ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্ক আছে, সচেতনতা নেই

মানুষকে জানানো হয়নি ভূমিকম্পের সময় করণীয় কী। আতঙ্ক নয়, সঠিক তথ্য দিয়ে সচেতনতা তৈরির সহজ পথেই আমাদের হাঁটতে হবে।

ভূকম্পনে সিলেটের বন্দরবাজার এলাকার রাজা জিসি উচ্চবিদ্যালয়ের ভবনে ফাটলফাইল ছবি

পৃথিবীতে সব সময় কম্পন হচ্ছে। বেশির ভাগই আমরা অনুভব করতে পারি না। যেটা অনুভবে পাত্তা পায়, সেটাই আমাদের কাছে ভূমিকম্প।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট এলাকায় গত ৩০ মে সকাল থেকে অন্তত পাঁচবার কম্পন অনুভূত হয়। দফায় দফায় এমন কম্পনে স্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আবহাওয়াবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত বড় কোনো ভূমিকম্পের আগে বা পরে এমন দফায় দফায় মৃদু কম্পন হতে পারে।

তবে এটা নিতান্তই একটি ধারণা। সুনির্দিষ্ট বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই, যার ওপর ভিত্তি করে ভূমিকম্পের এমন পূর্বাভাস জারি করা যায়।

সিলেটে ঘটনার দিন ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের একজন জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ দফায় দফায় কম্পনের হিসাব দিতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, বেলা তিনটা পর্যন্ত পাঁচবার কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ১, ৪, ৩ ও ২ দশমিক ৮ মাত্রার। কোনো কোনোটি এত মৃদু যে সব স্টেশনে মাত্রা মাপাও যায়নি।

সিলেটে ৭ জুন সন্ধ্যা ৬টা ২৯ ও ৬টা ৩০ মিনিটে আবার দুই দফা ভূকম্পন অনুভূত হয়। এ নিয়ে ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, কম্পনের উৎপত্তিস্থল সিলেট অঞ্চলে। ঢাকা থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ১৮৮ কিলোমিটার। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৮।

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে গবেষণার জন্য প্রতিষ্ঠিত আর্থ অবজারভেটরির পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ হ‌ুমায়ূন আখতার জানান, সেদিনের (৩০ মে) ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিলেটেরই জৈন্তা এলাকার ডাউকি ফল্ট। ডাউকি ফল্ট পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় তিন শ কিলোমিটার বিস্তৃত এবং এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই পলিমাটি দিয়ে ঢাকা।

সিলেটে সাম্প্রতিক দফায় দফায় ভূকম্পনের কারণে নগরবাসী বেশ আতঙ্কে আছেন। বছর দুয়েক আগে ২০১৯ সালে অনেক শোরগোল করে সিলেট নগরে দালানকোঠার একটা জরিপ করানো হয়। সেই প্রক্রিয়ায় নগরীর কমপক্ষে ২৪টি ভবন ভূমিকম্প বিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত হয়। এবারের কম্পনের পর ঝুঁকির আওতায় পড়া বিপণিবিতান ও ভবন ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সিটি করপোরেশন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, কথিত ২৪টির ১টিও এই কম্পনে কোনো হেলদোল দেখায়নি; বরং জরিপে উতরে যাওয়া ভবনগুলোর মধ্য থেকে দুটি নাকি হেলে পড়েছে। গত মাসের কম্পনের পর সেই দুটিকেও বিপন্ন ভবনের তালিকাভুক্ত করে নেওয়া হয়। কেউ অবশ্য আগের জরিপের গুণমান নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেননি। কেউ প্রশ্ন করেনি কথিত দালান দুটি হেলে পড়ার কারণ কী—কম্পন, না অন্য কিছু।

কেরানীগঞ্জে গত ফেব্রুয়ারিতে আস্ত একটি তিনতলা বাড়ি চিতপটাং হয়ে যায় আপনা-আপনি। ঘটনার আগে একটা কম্পন-টম্পন হলে নিঃসন্দেহে ভূমিকম্পকে দায়ী করা যেত। পাঠকের নিশ্চয় মনে আছে, সিলেটে ২০১৯ সালে করা বিপন্ন ভবনের তালিকায় কালেক্টরেট ভবন-৩, জেল রোডের সমবায় ব্যাংক ভবন, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয়, পাঠানটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধোপাদীঘির দক্ষিণ পাড়ের পৌর বিপণিবিতান ও ধোপাদিঘীরপাড়ের পৌর শপিং সেন্টারসহ অনেকগুলো ভবনই ছিল সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন ও ব্যবহৃত ভবন।

২০১৫ সালে নেপালে ভূমিকম্পের ধাক্কা বাংলাদেশেও এসে পৌঁছেছিল। নেপাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলে বাংলাদেশজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। তারপর আমরা যথারীতি একটু নড়েচড়ে বসেছিলাম। সেই উদ্বেগের আগুনে দুশ্চিন্তার ঘি ঢালতে থাকেন আমাদের তাবৎ টক শো অতিথিবৃন্দ। পুরকৌশলী, পদার্থবিদ, স্থপতি, দমকল কর্মকর্তা, খনি বিশেষজ্ঞ, ভূগোলের শিক্ষক, উদ্ধারকর্মী, ভূতত্ত্ববিদ—সেই সব ভয় দেখানো আলোচনায় কেউ আর বাদ রইলেন না।

কেউ বলতে থাকেন ভারতীয়, ইউরেশিয়ান ও মিয়ানমার—এ তিন গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশের দুটি বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ১২৪ বছর ধরে ভূমিকম্পের শক্তি সঞ্চিত হয়ে আছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। সঞ্চিত শক্তি একবারে বের হবে, না দু–তিনবারে বের হবে, সেটাই এখন ভাবার বিষয়। পাঠক জানেন, ১৮৯৭ সালের ১২ জুন বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে ৮ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। সেখান থেকেই ১২৪ বছরের হিসাবটা এসেছে। সেই কম্পনের উৎসস্থল ছিল বর্তমান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে। সে হিসাবে ঢাকা থেকে কমবেশি ২৫০, সিলেট শহর থেকে ১৩০ ও ময়মনসিংহ সদর থেকে ১৫০ দূরে ছিল কম্পনের উৎসস্থল। সেই ভূমিকম্পে ঢাকায় মারা যান দুই বিদেশিসহ মোট পাঁচজন। তবে ঢাকার বিধ্বস্ত পাকা দালান, রাস্তাঘাট ও অন্যান্য স্থাপনা পুনর্নির্মাণ করতে তখনকার দিনের দেড় লক্ষাধিক টাকা খরচ করতে হয়।

টক শোতে অঙ্ক কষে কেউ কেউ বললেন, সাড়ে ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ঢাকার ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে। যেখানে তৈরি হবে সাত কোটি টন কংক্রিটের স্তূপ। কারও কারও মতে, ঢাকার বেশির ভাগ অংশ গড়ে উঠেছে এমন জমিতে, যেখানে মাটি গলে পানি হয়ে যাওয়ার (লিকুইফেকশনের) ঝুঁকি অনেক বেশি। ভূমিকম্প হলে ইন্দোনেশিয়ার পালু শহরের মতো তরল মাটিতে ডুবে যেতে পারে রাজধানী ঢাকার অন্তত ৬০ ভাগ এলাকার ঘরবাড়ি।

বাংলাদেশে যদি বর্ষাকালে বড় ভূমিকম্প হয়, তখন লিকুইফেকশনের ঝুঁকি বেশি। কারণ, তখন বৃষ্টির কারণে ভূগর্ভের পানির স্তর থাকে পরিপূর্ণ। সেই তুলনায় শীতকালের ভূমিকম্পে লিকুইফেকশনের ঝুঁকি অনেক কম। গা ছম ছম করা আলোচনায় এটাও বলা হয় যে দেশের উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া ও রাজশাহীর মতো কিছু জেলায় অগভীর মাটিতে শক্ত শিলা বা ‘সলিড ক্রাস্ট’ আছে বলে তাদের তেমন কোনো ঝুঁকি নেই। তবে লিকুইফেকশনের ঝুঁকি কমবেশি অনেক জায়গাতেই আছে, যেখানে শহর গড়ে উঠেছে নদীবিধৌত পলিমাটিতে। রেফারেন্স হিসেবে তুলে ধরা হয় রাঙামাটিতে ভূমিকম্পের কথা। জেলাটিতে ২০০৩ সালে যে ভূমিকম্প হয়েছিল, সেটার মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১। সেটির উৎপত্তিস্থল ছিল মাটির ১০ বা ১১ কিলোমিটার গভীরে। বলা হয়, সে কারণেই নাকি প্রচণ্ড লিকুইফেকশন হয়েছিল এবং কর্ণফুলী নদীর এক পাড়ের একটি অংশ ধসে পড়েছিল। দু-তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীতীর ধসে পড়েছিল।

অনেক আলাপ-আলোচনার পর বিজ্ঞ ও অভিজ্ঞ বক্তারা এ বিষয়ে একমত হয়েছিলেন যে ঢাকার মধ্যে বড় ভূমিকম্প সৃষ্টির মতো ভূতাত্ত্বিক অবস্থা না থাকলেও সিলেট ও চট্টগ্রামে শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকার অনেক অঞ্চলে মারাত্মক ক্ষতি হবে।

পরিস্থিতি গরম থাকতে থাকতেই সরকারিভাবে তখন বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। যেগুলো হলো—

১. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ‘ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। কথা ছিল আপাতত ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিলেট সিটিতে এটা থাকবে। এই সমন্বয়কেন্দ্রগুলো ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবনে থাকবে, যাতে বিপযর্য়কালে এর কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

২. গড়ে তোলা হবে ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এনডিএমআইএস) নামে একটি ওয়েবসাইট।

৩. ঢাকা শহরে ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগের পর নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে প্রয়োজনীয় খোলা জায়গাও নেই। সেটার ব্যবস্থা হবে।

৪. লাখ লাখ প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকের দল গড়ে তোলা হবে।

এসব প্রতিশ্রুতির কোনটার কী অগ্রগতি? সে প্রশ্নের একটাই উত্তর—‘কাজ চলছে’।

কাজ কি কিছুই হয়নি

কাজ অনেক হয়েছে, হচ্ছে ও হবে। দৃশ্যমান নানা কাজ, যেমন শতকোটি টাকা খরচ করে দমকল বাহিনীর জন্য নানা উপকরণ কেনা হয়েছে। এগুলো ভূমিকম্প হলে কাজে আসতে পারে। আবার ভূমিকম্প আসতে অনেক দেরি হলে কী হবে, সেটা তখন ভাবা যাবে।

নেপালে ভূমিকম্পের পর বিশ্বব্যাংক ও জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার (জাইকা) সহায়তা বাংলাদেশে ভবন পর্যবেক্ষণ ও অবস্থা যাচাইয়ের এক মহাযজ্ঞ শুরু হয়। নানা সরকারি ভবন, বিশেষ করে স্কুল, হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিস ভবনগুলোর দম পরীক্ষার উদ্যোগ
নেওয়া হয়। এ সময় রাজউকের মাধ্যমে ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবনগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ হাতে নেওয়া হয়।

সেই পরিকল্পনার অধীনে ঢাকাতেই প্রায় পাঁচ হাজার হাসপাতাল, স্কুল, ফায়ার সার্ভিস ভবনসহ সরকারি ভবনগুলো পরীক্ষা করে দেখার কথা ছিল। এর বাইরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য সেখানে একটি ইনস্টিটিউট হয়েছে। সেখানেই থাকবে একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ।

কোন কাজটা জরুরি

বাংলাদেশে ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্ক আছে, সচেতনতা নেই। সিলেটের সর্বশেষ কম্পনের বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রথম আলোর প্রতিবেদক লিখেছেন, ‘নগরের কাজী ইলিয়াস এলাকার বাসিন্দা মনসুর উদ্দিন বলেন, হঠাৎই ভূকম্পনে আতঙ্কিত হয়ে তিনি চারতলা ভবন থেকে দৌড়ে বাড়ির নিচে নেমে আসেন। একই এলাকার বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা সামসুল ইসলাম ও জ্যোৎস্না বেগম বলেন, ভূকম্পনে ভবনটি হঠাৎই কেঁপে ওঠে। এ সময় তড়িঘড়ি করে বাড়ির নিচে নামার সময় আরেক দফা কম্পন অনুভূত হয়।’

আমাদের সমস্যাটা এখানেই। মানুষকে জানানো হয়নি ভূমিকম্পের সময় করণীয় কী? লেখক ও শিক্ষক জাফর ইকবাল ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে লিখেছিলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, এই ভূমিকম্পে বাংলাদেশে যত মানুষ মারা গেছেন, তাঁরা কেউ ভূমিকম্পের কারণে নয়, মারা গেছেন ভূমিকম্পের ভয়াবহ আতঙ্কে! ভূমিকম্প শুরু হলে মানুষজন চারতলা বাসা থেকে নিচে লাফ দিয়ে ফেলে।’ গত পাঁচ বছরে এই পরিস্থিতি একটুও পাল্টায়নি।

একই লেখায় অধ্যাপক জাফর ইকবাল বড় আক্ষেপ করে লিখেছিলেন, ‘দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হলো, আমাদের দেশে বড় বড় বিশেষজ্ঞ ভয় দেখাতে ভালোবাসেন।’ এই সব জুজুর ভয়ে কাতর মানুষদের জানাতে হবে, ভূমিকম্পের সময় টিকে থাকার প্রথম বিষয়টিই হচ্ছে মাথা ঠান্ডা রাখা। ভয় পেলে মাথা ঠান্ডা রাখা যায় না। ভূমিকম্পের সময় তাড়াহুড়ো করে নিচে না নেমে দালানের মজবুত জায়গায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে যাওয়াটা যে বুদ্ধিমানের কাজ, সেটাই সবাইকে জানাতে হবে।

দেশে ভূমিকম্পের সময় পুরো বিল্ডিং ধসে পড়ার ঘটনা খুব বেশি নেই। কিন্তু ভূমিকম্পের সময় আশপাশের জিনিসপত্র শরীরের ওপর পড়ে আঘাত পাওয়ার অসংখ্য উদাহরণ আছে। তাই ভূমিকম্পের সময় প্রথম চেষ্টা করা হয়, এ ধরনের আঘাত থেকে বাঁচানোর। জানাতে হবে ঘরের উঁচু তাকে বা আলমারির ওপর ভারী কিছু রাখা যাবে না। কম্পনের সময় এগুলো ঘরের মানুষের ওপর পড়ে তাকে আহত করতে পারে।

একটা কক্ষ কতটুকু বড় হলে দরজার সংখ্যা কত হওয়া উচিত এবং বড় ঘর, ক্লাসরুম বা কনফারেন্স রুমের দরজাগুলো বাইরের দিকে খোলার
ব্যবস্থা রাখাটা কেন জরুরি—এসব মানুষকে জানাতে কি অনেক খরচ? আতঙ্ক নয়, সঠিক তথ্য দিয়ে সচেতনতা তৈরির সহজ পথেই আমাদের হাঁটতে হবে।

লেখক ও গবেষক

[email protected]