

প্রশ্ন :

টিকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থা কেমন হতে পারে? কাদের আগে পাওয়া উচিত? আমাদের দেশে অগ্রাধিকারের যে তালিকা করা হয়েছে, সেটি যুক্তিযুক্ত?

ফেরদৌসী কাদরী: টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী চিহ্নিত করে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিকনির্দেশনা অনুসারে বাংলাদেশ একটি টিকাদান পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। সেখানে চিকিৎসা-কর্মীদের পাশাপাশি অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর সমন্বয়ে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

প্রশ্ন :

আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাজারে টিকা নিয়ে আসছে। টিকা পেলে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ আর হবে না, এটা কতটুকু নিশ্চিত?

ফেরদৌসী কাদরী: ব্যাপারটা এখনো অজানা। এখন পর্যন্ত আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, শুধু গুটিবসন্তের ক্ষেত্রে একবার টিকা দেওয়ার পর রোগটি আর হয় না। এ ছাড়া কোভিড-১৯-এর যেসব সম্ভাবনাময় টিকা বাজারে আসছে, সেগুলোর কোনোটারই কার্যকারিতা ১০০ শতাংশ নয়। সে কারণে একবার এ টিকা নিলেও রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। আবার এর অন্য একটা দিকও আছে। আমরা ফ্লুর টিকার কথা ভাবতে পারি। এই টিকা দেওয়ার পরও যদি কেউ রোগটিতে আক্রান্ত হয়, তা হলেও রোগের তীব্রতা মারাত্মক হয় না।

অতিসম্প্রতি যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ টিকার ক্ষেত্রে কার্যকারিতা নিরূপণের পরীক্ষার অপেক্ষায় না থেকে মানুষকে টিকা দেওয়ার পর ভাইরাসটি দিয়ে চ্যালেঞ্জ করে টিকার কার্যকারিতা দেখার একটি গবেষণার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অন্যান্য টিকার ক্ষেত্রেও এটা করা হয়ে থাকে। এই গবেষণা থেকেও আমরা অনেক কিছু জানতে পারব। যা-ই হোক, মাস্ক পরা, হাত ধোয়া আর শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা—এর সবকিছুই কিন্তু আমাদের পাশাপাশি চালিয়ে যেতে হবে।

প্রশ্ন :

করোনার টিকা শরীরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা কত দিন ধরে রাখবে?

ফেরদৌসী কাদরী: কোভিড-১৯ টিকার মাধ্যমে সৃষ্ট অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কত দিন পর্যন্ত আমাদের শরীরে কার্যকর থাকবে, তা নিয়ে গবেষণা এখনো চলছে। কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার ছয় মাস পরেও রোগীর মধ্যে অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব দেখা গেছে। অন্যদিকে টিকার ক্ষেত্রে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রবন্ধে দেখা যায়, মডার্নার কোভিড-১৯ টিকার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার ১১৯ দিন পরও যথেষ্ট শক্তিশালী। তৃতীয় ধাপে পরীক্ষার আওতায় থাকা অন্য টিকাগুলোর রোগ প্রতিরোধক্ষমতার স্থায়িত্বও যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক।

প্রশ্ন :

ফাইজারের এম-আরএনএ টিকায় কি থেরাপিউটিক কোনো সুবিধা হবে? যে রোগী এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁকে টিকা দিলে কি সেটা ওষুধের মতো কাজ করবে?

ফেরদৌসী কাদরী: কোভিড-১৯-এর টিকাগুলোর গবেষণার উদ্দেশ্য শুধু এই যে এগুলো রোগ প্রতিরোধে কার্যকর কি না এবং নিরাপদ কি না তা যাচাই করা। এসব টিকাকে থেরাপিউটিক হিসেবে ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই।

প্রশ্ন :

সবাইকে তো এই টিকার দুটো ডোজ নিতে হবে। কেউ যদি দ্বিতীয় ডোজ সময়মতো না নিতে পারেন, তখন কী হবে?

ফেরদৌসী কাদরী: সাধারণত টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। তার মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকাটি দিতে হয়। এটি দুই সপ্তাহ বা তার বেশি হতে পারে। এই সময়টি গবেষণার মাধ্যমে নির্ধারণ করে রাখা হয়। তবে কেউ প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দীর্ঘ সময় পার করে ফেললে টিকাদানের পুরো পদ্ধতিটি আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে প্রথম ডোজ থেকে কত দিনের ব্যবধান পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে, সেটি এখনো গবেষণার বিষয়। সেটি জানতে আরও কিছু সময় লাগবে।

প্রশ্ন :

ফ্লুর টিকার মতো এই টিকাও কি প্রতিবছর একবার করে নিতে হবে?

ফেরদৌসী কাদরী: ইতিমধ্যে যাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের জন্যও কোভিড-১৯-এর টিকা নিরাপদ ও উপকারী। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কত দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, তা এখনো অজানা। অন্য সব টিকার মতো এটির ক্ষেত্রেও যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন এবং যাঁরা হননি, সবাইকেই টিকা দেওয়া যেতে পারে। এমন হতে পারে যে ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকার মতো প্রতিবছরই করোনার টিকা নেওয়ার দরকার হতে পারে। এটা নির্ভর করবে টিকার সুরক্ষার স্থায়িত্বকাল কত দিন, তার ওপর। এসব ছাড়াও এটি নির্ভর করে হার্ড ইমিউনিটি বা প্রতিরোধের ওপর, যা সাধারণ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা ও টিকার মাধ্যমে গড়ে ওঠে।

প্রশ্ন :

যিনি কোভিডের টিকা নেবেন, তিনি কি রোগটি ছড়াতে পারেন?

ফেরদৌসী কাদরী: না। তাদের থেকে রোগ সংক্রমণের কোনো আশঙ্কা নেই।

প্রশ্ন :

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ফেরদৌসী কাদরী: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।