কমিটি দুটির প্রতি মানুষের অনেক প্রত্যাশা: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এই কমিটি দুটির (ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ) প্রতি সারা দেশে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। কমিটির সবাই পরীক্ষিত। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটা (নতুন কমিটি গঠন) নিঃসন্দেহে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নতুন কমিটির ঘোষণা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে কমিটি দুটির নেতারা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে তাঁর উত্তরার বাসায় গিয়ে সাক্ষাৎ করেন, ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তখন মির্জা ফখরুল নেতাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আশা প্রকাশ করেন, এই কমিটির মাধ্যমে দেশের রাজনীতির একটা গুণগত পরিবর্তন আসবে। বর্তমানে যে অগণতান্ত্রিক সরকার মানুষের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা বিনষ্ট করে দিচ্ছে, সেখানে তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ভূমিকা রাখবে।

বিএনপির মহাসচিবের আশাবাদ নতুন কমিটি দ্রুত দলকে সুসংগঠিত করবে এবং গঠনতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী কাউন্সিলের মাধ্যমে তিন মাসের মধ্যে নতুন কার্যকরী কমিটি গঠন করবে।

গতকাল আমানউল্লাহ আমানের নেতৃত্বে উত্তরের ৪৭ সদস্য এবং আবদুস সালামের নেতৃত্বে দক্ষিণের ৪৯ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। উত্তরের সদস্যসচিব করা হয় জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার আমিনুল হককে, দক্ষিণের সদস্যসচিব করা হয় যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলমকে।

নতুন কমিটি নিয়ে দলে ক্ষোভের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি একটা বিশাল রাজনৈতিক দল। সেই দলের যখন একটি কমিটি তৈরি করা হয়, তখন ছোটখাটো সমস্যা থাকতেই পারে। একবারে পরীক্ষিত নেতৃবৃন্দকে দিয়েই এই কমিটি করা হয়েছে। প্রবীণ ও নবীনের সমন্বয়ে করা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে একটা কার্যকরী কমিটি হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’

মহানগর উত্তরের নতুন আহ্বায়ক দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়ে সুসংগঠিত করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘জনগণ যাতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট তিতে পারে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারে, একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে যাতে নির্বাচন হতে পারে, সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যাতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হয়, সেই লক্ষ্যকে সফল করার জন্য আমরা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ একসঙ্গে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কাজ করব।’

মহানগর দক্ষিণের নতুন আহ্বায়ক চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব যাতে এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, আজকের এই সরকার যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা।’

এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন নতুন কমিটির নেতা রফিকুল আলম, আমিনুল হক, আবদুল আলীম, তাবিথ আউয়াল, আনোয়ারুজ্জামান, নবী উল্লাহ, ইউনুস মৃধা, মো. মোহন, আতিকুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফেরদৌসী আহমেদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন