জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের দাবি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুলের

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের পরিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমানের নামে যে জাদুঘর রয়েছে, তা পরিবর্তন করতে হবে। খুনি জিয়ার নামে জাদুঘর চট্টগ্রামে থাকতে পারে না। এই নাম পরিবর্তনের জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আন্দোলনে নামতে হবে।’

আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের একটি কনভেনশন সেন্টার আয়োজিত এক ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মহিবুল হাসান চৌধুরী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকায় অবস্থিত পুরোনো সার্কিট হাউসকে ‘জিয়া স্মৃতি জাদুঘর’–এ রূপান্তর করা হয়েছিল। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সফরে এসে সার্কিট হাউসে উঠেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ভোরের দিকে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি নিহত হন।

ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ছেলে ও বর্তমান সাংসদ মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, যে স্থাপনাটিকে জাদুঘর করা হয়েছে, সেখানে জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বলতে তিনি মারা গেছেন শুধু। এই স্থাপনা একটি পুরাকীর্তি। জিয়াউর রহমান সেখানে মারা গেছেন বলে এটা তাঁর নামে হতে পারে না। বিএনপি নেতারা কখনো সেখানে যান না।

এই জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগকে প্রতিবাদ শুরুর আহ্বান জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা দাবি তোলেন, গণস্বাক্ষর নেন যে একজন খুনির নামে কোনো জাদুঘর থাকতে পারে না, এই জাদুঘরের নাম পরিবর্তন করেন। গণস্বাক্ষর নেন, সেই স্বাক্ষর আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেব। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোনো কারণে সেটা করছে না। বর্তমানে যিনি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মহোদয় আছেন, তিনি অনেক পজিটিভ। স্বেচ্ছাসেবক লীগকে বলব, আপনারা ওনার কাছে গিয়ে মানুষের দাবি তুলে ধরুন, জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পাল্টে যেন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর করা হয়।’

এদিকে অনলাইনে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারের পাল্টা জবাব দিতে নেতা-কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার হাত রক্তে রঞ্জিত। শেখ হাসিনার মানবিকতার বদান্যতায় তিনি কারাগারে নেই।’