‘রোয়া-দ্ব’: রংতুলিতে মারমাদের জীবনকাব্য

পাহাড়ের জীবন, জুমচাষের প্রাত্যহিক সংগ্রাম, বিলুপ্তপ্রায় বন্য প্রাণী আর টিকে থাকার লড়াইয়ের গল্পগুলোই রংতুলির আঁচড়ে জীবন্ত হয়ে উঠেছে ক্যানভাসে। বান্দরবানে এই প্রথম কোনো আদিবাসী চিত্রশিল্পীর একক চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। মারমা শিল্পী খিং সাই মং মারমার এই প্রদর্শনীর শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রোয়া-দ্ব’। শিল্পী জানান, মারমা ভাষায় ‘বান্দরবান’কে ‘রোয়া-দ্ব’ নামে ডাকা হয়। এখানে ‘রোয়া’ অর্থ গ্রাম আর ‘দ্ব’ শব্দটি সম্মানার্থে ব্যবহৃত হয়। শহরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের গ্যালারিতে চার দিনের এই প্রদর্শনীতে শিল্পীর আঁকা মোট ২৭টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে। এগুলোতে তক্ষক, কুকুর, শিশু ও প্রবীণ নারীর ছবির প্রতীকী ব্যবহারের মাধ্যমে পাহাড়ের গভীরের অনুভূতিকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। উদ্বোধনের দিন থেকেই গ্যালারিতে ভিড় করছেন নানা বয়সী শিল্পানুরাগী। তাঁরা আগ্রহ নিয়ে শিল্পীর চিত্রকর্ম ঘুরে দেখছেন। অনেকে আবার সেলফিতে নিজের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দী করছেন পছন্দের ছবিটি।

১ / ৯
‘রোয়া-দ্ব’ প্রদর্শনীতে পছন্দের চিত্রকর্মের সঙ্গে সেলফি তুলছেন দুজন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট গ্যালারি, বান্দরবান
২ / ৯
কৌতূহলী চোখে ক্যানভাসে আঁকা প্রবীণ মুখ দেখছে এক শিশু
৩ / ৯
শিল্পীর তুলির আঁচড়ে ফুটে ওঠা ছবিতে মগ্ন এক তরুণী
৪ / ৯
উদ্বোধনের পর গ্যালারিতে রাখা চিত্রকর্মগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছেন শিল্পানুরাগী ও দর্শনার্থীরা
৫ / ৯
সাদা–কালো দুই চিত্রকর্মের সামনে দাঁড়িয়ে এক তরুণী
৬ / ৯
বড়দের সঙ্গে শিশুরাও খিং সাই মং মারমার চিত্রকর্ম প্রদর্শনী দেখতে এসেছে
৭ / ৯
ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলা প্রবীণ ত্রিপুরা নারীর প্রতিকৃতির দিকে তাকিয়ে এক দর্শনার্থী
৮ / ৯
গ্যালারির দেয়ালে টাঙানো ছবির সামনে দুই কিশোরী
৯ / ৯
চিত্রকর্ম প্রদর্শনী দেখে অনুভূতি লেখার জন্য রাখা হয়েছে মন্তব্য খাতা