দেশকে বাঁচান জনগণকে বাঁচান: অলি আহমদ
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অলি আহমদ বলেছেন, দেশ স্বাধীন হলেও জনগণ স্বাধীন হয়নি। নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থ বাদ দিয়ে জনগণকে বাঁচানোর জন্য কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ব্যাংকে টাকা নেই, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা নেই, মশা মারার ওষুধ নেই।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় মুক্তি মঞ্চের উদ্যোগে দেশের সার্বিক বিরাজমান পরিস্থিতি-উত্তরণের উপায় শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অলি আহমদ এসব কথা বলেন।
অলি আহমদ বলেন, দেশ স্বাধীন হলেও জনগণ স্বাধীন হয়নি। সবাইকে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে। আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, দুর্নীতি মাদকমুক্ত, দলীয়করণমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে হবে। একে ওপরকে দোষারোপ শেষ করে কখনো দেশকে তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। তিনি আরও বলেন, ‘নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থ ভুলে জনগণকে বাঁচানোর জন্য মুক্তিযুদ্ধে সময় যেভাবে এগিয়ে এসেছিলেন, এ মঞ্চে আমি বলেছিলাম হয় মুক্তি হবে নয়তো মৃত্যু হবে। এ প্রতিজ্ঞা করে যেতে হবে। দেশকে বাঁচান, দেশের জনগণকে বাঁচান।’
জাতীয় মুক্তিমঞ্চের এ আহ্বায়ক আরও বলেন, শেয়ারবাজার লুটপাটের মাধ্যমে টাকা পাচার হয়ে গেছে। দেশের ব্যাংকের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ব্যাংকে টাকা নেই, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা নেই, মশা মারার ওষুধ নেই। দেশে গণতন্ত্র নেই, রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশ করার অনুমতি নেই।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ডেঙ্গু এখন মহামারি রূপ নিয়েছে, তা সবার স্বীকার করে নেওয়া উচিত। সরকার স্বীকার করতে চাইবে না। বর্তমান সময়ের জন্যই সরকারকে দায়ী করা যাবে না। একটা দীর্ঘ সময় ধরেই ডেঙ্গু আমাদের ঘাড়ে ছিল।’
যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের হাতে দেশ নিরাপদ নয় জানিয়ে মান্না বলেন, সরকার এখন পর্যন্ত মশা মারার কার্যকর ওষুধ আমদানি করতে পারেনি। কিন্তু মশা মারার নাটক করে বেড়াচ্ছে। সিনেমার শিল্পীদের নামিয়ে দিয়েছে। মাটিতে ঝাড়ু দিচ্ছে। ছবি তোলার একটা পাঁয়তারা চলছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিককে নিয়ে মান্না বলেন, ‘এই রকমের বিস্ময়কর মন্ত্রী আমরা আগে দেখেনি। কাজ করতে পারে না শুধু কথা বলে। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়, সরকার শুধু বাচালতা করছে। ওষুধ কেনার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ লাগে। তাহলে শুধু প্রধানমন্ত্রীই থাকুন, বাকিদের দরকার নেই।’ ডেঙ্গু সামনে আরও বাড়বে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও দুই মেয়রের পদত্যাগ করা উচিত।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইব্রাহিমের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে ডেঙ্গু, নাজুক অর্থনীতি, বন্যা, রাজনৈতিক সংকট এবং গজব ও গুজব নিয়ে আলোচনা হয়। এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ বন্যায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান।
বৈঠকে আরও অংশ নেন জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুনির হোসাইন, সাবেক সচিব মোফাজ্জল করিম প্রমুখ।