জুমচাষের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে পাহাড়

পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের প্রাচীন চাষপদ্ধতি জুম। এ চাষের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের বলে জুমিয়া। ‘জুম’ চাকমা ভাষার শব্দ। পাহাড়ের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বিভিন্ন ভাষায় ‘জুমের’ আলাদা নাম আছে। নামে যত ভিন্নতাই থাকুক, চাষপদ্ধতির ক্ষেত্রে কোনো ভিন্নতা নেই। সেই ক্ষেত্র নির্বাচন জঙ্গল-ঝোপঝাড় পরিষ্কার, তাতে আগুন দেওয়া—এসবই জুমের রীতি। বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানের উঁচু-নিচু পাহাড়ে দিনের বিভিন্ন সময় এখন চোখে পড়বে আগুন। আগুন নিভে যাওয়ার পর সেখানে করা হবে পরিষ্কার। বৃষ্টির পর সেখানে বোনা হবে ধান, গম, ভুট্টা, কলা, হলুদ, তিল, মারফাসহ নানা রকমের ফসলের বীজ। তাই আগুন দেওয়া ও জুমচাষের উপযোগী করে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন জুমচাষিরা। এ চাষ কমতে থাকলেও এখনো পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য অংশ জুমের ওপর নির্ভর করে। ছবিগুলো বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকা থেকে তোলা। ছবি: সৌরভ দাশ

১ / ১০
পাহাড়ের ওপরে উঠছে আগুন।
২ / ১০
বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে জ্বলছে আগুন।
৩ / ১০
চাষের জন্য তৈরি করা হচ্ছে জুমঘর।
৪ / ১০
পাহাড়ের চূড়ায় চূড়ায় শুধু চোখে পড়ে এমন জুমঘর।
৫ / ১০
জুমে যেতে তৈরি করা রাস্তা।
৬ / ১০
আগুন নেভার পর পাহাড়ের এমন চিত্র দেখা যায়।
৭ / ১০
জুমে যাওয়ার আঁকাবাঁকা পথ।
৮ / ১০
কিছু কিছু জমিতে এর মধ্যে করা হয়েছে চাষ।
৯ / ১০
পাহাড়ের ওপর একটি বাঁশের কঞ্চি।
১০ / ১০
জুমের পাশাপাশি পাহাড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আমের বাগান।