টিএসসিতে ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কুশল বিনিময়

সব ধারার ছাত্রসংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে রাজনৈতিক সহাবস্থানের এক দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। এই আয়োজনে রাজনৈতিক অঙ্গনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতারা হাস্যোজ্জ্বল কুশল বিনিময় করেছেন।

আজ শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ক্যাফেটেরিয়ায় ডুজার এ অনুষ্ঠান হয়। আলোচনা সভার বিষয় ছিল ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জীবনমান: নিরাপদ আবাসন, খাদ্যনিরাপত্তা ও উন্নত চিকিৎসা প্রসঙ্গ’। অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ-ছাত্রদল ছাড়াও ছাত্র ইউনিয়নের দুই অংশ, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর নেতারা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতা–কর্মী উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলামসহ শ খানেক নেতা-কর্মী। একপর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল কুশল বিনিময় করতে দেখা যায় সাদ্দাম হোসেনকে।

ডুজার আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যাঁরা প্রশাসক আছেন, তাঁরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন সমস্যা মেটানোর জন্য। তবে দেশটা তো বাংলাদেশ৷ এখানে নানা সমস্যা-সংকট আছে। বিশ্ববিদ্যালয় তো এর বাইরে নয়। তবে ঐকান্তিকতা ও শিক্ষকসুলভ মানসিকতা থাকলে সব সমস্যাই সমাধান করা যাবে। শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষার্থীর মতো আচরণ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডুজার প্রধান উপদেষ্টা মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, তখন আমাদের প্রতিদিনের ইফতারের জন্য দুই থেকে তিন টাকা বরাদ্দ থাকত। অন্যদিকে আজকের এই ইফতার মাহফিলের আয়োজনে মাথাপিছু কমপক্ষে ১২৫ টাকা করে খরচ করা হয়েছে। এটি আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম একটি নির্দেশক।’

ডুজার সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূইয়া ও ডুজার সভাপতি মামুন তুষার বক্তব্য দেন।