পড়ার টেবিল শূন্য করে কবরে

রেলগেট খোলা ছিল। গেটম্যানও ছিলেন না। মাইক্রোবাসটি পার হয়ে গিয়ে প্রথম রেললাইনের মাঝবরাবর এসে থেমে যায়। আর তখনই ট্রেনের মুহুর্মুহু হুইসেল। দু–তিন সেকেন্ডের মধ্যে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি সজোরে মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিয়ে এক কিলোমিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। গতকাল শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে ওই দুর্ঘটনায় নিহত হন ১১ জন। রাতেই চারজনের দাফন ও একজনের সৎকার হয়।আর আজ ছয়জনের জানাজা ও দাফন হয়েছে। জানাজায় নামে মানুষের ঢল নামে। ছমদিয়া স্কুলের মাঠ ছাড়িয়ে পাশের সড়কে দাঁড়িয়ে লোকজন জানাজায় অংশ নেন।

১ / ৮
নিহত মোসহাব আহমেদের পড়ার টেবিল ছিল এটি। স্কুল ও গ্রামে ভালো ছাত্র হিসেবে খ্যাতি ছিল তাঁর।
২ / ৮
বন্ধুরা মিলে একসঙ্গে চলত পুকুরে গোসল, ফুটবল, ক্রিকেট খেলা। খুব গরম পড়লে কোল্ড ড্রিংকস খেতেও ডাক পড়ত বন্ধুদের। সেই বন্ধুদের একজন মোসহাব এখন নেই। তাঁকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বন্ধুরা।
৩ / ৮
প্রিয় বন্ধুকে কবরে রেখে, ছেড়ে আসতে চাইছিলেন না এই বন্ধু।
৪ / ৮
জানাজা শেষে খন্দখিয়া গ্রামের পরিবেশ নিহত তরুণদের স্বজন ও লোকজনের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে।
৫ / ৮
মোসহাব আহমেদের লাশ কাঁধে নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর দুলাভাই।
৬ / ৮
নিহত সামিরুল ইসলামের লাশ মুঠোফোনে দেখার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রবাসে থাকা এক স্বজন
৭ / ৮
জানাজায় যাওয়ার পথে স্বজনদের আহাজারি
৮ / ৮
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নিহত হওয়া শিক্ষক-ছাত্রদের জানাজায় অংশ নেন শত শত লোক