সাজেক ভ্যালির মানুষগুলোর দুর্দশা

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালি পর্যটনকেন্দ্রে আগুনে যাঁরা বসতঘর হারিয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় গির্জা ও মন্দিরে। কেউ কেউ রয়েছেন স্বজনদের ঘরবাড়িতে। আয়ের একমাত্র সম্বল হারিয়ে তাঁরা দিশেহারা। অনেকেই পোড়া জিনিসপত্র থেকে কিছু যদি উদ্ধার করা যায়, সেই চেষ্টা করছেন। এখন সরকারি-বেসরকারি সাহায্যের অপেক্ষায়। তবে আজ উপজেলা প্রশাসন থেকে ৩৫টি পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়। আগুনে পুড়েছে ৩৪টি রিসোর্ট, ৩৫টি বসতবাড়ি, ২০টি দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ৭টি রেস্তোরাঁ। ভুক্তভোগীদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা নিয়ে ছবির গল্প—

১ / ৭
পুড়ে যাওয়া টিনগুলো পরখ করে দেখছেন কামরুল হাসান, যদি কাজে লাগানো যায়। এখানে তাঁর ছিল চার কক্ষের মাচাং বিলাস রিসোর্ট এবং একটি রেস্টুরেন্ট পেদা টিং টিং। আগুনে পুড়ে এখন কিছুই নেই।
২ / ৭
আগুনে পুড়ে কঙ্কাল হয়ে পড়ে আছে সাতটি মোটরসাইকেল ও কিছু যন্ত্রপাতি। এটি ছিল মো. রাসেল মোটর গ্যারেজ
৩ / ৭
ওয়াতুই রাম ত্রিপুরার বসতঘর এবং চার কক্ষের রিসোর্ট সবই পুড়েছে। এখন ঠাঁই হয়েছে পুড়ে যাওয়া টিন দিয়ে তৈরি মাচাং ঝুপড়িতে। স্ত্রী, ছেলে–মেয়ে, মা, ছোট বোনসহ আট সদস্যের ঠাঁই হয়েছে এখানে
৪ / ৭
আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ৩৫ পরিবারকে সাহায্য দেওয়া হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে
৫ / ৭
ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ৩৫ কেজি চাল, ৭ হাজার ৫০০ টাকার চেক এবং একটি করে কম্বল দেওয়া হয়েছে
৬ / ৭
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের রুইলুই শিবমন্দির প্রাঙ্গণ থেকে ত্রাণ বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার
৭ / ৭
সাজেকে এখন যেসব রিসোর্ট আছে, সেগুলোতে পর্যটকদের বেশ ভিড়। আগুন লাগার পর সাজেক ভ্রমণে পর্যটকদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। তবে গতকাল মঙ্গলবার আবারও পর্যটকদের জন্য পর্যটনকেন্দ্রটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়