৩৬৪২ তসবির সংগ্রাহক

নিজের সংগ্রহের সামনে জামাল সালিক
নিজের সংগ্রহের সামনে জামাল সালিক

শখ থেকে মানুষ কত কিছুই না সংগ্রহ করে। কুয়েতের জামাল সালিকের এমন একটি শখ আছে। তিনি সংগ্রহ করেন তসবি। তসবি তো মুসলিম পরিবারে খুবই পরিচিত সংগ্রহ। উপাসনার জন্য এটি একটি আবশ্যিক জিনিস। তবে জামাল সালিকের মতো তসবি–পাগল মানুষ দুনিয়ায় কমই আছেন। তিনি রীতিমতো তসবির জাদুঘর বানিয়ে ফেলেছেন নিজের বাসায়। সেই সংগ্রহের স্বীকৃতিও পেয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। ২০১২ সালের দেওয়া সেই স্বীকৃতি এখনো জামালের দখলে, তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে অধিকসংখ্যক তসবি সংগ্রাহক। সে সময় গিনেসের হিসাব অনুসারে, তাঁর সংগ্রহে ছিল মোট ৩ হাজার ৬৪২টি তসবি। এখন নিশ্চয় তা বেড়েছে আরও কিছুটা।

জামাল সালিকের সংগ্রহের বেশির ভাগ তসবিহ তৈরি ‘অ্যাম্বার’ (অলংকারে ব্যবহৃত এক প্রকার স্বচ্ছ হলুদাভ বাদামি পাথর) দিয়ে। এ ছাড়া প্রবালসহ উপল, নীলার মতো বিভিন্ন মূল্যবান পাথরের নানা ধরনের তসবি রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। কীভাবে জোগাড় করলেন বিশাল সংগ্রহ? এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘প্রথম তসবিটা কেনার পর খুবই চমৎকার একটা জিনিস বলে মনে হয়েছিল। তারপর একের পর এক কিনতে থাকি। একসময় প্রতিদিনই আমি তসবি কিনতে দোকানে যেতে থাকলাম।’ তসবি সংগ্রহের সেই শখ তাঁকে নিয়ে গেছে বিশ্বের নানা দেশে—লেবানন, মিসর, তুরস্ক, সৌদি আরব ঘুরে গড়ে তুলেছেন এই মূল্যবান সংগ্রহশালা। আর এসব তসবির সম্মিলিত মূল্যমান? সেটা জানাতে গিয়ে কিছুটা দ্বিধাবোধ করেছেন জামাল। বাজারমূল্য যা–ই হোক, আদতে এই সংগ্রহ যে তাঁর কাছে অমূল্য কিছু, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অবলম্বনে ফাইজুন নাহার