মহান মে দিবস

সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পালন করা হয় মে দিবস। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। ওই দিন অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে কয়েকজন শ্রমিককে জীবন দিতে হয়। এরপর থেকে দিনটি ‘মে দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে এ দিবস পালনের এত বছর পরও শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরির দাবি এখনো উপেক্ষিত, এখনো তাঁদের বিরাট অংশ মৌলিক মানবাধিকার থেকেও বঞ্চিত

১ / ১০
বৈশাখের তপ্ত দুপুরে জাহাজ থেকে কয়লা নামানোর কাজে ঘেমে–নেয়ে একাকার এই শ্রমিকেরা। দূরত্ব অনুযায়ী প্রতি ডালি মাল পরিবহনের জন্য তাঁরা পান ৩ থেকে ৬ টাকা। মে দিবসের তাৎপর্য তাঁরা জানেন না। শুধু জানেন এই কাজের মজুরি দিয়েই চলে তাঁদের সংসার। নগরবাড়ি ঘাট, বেড়া, পাবনা, ৩০ এপ্রিল
ছবি: হাসান মাহমুদ
২ / ১০
শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিদাওয়া আর শোষণ-বঞ্চনার শেষ নেই এখনো। পেটের দায়ে সামান্য মজুরিতেও কাজ করে যান শ্রমজীবী নারী-পুরুষেরা। পাথর ভাঙার কলে পুরুষদের সঙ্গে হাড়ভাঙা পরিশ্রমে নারী শ্রমিক। দিন শেষে পারিশ্রমিক পাবেন ২৫০ টাকা। গতকাল শুক্রবার সিলেট সদরের ছালিয়া এলাকায়
ছবি: আনিস মাহমুদ
৩ / ১০
ভোরের আলো ফোটার আগেই শুরু হয়ে যায় শ্রমিকদের কাজ। বিরতিহীনভাবে চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। দাবদাহের মধ্যে ইটভাটায় কাজ করছেন এক দিনমজুর। অধিকাংশ সময় শ্রমের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হন। গতকাল শুক্রবার যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রোহিতা গ্রামে
ছবি: এহসান-উদ-দৌলা
৪ / ১০
মাটি কাটার কাজ করছেন একদল নারী শ্রমিক। প্রত্যেক নারী শ্রমিক সারা দিন মাটি কাটার কাজ করে মজুরি পান ১১০ থেকে ১২০ টাকা। এভাবে মজুরি–বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। গতকাল শুক্রবার সকালে বগুড়া সদর উপজেলার বাঘোপাড়া এলাকায়
ছবি: সোয়েল রানা
৫ / ১০
রওশন আরা (৪০) ইট তৈরির জন্য কয়লা ভাঙার কাজ করেন। দৈনিক ৪০০ টাকা পারিশ্রমিক পান তিনি। এ দিয়ে কোনো রকমে তাঁর সংসার চলে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আমিন বাজার এলাকায়
ছবি: আশরাফুল আলম
৬ / ১০
রওশন আরা (৪০) ইট তৈরির জন্য কয়লা ভাঙার কাজ করেন। দৈনিক ৪০০ টাকা পারিশ্রমিক পান তিনি। এ দিয়ে কোনো রকমে তাঁর সংসার চলে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আমিন বাজার এলাকায়
ছবি: আশরাফুল আলম
৭ / ১০
আগুনের প্রচণ্ড তাপে পুরোনো লোহা গলিয়ে তা থেকে তৈরি করা ছোট-বড় যন্ত্রাংশ। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন কারখানার এসব শ্রমিক। এ কাজে তাঁদের মাসিক আয় ৭ থেকে ১২ হাজার টাকা। কেরানীগঞ্জ, কালীগঞ্জ, ঢাকা, ৩০ এপ্রিল
ছবি: হাসান রাজা
৮ / ১০
আমদানি করা গমের ৫০ কেজি ওজনের বস্তা জাহাজ থেকে মিলে নিচ্ছেন শ্রমিকেরা। প্রতিটি বস্তা নেওয়ার জন্য শ্রমিকেরা পাবেন ১০ টাকা ৫০ পয়সা করে। মিলে এসব গম ভাঙিয়ে আটা, ময়দা, সুজি, ভুসি প্রভৃতি পণ্য প্রস্তুত করা হবে। গতকাল শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জের কেরোসিন ঘাট এলাকায়
ছবি: দিনার মাহমুদ
৯ / ১০
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে কাজে ব্যস্ত শ্রমিকেরা
ছবি: এম রাশেদুল হক
১০ / ১০
জয়নব (৩০) নামের এই নারী শ্রমিক কয়লা খালাসের কাজ করেন মোংলা থেকে আসা লাইটার জাহাজে। জাহাজের মধ্যে থাকা কয়লা সাজিতে তুলে দেওয়ার কাজ করেন তিনি। প্রতি সাজি কয়লা ভরে দেওয়াতে এক টাকা দেওয়া হয়। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ থেকে ৮০০ সাজি কয়লা তুলে দেন শ্রমিকেরা। পটুয়াখালীর গলাচিপা থেকে আসা এই নারী দুই মেয়ে আর স্বামী নিয়ে ভাড়া থাকেন বরিশালে। স্বামী তেমন একটা কাজ করেন না। এভাবেই জীবনসংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন জয়নব। গতকাল শুক্রবার বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে অবস্থিত দপদপিয়া সেতুসংলগ্ন এলাকা থেকে তোলা
ছবি: সাইয়ান