‘দেশ আর এভাবে চলতে পারে না’

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানে শহীদ মতিউর রহমান পার্কে সমাবেশ করে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি দেশে একধরনের ‘দুর্ভিক্ষের জন্ম’ দিয়েছে বলে মনে করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, গোটা সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় একধরনের নৈরাজ্য চলছে। দুর্নীতি, লুটপাট, সুদ ও ঘুষকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গুম ও খুনের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দেশ আর এভাবে চলতে পারে না।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানে শহীদ মতিউর রহমান পার্কে (মহানগর নাট্যমঞ্চের সামনে) আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদসহ কয়েকটি দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল দলটি। তবে অনুমতি না পাওয়ায় পরে গুলিস্তানে শহীদ মতিউর রহমান পার্কে ২৬টি শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। বেলা আড়াইটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জুমার নামাজের পরপরই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতির কারণে মহানগর নাট্যমঞ্চের সামনে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ–এর সমাবেশের একাংশ
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

সমাবেশে চরমোনাই পীর বলেন, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমাতে হবে। যেকোনো মূল্যে খাদ্যদ্রব্যের দাম সহনীয় করতে হবে। সরকার যদি এই ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে অভিযোগ করে চরমোনাই পীর বলেন, বিগত ১৩ বছরে দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। ক্ষমতাসীনরা তাদের দলীয় লোকদের নির্বাচিত করার জন্য এমন কোনো কাজ নেই, যা করেনি। মানুষ আর তামাশা ও প্রহসনের নির্বাচন দেখতে চায় না।

বাংলাদেশের যতটুকু উন্নতি, তার পুরোটাই মানুষের শ্রমের ফসল, সরকারের নীতির কারণে এটি হয়নি বলে সমাবেশে উল্লেখ করেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।

দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমেদ বলেন, সরকারের সমালোচনা করা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা আবদুল হক আজাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূম, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক নেছার উদ্দিন।