দেখব বলে নীলাচল

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে কাজ করার শপথ নেন বন্ধুরা
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে কাজ করার শপথ নেন বন্ধুরা

৩ মে সকাল ছয়টা। সূর্যের আলো আর পাহাড়ের অদ্ভুত সৌন্দর্য দেখে চোখ বন্ধ করে রাখা অসম্ভব। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহাগ, আমি আর আমার মেয়ে এই রোদ-ছায়ার খেলা দেখতে দেখতে পৌঁছে গেলাম সম্প্রীতির শহর বান্দরবানে। ঘড়িতে তখন সময় সকাল সাতটা। একবার ফোনে রিং বাজার সঙ্গে সঙ্গে রাজু ফোন রিসিভ করল। ওকে জানালাম যে আমাদের পৌঁছাতে আর মিনিট পাঁচেক সময় লাগবে। বাসস্ট্যান্ডে এসে নামার কিছুক্ষণ পরই পেয়ে গেলাম রাজুকে। অনুষ্ঠান শুরু হবে ১০টায়, হাতে কিছুটা সময় থাকায় বিশ্রাম নিয়ে, খেয়ে পৌঁছে গেলাম বান্দরবান উপজেলা মিলনায়তনে। প্রশাসনের অতিথিসহ উপস্থিত বন্ধুরা। প্রথম আলোর প্রতিনিধি বুদ্ধজ্যোতি দাদার স্বাগত বক্তব্য দিয়ে শুরু হলো অনুষ্ঠান। একে একে অতিথিদের বক্তৃতার পর ঘোষণা করা হলো নতুন কমিটির নাম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর শুরু হলো আমাদের সাংগঠনিক আড্ডা। পুরোনো ও নতুন কমিটির বন্ধুসহ সবাই অংশ নেয় এই আড্ডায়। ততক্ষণে প্রায় মাঝদুপুর হয়ে এসেছে। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নতুন উদ্যমে কাজ করার শপথ নেয় নতুন কমিটি।
বান্দরবান এলাম আর সেখানকার সুন্দর জায়গাগুলো দেখব না, তা তো হয় না। দুপুরের খাবারের পর বীণাপাণি দিদি, উজ্জ্বল, সূচি, পপিসহ অন্য বন্ধুদের নিয়ে আমরা চললাম স্বর্ণমন্দির আর নীলাচল দেখব বলে। বন্ধুদের সঙ্গে গল্প, ঘোরাঘুরি করতে করতে সূর্য ততক্ষণে পশ্চিম আকাশে জানান দেয় যে ফেরার সময় হয়ে এসেছে। বন্ধুদের সঙ্গে চমৎকার একটা দিন কাটিয়ে আমার আবার ফিরলাম ঢাকার পথে।
লেখক: সভাপতি, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভা