ইচ্ছা করলেই কি জিয়াউর রহমানের নাম মোছা যায়: গয়েশ্বর
রাজধানীর মোগলটুলীতে স্কুলের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে সরকারের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ইচ্ছা করলেই কি জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা যায়? জিয়াউর রহমানের নাম ও ছবি স্বাধীনতাকামী, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ও দেশপ্রেমিক জনগণের হৃদয়ে আঁকা। এই ছবি ছিঁড়ে ও মুছে ফেলা যায় না। কারণ, এটা হৃদয়ের লেখা, কালিতে লেখা নয়। এর শাস্তি ভোগ করার জন্য আগামী দিনে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন। রাজধানীর মোগলটুলী এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃক ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন করার প্রতিবাদে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটি আয়োজিত এই মানববন্ধনে গয়েশ্বর প্রধান অতিথি ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আপনি আপনার পিতার (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) ভাস্কর্য বানান, আপত্তি নেই।
আমরা শেখ মুজিবুর রহমানকে অপমান করি না। তাঁর জায়গা ইতিহাসে যেখানে আছে, সেখানেই থাকবে। তাঁর যতটুকু অবদান আছে, তা আমরা স্বীকার করব—এটাই নিয়ম। রাষ্ট্র পরিচালনায় তাঁর ব্যর্থতা থাকতে পারে, তা নিয়েও আমরা কথা বলব।’
‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের’ নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে সরকারের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আজকে জিয়াউর রহমানের নাম পরিবর্তন করছেন, পাশাপাশি আপনাদের নাম পাহাড়ের চূড়ায় রাষ্ট্রীয় টাকা খরচ করে প্রতিদিনই লাগাচ্ছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন মহানায়ককে যদি মুছে ফেলতে চান, যেদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকবেন না, সেদিন জনগণ আপনাদের নামও মুছে ফেলবে। সে কথা ভাবতে হবে।
মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও নতুন করে লুটপাটের চক্রান্ত চলছে। এসব থেকে দৃষ্টি সরাতেই জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। এসব উত্তেজনাকর কাজ করে মানুষের দৃষ্টি ফেরানো যাবে না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি হাবীব-উন-নবী খান সোহেল মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন। মানববন্ধনে দেওয়া শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এতে অংশ নেওয়া বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ বক্তব্য দেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ইউনিট শাখার কয়েক শ নেতা-কর্মী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।