কোম্পানীগঞ্জের ঘটনায় কাউকে ছাড় নয়: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জের ঘটনায় যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যাঁরাই জড়িত থাকুক, তাঁদের পরিচয় না দেখে আইনের আওতায় আনা হবে।

সরকারি বাসভবনে আজ বুধবার বিকেলে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রাণঘাতী সংঘর্ষে একজন দলীয় কর্মী নিহতের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। নিহত আলাউদ্দিন ও এর আগের ঘটনায় সাংবাদিক মুজাক্কিরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও তাঁদের পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলাপরিপন্থী। ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের আইজিপি, র‍্যাবের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আইন সমানভাবে প্রযোজ্য, ইতিমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অভিযান চলছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনকে কারও অপকর্মের জন্য ম্লান হতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দুঃখজনক ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরি করতে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনটি এলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট এলাকায় জনজীবনে অস্থিরতা বিরাজ করছিল। সরকার এখন কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করছে। তাই আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে।

কোম্পানীগঞ্জের জনসাধারণকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ধৈর্যধারণ এবং সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট-দানভূঁয়া সড়কের মহাজন দিঘি এলাকায় সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন কাদের মির্জার অনুসারীরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় তোলা
ছবি: প্রথম আলো

জিয়াউর রহমান ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতো না—বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন মন্তব্যকে ‘অসত্য প্রলাপ’ অভিহিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাঁর এই বক্তব্য স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির শামিল। এ ধরনের মিথ্যাচার বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ।

‘বিএনপি জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রাণান্ত অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা আর ঘোষণা পাঠ করা এককথা নয়। পাঠক কখনো ঘোষক হতে পারেন না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা পাঠকারীদের মধ্যে একজন। জিয়াউর রহমানকে দেশে মুক্তিযুদ্ধের ‘ইতিহাস বিকৃতির জনক’ বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

আরও পড়ুন