আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি সম্মেলন

১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে ইউনিট আওয়ামী লীগের পাল্টা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি ইউনিট সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের নেতৃত্ব একটি পক্ষ এবং একই কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে অপর একটি পক্ষ পৃথক সম্মেলন করে। আজ বৃহস্পতিবার ওয়ার্ডের ছয়টি স্থানে ছয় ইউনিটের পাল্টাপাল্টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আহ্বায়কের পক্ষটি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। অপর অংশটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে।

বিএনপিপন্থী একজনকে এ ইউনিট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক করার অভিযোগ এনে মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারীরা পাল্টা সম্মেলনের ডাক দেন। তিনটি পৃথক স্থানে তাঁরা পাল্টা সম্মেলনের মাধ্যমে ইউনিট কমিটি ঘোষণা করেন।
এর আগে গতকাল বুধবার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও নগর কমিটির বর্তমান সদস্য এম এ জাফর মহানগর আওয়ামী লীগ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগে সম্মেলন স্থগিতের আবেদন জানান। আবেদনে তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির মো. ইদ্রিছকে এ ইউনিটের প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। পাশাপাশি ওয়ার্ডের আহ্বায়ক তাঁর মনগড়াভাবে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।

সম্মেলন স্থগিত না করায় এই পক্ষ পাল্টা কমিটি করে। উত্তর কাট্টলী জয়তারা প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাট্টলী কমিউনিটি সেন্টার ও নতুন মুনছুরাবাদে তিন ইউনিটের পাল্টা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি ইউনিটে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. এমদাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়াতকে দলে ঢোকাচ্ছিলেন আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক। এর প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু নগর কমিটি সম্মেলন স্থগিত করেনি। তাই আমরা পাল্টা সম্মেলন করি। আমরা প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী।’

এ দিকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিছার আহমেদের নেতৃত্বাধীন অংশটিও তাদের সম্মেলন সম্পন্ন করে। তারা গতকাল সকাল থেকে সিডিএ প্রভাতি স্কুল, সুজানা স্কয়ার ও বিশ্বাস পাড়ায় তিনটি ইউনিটের পৃথক সম্মেলন করে। এতে এ ইউনিটের সভাপতি করা হয় বিতর্কিত মো. ইদ্রিছকে।
জানতে চাইলে ওয়ার্ড কমিটির আহ্বায়ক নিছার আহমেদ বলেন, ইদ্রিছ ১৯৯৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে কাজ করে আসছেন। তিনি আওয়ামী লীগের লোক। অপপ্রচার করছে অন্যরা। তারা পথভ্রষ্ট। তাদের পাল্টা কমিটির কোনো বৈধতা নেই।