আহ্বায়ক কমিটিতে চলছে ১০ বছর

এক যুগেরও বেশি সময় ধরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে না। ১০ বছর ধরে দল চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। কোন্দলের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতা-কর্মীরা।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, আগামী জানুয়ারির মধ্যে সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০০৩ সালের ২১ ডিসেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সেখানে কাউন্সিলরদের ভোটে মাসুদুল হক সভাপতি ও আমিরুল ইসলাম তালুকদার সাধারণ সম্পাদক হন।

পরে মাসুদুল হকের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি শামসুর রহমান খানের বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০০৬ সালের ১৫ জুন কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। সে সময় আবদুল হালিমকে আহ্বায়ক করে কমিটি করা হয়। ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আবদুল হালিম দলীয় মনোনয়ন পান। কোন্দল নিরসনের জন্য ২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি আবদুল হালিমের স্থলে মাসুদুল হককে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। এ কমিটিও সম্মেলন করতে ব্যর্থ হয়।

জেলা সম্মেলনকে সামনে রেখে ২০১৫ সালের ১৯ জুলাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সব পক্ষের নেতাদের নিয়ে জেলা সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক ফজলুর রহমান খান বৈঠক করেন। সেখানে মাসুদুল হককে আবার আহ্বায়ক করে ১৭ সদস্যের কমিটি করে দেওয়া হয়। এই কমিটিকে জেলা সম্মেলনের আগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়।

কিন্তু জেলা সম্মেলন গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হলেও ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলন করতে পারেনি। জেলা আওয়ামী লীগ গত ৯ অক্টোবর মাসুদুল হককে তৃতীয়বারের মতো আহ্বায়ক করে ৬৭ সদস্যের কমিটি অনুমোদন করেছে। এ কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী বলেন, দীর্ঘদিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন সাধারণ নেতা-কর্মীরা। দ্রুত সম্মেলন করার জন্য জেলা ও কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক বলেন, এবার দায়িত্ব পাওয়ার পর পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নের কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্মেলন শেষ করে আগামী জানুয়ারির মধ্যেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করা হবে।