আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, ‘সামনে এগিয়ে আসুন। আর সময় নেই। এখন জেগে উঠতে হবে। জেগে উঠতে হবে এবং দেশকে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে।’

গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এ আহ্বান জানান। বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন কমিটি এই ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে। এই কমিটি জানায়, ১৯৭১ সালের ২ জুলাই মালিবাগের একটি বাসা থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তারেক রহমান, আরাফাত রহমানসহ তাঁদের মা খালেদা জিয়াকে বন্দী করে। দিনটি পালন উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সত্যিকার অর্থে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই স্বপ্ন যদি পূরণ করতে চাই, জনগণের আকাঙ্ক্ষা যদি পূরণ করতে চাই, শহীদ জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করতে চাই এবং দেশের মানুষের অধিকার যদি ফিরিয়ে আনতে চাই, তাহলে আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই।’ তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলন–সংগ্রাম কোনো ব্যক্তির জন্য নয়, কোনো দলের জন্য নয়। এই আন্দোলন, এই সংগ্রাম দেশের মানুষের জন্য, জাতির জন্য।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা আত্মপ্রচারে বিশ্বাস করি না, এত দিন এই দিনটিকে আমরা সেভাবে সামনে আনিনি। কখন এনেছি? আজকে যারা ১২ বছর যাবৎ গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে, যখন তারা ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরের ইতিহাসকে বিকৃত করে বর্তমান প্রজন্মকে এবং দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, তখন আমরা এই পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।’

বিএনপির নেতৃত্ব সম্পর্কে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজকে পত্রপত্রিকায় কিছু সুধীজন আমাদের মাঝেমধ্যে কিছু কিছু উপদেশ দিয়ে থাকেন। আমাদের নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলতে থাকেন। তাঁদের সবিনয়ে বলব, এই কথাগুলো প্রকারান্তরে ফ্যাসিবাদকে উৎসাহিত করে; যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের ক্ষমতায় থাকার পথটাকে প্রশস্ত করে।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমদ, সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন কমিটির সদস্যসচিব আবদুস সালাম প্রমুখ।