কাগজের শহরের মতো

>
সারাফ ওয়ামিয়াহ কবির
সারাফ ওয়ামিয়াহ কবির
জীবনের অনেক ঘটনাই রোমাঞ্চকর উপন্যাসকেও হার মানায়। আবার জীবনযাপনের কিছু ঘটনা ছুঁয়ে যায় হৃদয়, স্মৃতিতে গেঁথে থাকে আজীবন। বাস্তবের রুদ্ধশ্বাস কাহিনি ও জীবন যেমন বিভাগে ছুটির দিনে প্রতি সপ্তাহেই পাঠকের এ ধরনের লেখা তুলে ধরে। ৪ নভেম্বর প্রথম আলোর ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছুটির দিনের এ দুটি বিভাগে পাঠকের বিশেষ লেখা আহ্বান করা হয়েছিল। তাতে সাড়া দিয়ে প্রচুর লেখা পাঠিয়েছেন পাঠকেরা। সেসব থেকে বাছাই করা লেখা নিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের ছুটির দিনে।

গল্পটি কয়েক দিন আগের। আমি একটা ছাদরেস্তোরাঁয় গিয়েছিলাম। রেস্তোরাঁর পরিবেশ ছিল উষ্ণ। খাবার শেষ করার পরে আমি একটি ছোট্ট সিঁড়ি দেখলাম। ছবি তোলার সময় আমি সেই সিঁড়ির দিকে গেলাম। হঠাৎ ভাবলাম ওপর থেকে ছবিগুলো আরও আকর্ষণীয় হবে। তাই আমি সিঁড়ির কয়েক ধাপ মাড়িয়ে একটি ছোট মেঝেতে পৌঁছালাম। ওখান থেকে দৃশ্যটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়। আমি ছবি তুলতে থাকি কিন্তু হঠাৎ ভবনের বিদ্যুৎ চলে যায়। আমি  চমকে যাই। সঙ্গে ভয়ও পাচ্ছিলাম। কিন্তু কয়েক সেকেন্ড পরে আমি লক্ষ করেছি যে তখন শহরের দৃশ্যপট আরও মনোমুগ্ধকর হয়ে উঠেছে। তাই আমার ভয় কোনো বিলম্ব ছাড়া তৃপ্তিতে পরিণত হয়।

.
.

বিদ্যুৎ ফিরে না আসা পর্যন্ত আমি সেখানেই ছিলাম এবং সেই সময়ের জন্য শহরটি আমার কাছে একটি কাগজের শহরের মতো দেখায়। সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে কাগজের শহরটি আরও হৃদয়ছোঁয়া লাগছিল। দুই মিনিটের মধ্যে বিদ্যুৎ ফিরে এল, তবে আমি তখন যেই দৃশ্যটি দেখেছি তা সেই মুহূর্তে অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি সুন্দর ছিল। দৃশ্যটি এমন ছিল যে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমি কখনো ভয় পেয়েছিলাম।

শিক্ষার্থী, উত্তরা, ঢাকা।