কেন্দ্রেই ইভিএম পদ্ধতি বোঝাচ্ছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা

ভোটারদের ইভিএমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি শেখাচ্ছেন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র (পুরাতন ভবন)
ছবি: সামছুর রহমান

নারায়ণগঞ্জের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের এক নম্বর কেন্দ্রের ৬ নম্বর কক্ষে কয়েকজন নারী লাইনে দাঁড়ানো। তাঁদের একটি বোর্ডে কীভাবে ইভিএমে ভোট দিতে হয়, তা বোঝাচ্ছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। ওদিকে বাইরে ভোটারদের দীর্ঘ সারি। কিন্তু ভেতরের লাইন এগোচ্ছে না। দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, ইভিএমে ভোট দিতে সময় নিচ্ছেন ভোটাররা।

আজ রোববার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন চলছে। সিটির মণ্ডলপাড়া, বাটপাড়া ও সুমীলপাড়া নিয়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ড। সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ১ নম্বর কেন্দ্রটি নারীদের। এখানে মোট ভোটার ২ হাজার ৮০০। এতে প্রথম দেড় ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৭২টি। ভোট পড়ার হার ৬।

এই কেন্দ্রের ৬ নম্বর কক্ষে দেখা যায়, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা নারীদের ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হয়, তা ইভিএমের চিহ্নসংবলিত বোর্ডে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এই কক্ষে ৪০০ ভোটের মধ্যে দেড় ঘণ্টায় ভোট পড়ে ১৬টি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হেদায়েতুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ইভিএম পদ্ধতি নতুন হওয়ায় কেন্দ্রের ভোটাররা বেশি সময় নিচ্ছেন ভোট দিতে। কিছুক্ষণ পরপর তাঁদের বুঝিয়ে বলতে হচ্ছে।

ভোট দিতে আশা বাটপাড়ার বাসিন্দা লাভলী বেগম বলেন, তিনি সকাল সাড়ে আটটায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে সোয়া নয়টা পর্যন্তও ভোট দিতে পারেননি। ভেতরে ঢুকতে পারছেন না। লাইন দেরি করে এগোচ্ছে।

এই বিদ্যালয়ের ২ নম্বর কেন্দ্রটি পুরুষ ভোটারদের। এখানে ভোটারসংখ্যা ২ হাজার ৮৬১। প্রথম দেড় ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৩০১টি। ভোট পড়েছে সাড়ে ১০ শতাংশ। এই কেন্দ্রেও ভোটারদের দীর্ঘ সারি। উপস্থিতির তুলনায় ভোট পড়ার হার কম। এ বিষয়ে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম ঘণ্টায় গড়ে ভোট পড়েছে ৪০টি করে, অর্থাৎ মিনিটে একটি করে। ভোটারদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলাতে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া তাঁদের বুঝিয়েও বলতে হচ্ছে। পাশাপাশি মার্কা চিহ্নিত করতেও সময় নিচ্ছেন তাঁরা। তবে এই কর্মকর্তা আশা করেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট দেওয়ার গতিও বাড়বে।