সুন্দরবনে নীল মাছের সন্ধান

বাংলাদেশের ম্যানগ্রোভ অঞ্চল ও জোয়ার-ভাটার ফলে তৈরি জলাশয়ে গেলেই দেখা মেলে কাদামাটিতে লাফালাফিতে ব্যস্ত চিড়িং মাছের ঝাঁক। অঞ্চলভেদে চিড়িং ‘ডাকুর’ বা ‘ডাকার’ নামেও পরিচিত। চিড়িং মাছ অনেকটা ব্যাঙ বা ব্যাঙাচির মতো। এর রয়েছে প্রসারিত চোখ, টর্পেডো-আকৃতির শরীর, বুকের দিকে পেশিবহুল এবং পিঠের দিকে দুটি পাখনা। এই উভচর মাছ তার বুকের নিচের পাখনার সাহায্যে মাটিতে চলাচল করতে পারে।

চিড়িং মাছ বেশি সময় পানিতে থাকলে মারা যায়। তাই বেঁচে থাকার জন্য এটি পানি থেকে লাফ দিয়ে পানির পাশের মাটিতে থাকা গাছের শিকড়, পাথরের পাশে এসে বিশ্রাম নেয়। অধিকাংশ চিড়িংই সাধারণত জলপাই-বাদামি রঙের হয়। তবে বেশ কিছু প্রজাতি নীল রঙের হয়ে থাকে। সুন্দরবনের লোনাপানিতে এবার দেখা মিলেছে তেমনই মাছের। এখনো প্রচলিত কোনো বাংলা নাম নেই মাছটির। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান সম্প্রতি মাছটির ছবি তুলেছেন এবং ইংরেজি নাম নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি এশিয়ান ডর্ফ মাডস্কিপার, যার বৈজ্ঞানিক নাম পেরিওঅফথালমোদন সেপ্টেমরাডিয়াটাস। ছবিগুলো সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল থেকে ১৫ আগস্ট ২০২৩ তোলা।

১ / ১০
সাধারণত জলপাই-বাদামি রঙের চিড়িং মাছ দেখা গেলেও এই মাছটির রং ও সৌন্দর্য চোখধাঁধানোর মতো।
২ / ১০
মাটির গর্তে বসবাস করলেও জোয়ারের পানি এলে গাছের শিকড়ে আশ্রয় নেয় ওরা।
৩ / ১০
এক স্থান থেকে অন্য স্থানে লাফিয়ে চলতে পারে এই মাছ।
৪ / ১০
দীর্ঘ সময় পানিতে থাকতে পারে না মাছটি।
৫ / ১০
জোয়ারের পানিতে সব ডুবে যাওয়ায় শ্বাসমূলে আশ্রয় নিয়েছে নীল মাছটি।
৬ / ১০
পিঠের পাখনা প্রসারিত করলে আগুনরাঙা লাল রং চোখে পড়ে।
৭ / ১০
অন্য রঙের চিড়িং মাছও রয়েছে আশপাশে।
৮ / ১০
গাছের শ্বাসমূলে বসে আছে মাছটি।
৯ / ১০
পাশ থেকেই মাছটি দেখতে বেশি সুন্দর।
১০ / ১০
পানির ওপরে মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার সময় বুকও প্রসারিত করে মাছটি।