পরিত্যক্ত ইলেকট্রনিক বর্জ্য

ই-বর্জ্য হচ্ছে ইলেকট্রনিক বর্জ্য। যেমন: পরিত্যক্ত টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, এয়ারকন্ডিশনার, মুঠোফোন, ইলেকট্রনিক খেলনাসামগ্রী ইত্যাদি। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব জিনিস ব্যবহারের পরে যখন নষ্ট হয়ে যায়, তখনই এটি বর্জ্যে পরিণত হচ্ছে। সাধারণ দৃষ্টিতে এগুলোকে চিরাচরিত বর্জ্য মনে হলেও আসলে কিন্তু তা নয়। এগুলো পচনশীল নয়, তাই পরিবেশের যথেষ্ট ক্ষতি করে। এ কারণে মাটি, গাছপালা, ফসল ও জীববৈচিত্র্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, পুরোনো ইলেকট্রনিকসামগ্রী যখন ভাঙারির দোকানে স্থান পায়, তখন দোকানিরা প্রয়োজনে এসব বর্জ্যকে রোদের তাপে শুকিয়ে নেন। অনেকে বর্জ্যগুলোকে দোকানে না রেখে রাস্তার পাশে ফেলে রাখেন। ছবিগুলো সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তোলা। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন।

১ / ১০
আমাদের ব্যবহৃত ইলেকট্রনিকসামগ্রীতে নানা ধরনের উপাদান থাকে। যেমন: ক্যাডমিয়াম, লিড অক্সাইড, সিসা, কার্বন, সিলিকন, বেরিলিয়াম, ফাইবার গ্লাস, পারদসহ নানা ধাতব উপাদান।
২ / ১০
ইলেকট্রনিকসামগ্রী নষ্ট হয়ে গেলেও উপাদানগুলো নিঃশেষ হয় না, বর্জ্যের মধ্যেই থেকে যায়। মাথায় করে টিভি এনে রাখছেন একজন দিনমজুর।
৩ / ১০
ই-বর্জ্যের রয়েছে মারাত্মক রেডিয়েশন, যা বিভিন্নভাবে পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলে। খোলা আকাশে নিচে এভাবে পড়ে আছে টিভি মনিটর।
৪ / ১০
আবারও নতুন নতুন মনিটর কেনা হয় পরিবারের জন্য। এমন একজন ক্রেতা কম্পিউটার মার্কেটে মনিটর দেখছেন।
৫ / ১০
টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, এয়ারকন্ডিশনার, মুঠোফোন, ইলেকট্রনিক খেলনাসামগ্রী জহুরী মহল্লায় ফুটপাতে কেনাবেচা হয়।
৬ / ১০
ভাসমান নানা ব্যবসায়ীর হাতে হাতে ঘোরেফেরে। অভিজ্ঞতায় ইঞ্জিনিয়ার নিজেই নিজেই সারাইয়ের কাজ করেন।
৭ / ১০
শুধু টিভিই নয় কম্পিউটার, এয়ারকন্ডিশনার ভ্যানে করে সংগ্রহ করে সারাইখানায় নিয়ে যাওয়া হয়, গাবতলীতে তোলা ছবি।
৮ / ১০
ছোট বড় নানান মিস্ত্রি সারাইয়ের কাজ করেন।
৯ / ১০
প্রয়োজনীয় অংশ যেমন পিকচার টিউব, কেবল, মনিটর রেখে বাকিটা আবর্জনার স্তূপে যায়।
১০ / ১০
খোলা যন্ত্রাংশগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বসিলায়।