শীতলপাটির হাট

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিল্প শীতলপাটি। দেশজুড়ে এর সুনাম আছে। বালাগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা এ শিল্পের আদি স্থান। এর বাইরেও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, জগন্নাথপুর; হবিগঞ্জের চুনারুঘাট; মৌলভীবাজারের বড়লেখা, রাজনগরসহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন গ্রামে শীতলপাটি বুনন করা হয়। মুর্তাবেত দিয়ে হাতে তৈরি হয় শীতলপাটি। শুষ্ক মৌসুমে এটি রোপণ করা হয়। বেত পরিপক্ব হলে বর্ষার পানিতে ভিজিয়ে এটিকে কেটে পাটি তৈরির উপযোগী বেতে রূপ দেওয়া হয়। এরপর চলে পাটি বুনন। বর্ষার শুরু থেকে হাটে আসতে থাকে এসব শীতলপাটি। গোয়াইনঘাটের সালুটিকর হাটে প্রতি বর্ষা মৌসুমে বসে মুর্তাবেতের তৈরি শীতলপাটির হাট। খুচরার পাশাপাশি পাইকারি দরেও বিক্রি হয়। এই হাটে আকার, নকশা ও মানভেদে একেকটি শীতলপাটি বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়। ছবিগুলো সম্প্রতি সালুটিকর হাট থেকে তোলা।

১ / ১২
হাটে নানা নকশার শীতলপাটি নিয়ে এসেছেন এই ব্যক্তি। ক্রেতার অপেক্ষায় আছেন তিনি।
২ / ১২
সালুটিকর হাটে বিভিন্ন আকার, মান ও নকশার শীতলপাটি পাওয়া যায়।
৩ / ১২
পাইকারি দরে শীতলপাটি কিনতে এসেছেন এক কারবারি। চলছে দরদাম।
৪ / ১২
নিজের হাতে বোনা শীতলপাটি নিয়ে সালুটিকর হাটে যাচ্ছেন সন্ধ্যা রানী।
৫ / ১২
পাটি নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায়। তাঁদের মতো অনেকে শীতলপাটি নিয়ে হাটে এসেছেন।
৬ / ১২
বর্ষায় হাওর থাকে পানিতে টইটুম্বুর। অলস সময় কাটে বেশির ভাগ মানুষের। তাই অবসরে কৃষিজীবী পরিবারের নারীরা শীতলপাটি বুনন করেন। সেই শীতলপাটি নিয়ে হাটে এসেছেন এই নারী।
৭ / ১২
ঘরে ঘরে শীতলপাটি তৈরি হওয়ায় নারী-পুরুষ সব ধরনের বিক্রেতার দেখা মেলে এই হাটে।
৮ / ১২
বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে শীতলপাটি।
৯ / ১২
হাত দিয়ে শীতলপাটির মান যাচাই করে দেখছেন ক্রেতারা।
১০ / ১২
পাইকারি দরে শীতলপাটি কেনার পর বিক্রেতাকে দাম বুঝিয়ে দিচ্ছেন এক কারবারি।
১১ / ১২
পাইকারি দরে কেনা শীতলপাটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
১২ / ১২
আজকের মতো শীতলপাটি কেনা শেষ। এবার শহরে নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় এক পাইকার।