খেলনার সম্মেলন টয়কন

বিভিন্ন মডেলের গাড়ির খুদে সংস্করণও ছিল টয়কনে
বিভিন্ন মডেলের গাড়ির খুদে সংস্করণও ছিল টয়কনে

ঘরে ঢুকতেই নজর কেড়েছিল চিরচেনা চরিত্রগুলোর আদলে তৈরি হরেক রকম পুতুল। স্টলগুলোতে ব্যাটম্যান, সুপারম্যান, আয়রনম্যান, ওয়ান্ডার ওমেন, স্পাইডারম্যান, গ্রিন ল্যান্টার্ন, হাল্ক—কে নেই সেখানে! শুধু সুপারহিরোদের কথাই বলছি কেন—থানোস, ডার্থ ভাদের, ডার্থ মাউল, মোলা রামা, জোকার, রিডলার, ক্যাটওমেনের মতো সুপার ভিলেনদের জায়গা হয়েছিল একই কাতারে। আদতে এটি ছিল পুতুল ও ক্ষুদ্র সংস্করণের গাড়ি বিক্রি ও প্রদর্শনীর আয়োজন। আয়োজকেরা নাম দিয়েছিলেন টয়কন বা টয় কনভেনশন, সোজা বাংলায় যা পুতুলের সম্মেলন। আয়োজক টয়কন বাংলাদেশ।

সেখানে গিয়েই বোঝা গেল খেলনার প্রতি আকর্ষণ কেবল ছোটদেরই নয়, বড়দেরও। তাই খেলনার প্রতি ছোট ও বড়দের ভালোবাসার কথা মাথায় রেখেই তিন-তিনটি বছর ধরে টয়কনের আয়োজন করা হচ্ছে। এবারের আসরটি বসেছিল রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে। তৃতীয়বারের আয়োজিত দুই দিনের এই খেলনা প্রদর্শনী হয়েছে ২৬ ও ২৭ জুলাই। প্রদর্শনীর ২৫টি স্টলে স্থান পেয়েছিল অ্যাকশন ফিগার, ডায়নোসর ফিগার, ডায়োরামা (দৃশ্যের ত্রিমাত্রিক কাঠামো), লেগো, মুখোশ, কমিক বই, পোস্টার, স্মারকসহ বিভিন্ন কার্টুন ও কমিক চরিত্রের ফিগার। ঘরে সাজিয়ে রাখার জন্যও ছিল নানা শোপিস। এ ছাড়া প্রদর্শনীর মাধ্যমে অনেকেই লেগো দিয়ে তৈরি জাতীয় সংসদ ভবনের মডেল দেখার সুযোগ পেয়েছেন।

স্টলগুলোতে ছিল জনপ্রিয় সুপারহিরো চরিত্রের আদলে তৈরি পুতুল। ছবি: লেখক
স্টলগুলোতে ছিল জনপ্রিয় সুপারহিরো চরিত্রের আদলে তৈরি পুতুল। ছবি: লেখক

কয়েকটি স্টলে সাজানো ছিল মিনিয়েচার গাড়ি দিয়ে। হটহুইল ব্র্যান্ডের প্রায় সব ধরনের গাড়িই প্রদর্শিত হয়েছে। একজন তো নিজের সংগ্রহে থাকা খেলনা গাড়ির পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন। প্রথম চন্দ্র-অভিযানে অংশ নেওয়া ‘অ্যাপোলো-১১’ নভোযানের মডেলও ছিল তাঁর স্টলে। এই সময়ের নানা খেলনা যেমন ছিল, ছিল পঞ্চাশের দশকের খেলনা ও স্মারক।

আয়োজকেরা বিক্রির চেয়ে প্রদর্শনীর ওপর গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন। টয়কনের প্রতিষ্ঠাতা সাদি রহমান যেমনটি বলেন, ‘টয়কন আসলে একটি আর্ট এক্সিবিশন। কারণ, এখানে যেসব জিনিস প্রদর্শিত হচ্ছে, তা কিন্তু শৈল্পিকভাবেই তৈরি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর টয়কনের জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাছে মানুষের প্রত্যাশাও বাড়ছে।’