নারকীয় হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিচিহ্ন

মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে জল্লাদখানা বধ্যভূমি ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর। এটির পাম্পহাউসের কূপের সামনে স্থানটিতে শিরশ্ছেদ ও হত্যা করা হতো ধরে আনা বাঙালিদের। তারপর লাশ ফেলে দেওয়া হতো পানিভর্তি গহ্বরে। এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিহত অনেকের লাশও এখানে ফেলে দেওয়া হতো।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এ দেশের মানুষের ওপর বর্বর আর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। স্বাধীনতার পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বহু গণহত্যার চিহ্ন, তথা বধ্যভূমির খোঁজ পাওয়া যায়। অন্যতম বৃহৎ বধ্যভূমির একটি মিরপুরের ‘জল্লাদখানা বধ্যভূমি-১৯৭১’। এটি এখন জাদুঘর। মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর পেরিয়ে ১১ নম্বরের দিকে যেতে বেনারসিপল্লির পাশে এর অবস্থান। প্রবেশপথের ফটকের গায়ে লেখা আছে, ‘কান পেতে শুনি’। ভেতরে প্রবেশ করতেই প্রথমে নজরে আসবে একটি মাটির স্মারক। ‘শূন্য হৃদয়’ নামের এই স্মারকটির স্থপতি কবি রবিউল হুসাইন। এখানে রয়েছে একটি ফলকচিত্র। গণহত্যার এই প্রতীকী দৃশ্যের শিরোনাম ‘জীবন অবিনশ্বর’। এর পাশে রয়েছে একটি ঘর, যেটি সংগ্রহশালা নামেই পরিচিত। এটির প্রবেশপথে রয়েছে একটি ঘণ্টা, যেটি বাজিয়ে প্রবেশ করতে হয়। সেখানে আছে মিরপুরে শহীদদের একটি তালিকা। এর ভেতরে একটি কাচের সেলফের মধ্যে আছে বধ্যভূমির মাটি।

১ / ৯
মিরপুরের জল্লাদখানা বধ্যভূমির প্রবেশমুখ।
২ / ৯
সারা দেশের বধ্যভূমির তালিকা দিয়ে তৈরি ফলক।
৩ / ৯
বধ্যভূমির তালিকার ফলক।
৪ / ৯
ছয়টি বধ্যভূমি থেকে সংগ্রহ করা মাটি।
৫ / ৯
জল্লাদখানা বধ্যভূমির স্মৃতিপীঠ হিসেবে তৈরি ফলক।
৬ / ৯
পোশাক, জুতা, তসবিসহ শহীদদের ব্যবহার করা নানা জিনিসপত্র।
৭ / ৯
হত্যা করে পানিভর্তি এই পরিত্যক্ত পাম্পহাউসে অন্ধকূপে ফেলে দিত হানাদার সেনারা।
৮ / ৯
ওয়াসার পরিত্যক্ত পাম্পহাউস, যেখান থেকে মানুষের হাড় ও মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়।
৯ / ৯
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বধ্যভূমি ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা।