শিকড়ের ডানা

সীমানা পেরিয়ে
সীমানা পেরিয়ে

পেছন ফিরে তাকালে বিস্মিত হয়ে পড়ি। পত্রিকাই তো শিকড়, কিন্তু সেই শিকড় যে কীভাবে ডানা মেলল। ভাবনা এসেছে একেকটি। আর চলেছে সেসব রূপায়ণের প্রয়াস। এভাবে ডালপালা মেলছে কত-না বিচিত্র উদ্যোগ।

অ্যাসিড হামলার শিকার নারী, মাদকাসক্ত তরুণের পাশে কখন যে এসে দাঁড়িয়েছে প্রথম আলো। বিরূপ প্রকৃতির শিকার মানুষের কাছে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রথম আলো। ভাষা ও গণিতের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ে ভাষা প্রতিযোগে আর গণিত অলিম্পিয়াডে। সাহিত্য, ক্রীড়া ও বিনোদনজগতের সেরাদের পুরস্কারে উদ্যাপন করি নিজেদেরই আনন্দ। জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার উত্তেজনা কি ভুলিয়ে দিতে পারে দারিদ্র্যকে পরাস্ত করে উঠে আসা অদম্য মেধাবীদের কথা? বর্ণমেলায় আসা শিশুর উজ্জ্বল চোখে ঠিকরে পড়ে কালকের পৃথিবীর রংধনুর বর্ণালি।
পত্রিকার পাশাপাশি এ-জাতীয় নানা উদ্যোগে প্রথম আলো পেরিয়ে যায় পত্রিকার চেনা সীমানা। মানুষকে ভালোবাসার এই শক্তি আসে মানুষেরই ভালোবাসা থেকে।
এসব আয়োজনে জড়িয়ে পড়েন এ দেশের সেরা মানুষেরা। তাঁরা পরামর্শ দেন, হাত মেলান, সাফল্যকে সম্ভব করে তোলেন। কোনো উদ্যোগ মানুষকে দেয় উঠে দাঁড়ানোর শক্তি। কোনোটি গড়ে তোলে মন ও রুচি, কোনোটি জোগায় স্বপ্ন দেখার সাহস, কোনোটি গড়ে তোলে ভবিষ্যতের পথ।
এ সবকিছুর পেছনের উদ্দেশ্য এক অর্থে একটিই—মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগ। সবাই মিলে এ দেশকে বিচিত্র সদস্যের একই পরিবারের অংশ করে তোলা, যেখানে সবাই মমতায় ও সহযোগিতায় এক হয়ে এগিয়ে যেতে পারে। এখানে এসে এ তাৎপর্য মিলে যায় পত্রিকারও সঙ্গে।
প্রথম আলো যে পত্রিকার চেনা সীমারেখা পেরিয়ে চলেছে, তার পেছনে আছে মানুষেরই ভালোবাসা, সাহস আর অনুপ্রেরণা।
মতিউর রহমান
সম্পাদক, প্রথম আলো