ওরা আসছে

.
.

১৯৯৮ সালের ১১ নভেম্বর যাত্রা শুরু হলো প্রথম আলো বন্ধুসভার। একটি উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভাসতে থাকেন বন্ধুরা। দিনব্যাপী সেই জোয়ারে ভাসেন প্রায় ৫০০ বন্ধু। তাঁরা বলেন, ‘আমাদের বুকের মধ্যে বাংলাদেশ। এই দেশটাকে আমরা ভালোবাসি।’ বলছিলাম বন্ধু উৎসবের কথা।
তাঁরা প্রায় সবাই তরুণ। বয়সে যাঁরা বড়, তাঁরাও তারুণ্যে টগবগ করেন। শপথ নেন মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করার। তাঁরা শপথ নেন মাদক থেকে দূরে থাকার।
বড় জেলা থেকে শুরু করে বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় এই বন্ধু উৎসব। এই উৎসবের রেশ ধরে আসে বন্ধু সম্মেলন। মিলিত হন সারা দেশের বন্ধুরা। দুবার অনুষ্ঠিত হলো সেই মহাসম্মেলন। গাজীপুর মৌচাকে স্কাউট মাঠে। আমরা চাই এই উৎসব, এই সম্মেলনগুলো থেকে তরুণ নেতৃত্ব বেরিয়ে আসুক; পুরো বাংলাদেশে যুক্তিবাদী মানুষ তৈরি হোক। সেই চাওয়া থেকেই আমাদের কর্মসূচি-দেশে বিতর্ককে ছড়িয়ে দেওয়ার। স্কুলে স্কুলে বিতর্কের প্রশিক্ষণ, স্কুলে বিতর্কের ক্লাস গঠনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে। সারা দেশের স্কুলে হয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা। আয়োজন করি বিতর্ক উৎসবের। জেলা পর্যায়ে শুরু হয় চূড়ান্ত উৎসব।
দেশে যেকোনো দুর্যোগের সময় ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রথম আলো বন্ধুসভার বন্ধুরা। মঙ্গা, বন্যা, সিডর, আইলা, দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বন্ধুরা। শীতার্ত মানুষের কাছে নিয়ে গেছেন শীতবস্ত্র। যেখানে অ্যাসিড-সন্ত্রাসের শিকার হন বোনেরা, সেখানে বন্ধুরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদের আয়োজন করেন।
এখন মোট বন্ধুসভার সংখ্যা ১১১। ৬৪টি জেলায় রয়েছে বন্ধুসভা। দেশের ২৪টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বন্ধুসভার শাখা। প্রায় এক লাখ তরুণ শরিক হয়েছেন প্রথম আলো বন্ধুসভার পতাকাতলে। এই তরুণেরা গড়ে তুলবেন একটি উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
বন্ধুসভা একটি নতুন প্রজন্ম তৈরি করছে, যারা হবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নির্মাতা।
ওরা আসছে।

একনজরে
 সূচনা: ১১ নভেম্বর ১৯৯৮
 মোট আঞ্চলিক উৎসব: ২২
 মাদকবিরোধী সেমিনার: ২০
 লেখাজোকা কর্মশালা: ২৫
 লেখক যখন হাজির: ১০

সাইদুজ্জামান
নির্বাহী সভাপতি, প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ