গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ক্ষমতাসীনদের বিদায়কে ত্বরান্বিত করবে: নাগরিক ঐক্য

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ক্ষমতাসীনদের বিদায়কে ত্বরান্বিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের শীর্ষ নেতারা। নেতারা বলেন, দেশের জনগণ জাগছেন। শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমে এসেছেন। সব শ্রেণি–পেশার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন।

যেকোনো সময় এই ক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল ছড়িয়ে পড়বে। অবৈধ ক্ষমতাসীনদের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত সেই বিদায়কে ত্বরান্বিত করবে।

আজ সোমবার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নাগরিক ঐক্যের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার গণমাধ্যমে এই যৌথ বিবৃতি পাঠান। বিবৃতিতে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, যখন দেশের জনগণ দৈনন্দিন বাজারের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সরকার জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে। নিজেদের দুর্নীতি, লুটপাট, দুঃশাসন, বিদেশে টাকা পাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার। আর সেই ঘাটতি মেটাতে তারা জনগণের ওপর খরচের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। জনবিচ্ছিন্ন সরকার যে দেশের জনগণের তোয়াক্কা করে না, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি তার আরেকটি প্রমাণ।

বিবৃতিতে বলা হয়, সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রায় ২৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়বে দেশের কৃষি উৎপাদনে। যে সময়ে আমদানি–নির্ভরতা কমিয়ে কৃষিসহ অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন, সেই সময়ে দেশের কৃষি উৎপাদন ব্যাহত করার আয়োজন করছে সরকার। বৃহৎ শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, লুটপাট আর বিদেশে টাকা পাচারের মাধ্যমে সরকার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খালি করে ফেলছে। যখন দেশ-বিদেশের সব অর্থনীতিবিদ বলছেন, এ অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ—দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা, তখন রপ্তানিশিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সরকার রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।