কুড়িগ্রামে নদীভাঙন

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এসব নদ-নদীর অববাহিকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। জেলার রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়ন, উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়ন, দলদলীয়া ইউনিয়ন ও রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে গত ১০ দিনে শতাধিক পরিবার গৃহহারা হয়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অন্তত ৩০ একর ফসলি জমি। বর্তমানে ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাদ্রাসা, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, সাতটি পাকা মসজিদ, দুটি বাজার এবং ছয় শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি। এদিকে ভাঙন ঠেকাতে চর শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাঁশের বান্ডিল ও তিস্তা নদীপারের চর গতিয়াশাম, চর খিতাব খাঁ গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে। ধরলা, তিস্তা ও গঙ্গাধর এলাকা ঘুরে এসব নদ-নদীর ভাঙনের ছবিগুলো তোলা।

১ / ৯
তিস্তা নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চর খিতাব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। খিতাব খাঁ, রাজারহাট, ১১ জুলাই।
২ / ৯
তিস্তা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ভাঙন রোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। চর গতিয়াশাম, রাজারহাট, ১১ জুলাই।
৩ / ৯
তিস্তা নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে চর গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিক। চর গতিয়াশাম, রাজারহাট, ১১ জুলাই।
৪ / ৯
তিস্তার ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা চর গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিক রক্ষা করতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। চর গতিয়াশাম, রাজারহাট, ১১ জুলাই।
৫ / ৯
ধরলা নদীর পাড়েও ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। চর গোরক মণ্ডল, নাওডাঙ্গা, ফুলবাড়ী, ১১ জুলাই।
৬ / ৯
পাড় ভেঙে ধরলা নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে গ্রামের পথ। চর গোরক মণ্ডল, নাওডাঙ্গা, ফুলবাড়ী, ১১ জুলাই।
৭ / ৯
উজানের ঢলের কারণে গঙ্গাধর নদের পানি বেড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে বসতবাড়ি সরিয়ে নিতে কাজ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রামদত্ত, নাগেশ্বরী, ৮ জুলাই।
৮ / ৯
গঙ্গাধর নদের পানি বেড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বসতবাড়িগুলো নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কায়। মাঝিপাড়া, নাগেশ্বরী, ৮ জুলাই।
৯ / ৯
ভাঙনের কারণে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি তিস্তা নদীতে। বসুনিয়াপাড়া, দলদলীয়া, উলিপুর, ১০ জুলাই।