কয়লাশ্রমিকের জীবন

একটু বেশি আয়ের আশায় কয়লাঘাটে প্রায় এক যুগ ধরে কাজ করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা চল্লিশোর্ধ্ব শুক্কুর উদ্দিন। তাঁর মতো ঢাকার আমিনবাজার সেতুর নিচের কয়লাঘাটে কাজ করেন সাত হাজারের মতো শ্রমিক। ঘাটে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকা থেকে আমদানি করা কয়লাভর্তি কার্গো ভেড়ে প্রতিদিন। ছোট ঝুড়িতে করে এই শ্রমিকেরা দিনরাত কার্গো থেকে কয়লা নামান। কয়লা নামিয়ে তা রাখার স্থানের মধ্যকার দূরত্বের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয় তাঁদের মজুরি। প্রতি ঝুড়ি কয়লা নামানোর বিনিময়ে প্রত্যেক শ্রমিক ২ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত পান। শ্রমিকদের বেশির ভাগই এসেছেন ঢাকার বাইরে থেকে। জীবিকার তাগিদে আসা এসব মানুষকে কাজ করতে হয় প্রতিদিন নানান ঝুঁকি নিয়ে। ছবি তুলেছেন শুভ্র কান্তি দাশ।

১ / ১২
কয়লাভর্তি কার্গো ভিড়েছে আমিনবাজারে নদীর তীরে।
২ / ১২
বাড়তি উপার্জনের জন্য তিন বছর ধরে কয়লাশ্রমিকের কাজ করছেন রাজশাহী থেকে আসা আবদুস সাত্তার।
৩ / ১২
কার্গো থেকে কয়লা খালাসের কাজ করছেন শ্রমিকেরা।
৪ / ১২
ছোট ছোট টুকরিতে (ঝুড়ি) করে কার্গো থেকে নামানো হচ্ছে কয়লা।
৫ / ১২
এসব টোকেনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হয় শ্রমিকদের পারিশ্রমিক।
৬ / ১২
খাবারের বিরতি, পড়ে আছে শ্রমিকদের টুকরি।
৭ / ১২
কাজের ফাঁকে খাবার খাওয়া। এক বেলা খেতে প্রত্যেকের খরচ হয় ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
৮ / ১২
এক আকাশের নিচে কয়লা, মানুষ ও বিড়াল।
৯ / ১২
পুরুষদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করেন নারীরাও।
১০ / ১২
জিরিয়ে নিচ্ছেন বয়সের ভারে ন্যুব্জ আসহাব উদ্দিন। পাশে খাবার খাচ্ছেন আরেক শ্রমিক।
১১ / ১২
কার্গো থেকে খালাসের পর ট্রাকে তোলা হচ্ছে কয়লা।
১২ / ১২
নদীর পাড়ে বসে দাবা খেলা তাঁদের অন্যতম বিনোদন।