আমগাছের পুচ্চু কাক

অলংকরণ: সব্যসাচী মিস্ত্রী
অলংকরণ: সব্যসাচী মিস্ত্রী

গল্পটি আইমান মুখে বলেছে, আর ওর মা তা শুনে আমাদের লিখে পাঠিয়েছেন। আইমানের বয়স ৩ বছর ৯ মাস। ওরা থাকে ঢাকার হাতিরপুলে

একটা ছিল কাক। অনেক পুচ্চু কাক। সে তার মা-বাবার সঙ্গে আমগাছে থাকে। আমগাছে আরও অনেক কাকের বাসা আছে। সেখানে অন্য মা-বাবা কাকেরা ডিম পাড়ে। ডিম থেকে আরও বাচ্চা কাক ফোটে। ওরা পুচ্চু কাকের বোন আর ভাই হয়। ওরা সবাই মিলে মজা করে আর খেলা করে।

বাচ্চা কাকদের খিদে পেলে ওরা ‘আক আক’ করে ডাকে। তখন মা কাক ঠোঁটে করে পোকা নিয়ে এসে ওদের খাইয়ে দেয়। মা আর বাবা কাক গাছের আম ঠোকর দিয়ে খায়। বাচ্চাদেরও খাওয়ায়।

তারপর একদিন অনেক ঝড় হলো, বৃষ্টি হলো। আর কাকগুলো ভিজেই গেল। ওদের আর বাড়ি নেই কেন? তাহলে বৃষ্টিতে ভিজে ওদের জ্বর হতো না। আকাশ রেগে গেলে অনেক জোরে শব্দ করে। তখন পুচ্চু বাচ্চা কাকগুলো ভয় পেয়ে জোরে ‘আক আক’ করে। মা কাক উড়ে এসে বাচ্চা কাককে জড়িয়ে ধরে, আদর করে। খিদে লাগলেই পুচ্চু কাক কান্না করে। মা কাকটা তখন উড়ে গিয়ে ঠোঁটে করে আম এনে পুচ্চু কাককে খাইয়ে দেয়। আম খেয়ে পুচ্চু কাকগুলো আর নড়তেই পারে না। হি হি হি।

মা আর বাবা কাক ঠোঁট দিয়ে একটা করে আম এনে বাসায় জমিয়ে রাখে পুচ্চু কাকের জন্য। কারণ, ওরা পুচ্চু কাককে অনেক ভালোবাসে। একদিন পুচ্চু কাকের পিপাসা পেল। পানি কোথায় পায়? তখন বাবা কাক ঠোঁটে করে পানি এনে বাচ্চাদের খাইয়ে দিল। কিছুক্ষণ পর আবারো বাচ্চাদের পিপাসা পেল। তখন মা কাক ওদের আমের জুস বানিয়ে দিল। ওরা অনেক মজা করে খেল।

বিকেলে ঘুমিয়ে পুচ্চু কাক একটা ভালো স্বপ্ন দেখল। পুচ্চু কাক দেখল, ওরা স্কুলে বাবল দিয়ে খেলছে, আর কত্ত মজা করছে। ঘুম থেকে উঠে ওরা বিকেলে চিকেন ফ্রাই খেল (চিকেন ফ্রাই আমিও মজা করে খাই)। আমি কাকদের বিস্কুটও খেতে দিই। মা কাকটা একদিন বারান্দায় এসে আমার হাত থেকে চিকেন নিয়ে গেছিল! তো একটু রাতে বাচ্চা কাকেরা আবার ওদের পিপি আর দাদির সঙ্গে ঘুমায়। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ওরা আবার পার্কে যাওয়ার একটা ভালো স্বপ্ন দেখল (ভাইরাস শেষ হলে আমরাও আবার পার্কে যাব)। হি হি হি। আমার গল্প শেষ।