নদীভাঙন

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী, রাজীবপুর ও চিলমারী উপজেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চল। এই অঞ্চলের জনগণকে প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়। নদীভাঙনের ফলে এখানকার জনগণ ঘরবাড়ি, জমিজমা, সম্পত্তি হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এ তিন উপজেলার অনেক জায়গা বর্তমানে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ইতিমধ্যে খেদাইমারী, ঘুঘুমারী, ফুলুয়ার চর, উত্তর খাউরিয়ার চর, ফেচুকার চর, সাহেবের আলগা, খেরুয়ার চর, বন্দরের ইউনিয়ন, মানুষমারা, কাজিয়ার চর, খনজনমারা, বলদমারা, অষ্টমীর চর প্রভৃতি অঞ্চলের অধিকাংশ জনবসতি, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, বাজার ইত্যাদি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীভাঙনপীড়িত জনগণের দুঃখের কথা এখানে লিখে শেষ করা যাবে না। এসব মানুষের দুঃখকষ্ট দেখলে যেকোনো মানবহূদয় কেঁদে উঠবে। এই অবস্থা চলতে থাকলে রৌমারী, রাজীবপুর ও চিলমারী অঞ্চলের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যেতে পারে। গত কয়েক বছর নদীভাঙন প্রতিরোধে সরকার বাজেট প্রদান করলেও এখানকার সাংসদ, চেয়ারম্যান, দালাল এবং সরকারি আমলারা পুরোটাই নিজেদের পেটে পুরে নিয়েছেন।
জনগণ ভাঙনরোধে অনেক আবেদন, মিছিল, আন্দোলন করলেও এ নিয়ে কেউ ভাবেনি। কিন্তু দাবি আদায়ের আন্দোলন বৃথা যেতে পারে না। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, নদীভাঙন রোধ প্রকল্পে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
ইউসুফ রানা
রৌমারী, রাজীবপুর, চিলমারী।