কোনো ইস্যু না পেয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ফাইল ছবি

সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে বিএনপি নিজেদের অযোগ্যতা, অক্ষমতা ও ব্যর্থতা আড়াল করার অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না বিএনপি। এ জন্য কিছু একটা বলতে হবে বলেই মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন দলটির নেতারা।

ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। করোনা মহামারিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রায় প্রতিদিনই নিজ বাসভবনে বসে একা ব্রিফিং করছেন। সেখান থেকে বিটিভির ক্যামেরায় তা ধারণ করে পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। দেখা গেছে, এসব ব্রিফিংয়ে বিএনপি ও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাদের সমালোচনা ও তাঁদের দেওয়া বক্তব্যের জবাবই বেশি এসেছে। কাদেরের আজকের ব্রিফিংয়ে বিএনপিরই সমালোচনা করা হয়েছে বেশি।

ওবায়দুল কাদের বিএনপির নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার জন্যই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে তাদের কর্মীদের ক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। তাই দলীয় কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে বিএনপি নেতারা আবোলতাবোল বকছেন।

অবশ্য এ বক্তব্য গত কয়েক মাসে একাধিকবার দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের বানোয়াট মামলায় কারাগারে আটক রাখা হচ্ছে, দলটির নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করবেন, জনগণের সম্পদ এবং শান্তি নষ্ট করবেন, বাসে আগুন দেবেন, নিজেরা নিজেরা মারামারি করবেন—আর সরকার জনস্বার্থে ব্যবস্থা নিলে বলবে মিথ্যা বানোয়াট মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, আইন তাঁর নিজস্ব গতিতে চলছে। আইন–আদালতের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।

শেখ হাসিনার কাছে অপরাধীর রাজনৈতিক কোনো পরিচয় নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজ দলের নেতা-সমর্থক অপরাধী হলে সরকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধা দেয়নি। আইনের গতিকে বাধাগ্রস্ত করেনি। শুদ্ধি অভিযানে নিজ দলের অনেক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তার করলেই বিএনপি ঢালাও অভিযোগ তোলে এবং মিথ্যাচার করে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাহলে কি নিজ দলে চিহ্নিত অপরাধীদের পুষতে চায় বিএনপি?

অপরাধী কিংবা অপকর্মকারীরা কখনো কোনো দলের স্বার্থের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে না—এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, অপরাধীদের দল যদি অন্যের ক্ষতি করার জন্য পুষতে থাকে, তাহলে শেষ পর্যন্ত অপরাধীদের দ্বারা নিজ দলেরই ক্ষতি হয়।