করোনায় যখন ঘরবন্দী

হঠাৎ ছুটি পেলে খুব ভালো লাগে। করোনাভাইরাসের কারণে বেশ কিছুদিন হলো আমি টানা ঘরে বসে আছি। ছুটির আগে বন্ধুরা বলেছিল, স্কুল-কোচিং বন্ধ হলে নাকি খুব অস্থির লাগে। আসলে বাসা যে কেমন জায়গা, তা কেউ বোঝে না। আমি তো খুব মজা করে সময় কাটাচ্ছি। ঘরে বসে টেলিভিশন দেখতে আমি খুব পছন্দ করি। টেলিভিশন মানুষ হলে সে নিশ্চয়ই আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু হতো।

টিভিতে আমি ক্রিকেট খেলা আর সিনেমা দেখছি। সুপারহিরো ও অ্যাকশন ঘরানার সিনেমাগুলো আমার খুব প্রিয়। যেসব সিনেমা দেখেছি আর দেখার ইচ্ছে আছে, সেগুলো হলো মিশন ইমপসিবল (সিরিজের সব কটি), জাস্টিস লিগ, অ্যাকুয়াম্যান, ম্যান অব স্টিল (১ ও ২), ম্যাড ম্যাক্স: দ্য ফিউরি রোড, দ্য লেগো ব্যাটম্যান মুভি (১ ও ২), মাইনোরিটি রিপোর্ট, অ্যাভেঞ্জারস: এন্ডগেম, ক্যাপ্টেন আমেরিকা (সিরিজের সব কটি)। সিনেমাগুলো বিখ্যাত এবং নিঃসন্দেহে চমৎকার।

অ্যাকশন ঘরানার সিনেমা ভালো না লাগলে দেখতে পারো: ফ্রোজেন, টয় স্টোরি, ক্যাটস্ আ্যন্ড ডগস্, আ স্টার ইজ বর্ন, ডেসপিকেবল মি, হোম অ্যালোন, বেবি’স ডে আউট, সিনডারেলা, বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট, ট্যাঙ্গলড ও হ্যারি পটার সিরিজ।

তবে আমি শুধু টিভিই দেখি না, কিছু বইও পড়েছি। যেগুলো পড়েছি: অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড, ডেভিড কপারফিল্ড, অ্যাডভেঞ্চারস অব রবিন হুড, অলিভার টুইস্টট্রেজার আইল্যান্ড। যেহেতু অনেক দিন ছুটি পেয়েছি, তাই পেপার কাটিংও গুছিয়ে নিচ্ছি। আমি মূলত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, ফুটবল ও টেনিস–সম্পর্কিত ছবিগুলো কেটে খাতায় লাগিয়ে রাখি। গত পাঁচ মাসে আমার সাড়ে চার শ পেপার কাটিং জমেছে।

মাঝেমধ্যে গল্প-কবিতাও লিখি আমি। আর চিঠি লিখি প্রিয় ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথের কাছে। তবে তাঁকে পাঠাতে পারি না। তবে এত কিছুর মধ্যে পড়াশোনা চলছেই। ছুটি শেষ হলেই পরীক্ষা শুরু হবে। তাই পড়াশোনা বন্ধ রাখার কোনো সুযোগই নেই।

এভাবেই কাটছে আমার ঘরবন্দী জীবন। সুস্থ থাকতে বেশি বেশি হাত ধুবে, পানি ও শাকসবজি খাবে, অপরিষ্কার হাতে মুখ–নাক–চোখ ধরবে না আর অবশ্যই বাসায় থেকো, ভালো থেকো।

সপ্তম শ্রেণি, তারাগঞ্জ পাইলট গার্লস হাইস্কুল, নালিতাবাড়ী, শেরপুর