দুর্যোগে মানুষের পাশে নেই বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

সচিবালয়ে আজ সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

দুর্যোগের সময় বিএনপি মানুষের পাশে নেই বলে অভিযোগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, রাজনীতি মানুষ, দেশ ও সমাজের কল্যাণের জন্য হলেও বিএনপি প্রেসক্লাব ও দলীয় কার্যালয়ে বসে বিবৃতি দেয়। আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা জানেন, বিএনপির নেতারা করোনাকালেও মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। তখনো আমাদের দলের নেতা-কর্মীরাই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ত্রাণ তৎপরতায় এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণে আমাদের দলের নেতা-কর্মীরাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সে কারণে মন্ত্রিসভার সদস্যসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৮১ জন সদস্যের মধ্যে পাঁচজন, উপদেষ্টামণ্ডলীর অনেকে এবং সংসদ সদস্যও মৃত্যুবরণ করেছে। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুর্যোগ-দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়ায় না। তারা করোনাকালে শুধু ফটোসেশন করেছে।’

বন্যা নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য, দেশ ও সমাজের সেবার জন্য। কিন্তু বন্যার মধ্যেও বিএনপির নেতারা ঢাকার নয়াপল্টন, প্রেসক্লাব, দলীয় কার্যালয়ে বসে বসে শুধু বিবৃতি দেয়, বাগাড়ম্বর করে, দুর্গতদের পাশে নেই। এখন হয়তো আমাদের বক্তব্যের পর তারা কিছু ফটোসেশন করবে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে মানুষের পাশে দাঁড়াবে না।’

‘যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটান’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আরও আট-দশ দিন আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেছিলেন যে এবার দেশে বন্যা হতে পারে। তিনি আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ নন। তারপরও তাঁর সাধারণ জ্ঞান থেকেই তিনি এটি বলেছিলেন এবং দেখা গেল যে এক দিনে এক হাজার মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।’

পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির নানা মন্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পদ্মা সেতু তো তাদের জন্য যন্ত্রণা। বিএনপি-জামায়াত এবং যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল, তাদের জন্য তো একটি যন্ত্রণা-জ্বালার বিষয়। কারণ, এই পদ্মা সেতু হোক তারা চায়নি। সুতরাং এই পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়াতে জ্বালা আর উদ্বোধন হলে আরও বড় জ্বালা। তারা চায় না পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হোক। উদ্বোধন বানচাল করার জন্য তো তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করেছিল, অনেক ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হয়েছে। সেই জ্বালা থেকেই তারা এই সমস্ত কথা বলে।’

২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকার পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য কোনো উৎসব করছে না, জনসভা এবং উদ্বোধন অনুষ্ঠান করছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে শুধু দুই পারের মানুষের যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্যই বৃদ্ধি পাবে না, বন্যা মোকাবিলা করতেও সহায়ক হবে।’