'ভালো খাব, ভালো থাকব' শপথ নিল কিশোর

‘ভালো খাব, ভালো থাকব’ শপথ কর্মশালায় কিশোর-কিশোরীরা। ছবি: গেইন ও এসকেএনএফের সৌজন্যে
‘ভালো খাব, ভালো থাকব’ শপথ কর্মশালায় কিশোর-কিশোরীরা। ছবি: গেইন ও এসকেএনএফের সৌজন্যে

গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) এবং স্বর্ণকিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের (এসকেএনএফ) আয়োজনে গত ৩, ৪ এবং ৫ অক্টোবর সাভারে হয়ে গেল কিশোর-কিশোরীদের ‘ভালো খাব, ভালো থাকব’ শপথ কর্মশালা। উক্ত কর্মশালায় নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে তৈরি রাখার জন্য এবং স্বপ্নকে বাস্তব জীবনে রূপ দেওয়ার জন্য এসকেএনএফ-এর ১২৮ জন কিশোর-কিশোরী লিডার অংশ নিয়েছে। তাদের মাধ্যমে সারা দেশের কিশোর-কিশোরীরা যেন এই কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে, এ জন্য www.bhalokhabobhalothakbo.com শিরোনামে একটি ওয়েবসাইট-এর উদ্বোধন করা হয়। ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্তের কিশোর-কিশোরীরা ‘ভালো খাব, ভালো থাকব’ শপথ কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে। একই সাথে নিজেদের শপথ কার্যক্রমগুলো #bhalokhabobhalothakbo লিখে নিজ নিজ ফেসবুকে শেয়ার করে বন্ধুদেরও শপথ নিতে উৎসাহিত করতে পারবে।

প্রত্যেক মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়, এই স্বপ্ন নিয়েই কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বেশ কথা চলছিল। আমাদের বর্তমান শিশু-কিশোরেরা তাদের স্বপ্ন নিয়ে ফেসবুক মাতিয়েছে, যা ঝড় তুলেছে তারকাদের মনে। এরই প্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন নামকরা অভিনেতা, অভিনেত্রী এবং ইউটিউবারেরা কিছুদিন আগে তাঁদের ফেসবুক পেজে কিছু ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন স্বপ্ন দেখতে হলে সেটা পূরণ করতে জানতে হবে, আর স্বপ্নপূরণের জন্য শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভালো থাকতে হবে। বর্তমান কিশোর-কিশোরীরা ভালো থাকার জন্য কী খাচ্ছে সেটা দেখার জন্য বিভিন্ন জগতের এই তারকারা সবার কাছ থেকে খাবারের ছবি দেখতে চান। সবার খাবারের ছবি দেখে এই তারকারা জানান এভাবে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে বর্তমান প্রজন্ম তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না। কারণ স্বপ্নপূরণের জন্য ভালো খাবার খেয়ে নিজেকে তৈরি রাখা জরুরি।

‘ভালো খাব, ভালো থাকব’ শপথ কর্মশালায় কিশোর-কিশোরীরা। ছবি: গেইন ও এসকেএনএফের সৌজন্যে
‘ভালো খাব, ভালো থাকব’ শপথ কর্মশালায় কিশোর-কিশোরীরা। ছবি: গেইন ও এসকেএনএফের সৌজন্যে

গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) এবং স্বর্ণকিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের (এসকেএনএফ) নীতিনির্ধারকগণ মনে করেন, এই শপথ নেওয়ার মাধ্যমে ভালো খাবার খাওয়ার একটি বিপ্লব শুরু হলো। দেশের কিশোর কিশোরীরা যখন বুঝতে পেরেছে তাদের নিজেদের স্বপ্নের পথে সামনে এগোতে হলে ভালো খেয়ে শরীর ফিট রাখতে হবে, তখন নিজেরাই এই কার্যক্রমে অংশ নিয়ে এই প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করবে।

মূলত এই কর্মশালায় শপথ নেওয়ার পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীরা কীভাবে এই কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেবে সেটারই কর্মপরিকল্পনার ছক তৈরি হয়। সে অনুযায়ী বাসায় ভালো খাবার তৈরির পাশাপাশি টিফিনের সময়ে তারা ভালো খাবার তৈরির জন্য খাবারের দোকানগুলোকে অনুরোধ জানাবে, একই সাথে অভিভাবকদের সাথে নিয়ে নিজ নিজ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে তারা স্বাস্থ্যকর খাবার সরবরাহের জন্য কার্যক্রম নেওয়ার অনুরোধ জানাবে এবং নিজ নিজ স্কুলে ও এলাকাতে স্বাস্থ্যকর উপায়ে  খাবার প্রস্তুতের জন্য নানান পরামর্শ দিতে থাকবে।